পরমাণু সমঝোতা এখনো টিকে আছে: ইইউ'র পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান
(last modified Tue, 17 Dec 2019 10:51:02 GMT )
ডিসেম্বর ১৭, ২০১৯ ১৬:৫১ Asia/Dhaka
  • জোসেফ বোরেল
    জোসেফ বোরেল

ইউরোপের তিনটি প্রভাবশালী দেশ ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানি ২০১৫ সালে ছয় জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে ইরানের স্বাক্ষরিত পরমাণু সমঝোতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল। গত বছর ৮মে পরমাণু সমঝোতা থেকে আমেরিকা বেরিয়ে যাওয়ার পরও ইউরোপীয় ইউনিয়ন এ সমঝোতা রক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করেছিল। তারা এখনো এটিকে রক্ষার কথা বলছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেল এক সাক্ষাতকারে বলেছেন, পরমাণু সমঝোতা এখনো টিকে আছে। তিনি দাবি করেন, "এই সমঝোতার শক্তিশালী একটি পক্ষ হচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। কেননা এখানে ইউরোপের স্বার্থও জড়িত রয়েছে।" পর্যায়ক্রমে পরমাণু সমঝোতা থেকে সরে আসার ব্যাপারে ইরানের পদক্ষেপ সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জোসেফ বোরেল বলেন, সীমাবদ্ধতা লঙ্ঘন করার অর্থ তা থেকে পুরোপুরি সরে আসা নয় এবং ইরান এখনো প্রতিশ্রুতিতে অটল থাকার কথা বলছে।

তিনি আরো বলেন, আমাদেরকে এটা স্বীকার করতে হবে যে আমেরিকা একতরফাভাবে পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে গেলেও ইরান পরমাণু সমঝোতায় অটল রয়েছে। আমরা চাই ইরান পরমাণু সমঝোতা পুরোপুরি মেনে চলুক কেননা ইউরোপের নিরাপত্তা রক্ষায় এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেল কিছুদিন আগেও ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে বলেছেন, আমেরিকার পদক্ষেপের কারণে পরমাণু সমঝোতা হুমকির মুখে রয়েছে এবং আমরা আশা করি এটিকে রক্ষা করা হবে।

বাস্তবতা হচ্ছে, ইউরোপের এই তিনটি প্রভাবশালী দেশ বহুবার মধ্যপ্রাচ্যসহ সারা বিশ্বের শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় পরমাণু সমঝোতা টিকিয়ে রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে। আমেরিকা পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর ইউরোপ ইরানের অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষার জন্য ইন্সটেক্স ব্যবস্থা চালুর প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু মার্কিন চাপে তারা আজ পর্যন্ত ওই ব্যবস্থা চালু করতে পারেনি।

আমেরিকা পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার এক বছর পর ইরানও ধৈর্যের অবসান ঘটিয়ে পর্যায়ক্রমে পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়। এ পর্যন্ত চার দফায় তেহরান প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন থেকে সরে এসেছে। তবে ইরানের কর্মকর্তারা এও বলেছেন, প্রতিপক্ষরা যদি তাদের ওয়াদা পূরণ করে তাহলে তেহরানও পরমাণু সমঝোতা পুরোপুরি মেনে চলবে।

আসল সমস্যা হচ্ছে ইউরোপ তাদের প্রতিশ্রুতি পালন না করে বরং ইরানকে এককভাবে ওই সমঝোতা মেনে চলার জন্য হুমকি দিচ্ছে। যদিও ছয় ডিসেম্বর যৌথ কমিশনের বৈঠকের পর ওই হুমকি দেয়া থেকে ইউরোপ সরে এসেছে। ইউরোপীয়রা ভাল করেই জানে তেহরান কোনো হুমকি ও ভয়ভীতির কাছে আত্মসমর্পণ করবে না। ইউরোপীয়রা যদি সত্যিই তাদের স্বার্থ রক্ষা করতে চায় তাহলে তাদেরকে অবশ্যই ইন্সটেক্স ব্যবস্থা চালু করতে হবে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাওয়াদ জারিফ বলেছেন, ইউরোপ তাদের প্রতিশ্রুতি পালন না করায় ইরান অসন্তুষ্ট। #

 পার্সটুডে/রেজওয়ান হোসেন/১৭  

ট্যাগ