ইরানের ব্যাপারে জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরো এক বছর বাড়ালেন ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের ব্যাপারে তার দেশের ন্যাশনাল ‘ইমার্জেন্সি সিচুয়েশন’ বা জাতীয় জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরো এক বছরের জন্য নবায়ন করেছেন। তিনি বৃহস্পতিবার রাতে এক ডিক্রি জারি করে ওই মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন।
ইরানে ইসলামি বিপ্লব বিজয়ের পর ১৯৭৯ সালের ১৫ নভেম্বর তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার প্রথম ইরানের ব্যাপারে জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন এবং তখন থেকে প্রতি বছর এর মেয়াদ বৃদ্ধি করে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্টরা।
এই নির্দেশবলে আমেরিকায় অবস্থিত ইরানের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে রাখার অনুমতি পায় মার্কিন প্রশাসন। আমেরিকা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে ইরানের হাজার হাজার কোটি ডলারের সম্পদ আটকে রেখেছে।

এদিকে মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্টিভ নিউচিন বলেছেন, আন্তর্জাতিক অর্থ লেনদেনের নেটওয়ার্ক সুইফটের সঙ্গে ইরানের সংযোগ আগামী কয়েকদিনের মধ্যে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হবে। সম্প্রতি ইরানের ওপর আমেরিকার দ্বিতীয় দফা নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার পর ইরানের কিছু ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সুইফটের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে মার্কিন অর্থমন্ত্রী এ সংযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হবে বলে ঘোষণা দিলেন।
আন্তর্জাতিক আর্থিক লেনদেন সহজ করার জন্য প্রতিষ্ঠিত সুইফটের সদর দপ্তর বেলজিয়ামে অবস্থিত হলেও আমেরিকার বিভিন্ন ব্যাংকের গভর্নররা সুইফটের বোর্ড অব ডাইরেক্টর্সের সদস্য।
ছয় মাস আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেয়া এক ঘোষণা অনুযায়ী গত সোমবার থেকে ইরানের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দফা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে আমেরিকা। এবারের নিষেধাজ্ঞায় ইরানের তেল রপ্তানি ও বহির্বিশ্বের সঙ্গে ইরানের ব্যাংকিং লেনদেনকে টার্গেট করা হয়েছে।
২০১৫ সালে আমেরিকাসহ ছয় জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে স্বাক্ষরিত পরমাণু সমঝোতার ভিত্তিতে এসব নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়েছিল। গত মে মাসে ট্রাম্প ওই সমঝোতা থেকে একতরফাভাবে তার দেশকে বের করে নেন। #
পার্সটুডে/মুজাহিদুল ইসলাম/৯