ইরানের বিপ্লব গোটা মুসলিম বিশ্বকে অনুপ্রাণিত করেছে: আয়াতুল্লাহ ইমামি কাশানি
(last modified Fri, 07 Feb 2020 11:12:41 GMT )
ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২০ ১৭:১২ Asia/Dhaka
  • ইমামি কাশানি
    ইমামি কাশানি

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রভাবশালী আলেম আয়াতুল্লাহ মোহাম্মাদ ইমামি কাশানি বলেছেন, ইসলামি বিপ্লব সফল না হলে আজও ইরানে মার্কিন ও ইসরাইলি আধিপত্য থাকতো। তিনি আজ জুমার নামাজের খুতবায় এ কথা বলেন।

১৯৭৯ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ইরানের ইসলামি বিপ্লব সফল হয়। বিপ্লব দিবসকে সামনে রেখে এখন ইরানের সর্বত্রই নানা প্রস্তুতি চলছে। তিনি ইরানের ইসলামি বিপ্লব প্রসঙ্গে আরও বলেন, ইসলামি বিপ্লব সাম্রাজ্যবাদীদের অশুভ ও ধ্বংসাত্মক লক্ষ্য বাস্তবায়নে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইসলামি বিপ্লবের পর মুসলিম বিশ্বের জনগণ নতুনকরে অনুপ্রেরণা পেয়েছে এবং ইসরাইলি ও মার্কিন ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে।

মার্কিন ষড়যন্ত্র 'ডিল অব দ্যা সেঞ্চুরি' প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ফিলিস্তিন তথা পশ্চিম এশিয়ার মানুষ এই ষড়যন্ত্র রুখে দেবে এবং এই পরিকল্পনা আমেরিকা ও ইহুদিবাদী ইসরাইলের জন্য শতাব্দীর সবচেয়ে বড় লজ্জায় পরিণত হবে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গত ২৮ জানুয়ারি ইহুদিবাদী ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যকার দ্বন্দ্ব-সংঘাত নিরসনের নাম করে ‘ডিল অব দ্যা সেঞ্চুরি’ পরিকল্পনা প্রকাশ করেন। তবে এতে ফিলিস্তিনের বায়তুল মুকাদ্দাস বা জেরুজালেম শহরকে ইহুদিবাদী ইসরাইলের অবিভক্ত রাজধানী হিসেবে উল্লেখ  করা হয়েছে।

মার্কিন-ইহুদিবাদী এই পরিকল্পনায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত ফিলিস্তিনি শরণার্থীদেরকে তাদের মাতৃভূমিতে ফিরে যাওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এ ছাড়া, জর্দান নদীর পশ্চিম তীরের অবশিষ্ট অংশ ও গাজা উপত্যকা নিয়ে একটি দুর্বল ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের কথা বলা হয়েছে। ফিলিস্তিনি স্বশাসন কর্তৃপক্ষ এবং প্রতিরোধ আন্দোলনগুলো অর্থাৎ সকল ফিলিস্তিনি জনগণ ট্রাম্পের এ পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করেছেন।#

পার্সটুডে/এসএ/৭

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

 

ট্যাগ