বিগত বছরে সাড়ে ৮ হাজার কোটি ডলারের বাণিজ্য করেছে ইরান
(last modified Sat, 28 Mar 2020 00:32:38 GMT )
মার্চ ২৮, ২০২০ ০৬:৩২ Asia/Dhaka
  • বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের ক্ষেত্রে অপরিশোধিত তেলের ওপর নির্ভরশীলতা উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমাতে পেরেছে তেহরান
    বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের ক্ষেত্রে অপরিশোধিত তেলের ওপর নির্ভরশীলতা উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমাতে পেরেছে তেহরান

বিগত ফার্সি বছরে ইরানের বৈদেশিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল আট হাজার ৫০০ কোটি ডলার। এর মধ্যে ইরান রপ্তানি করেছে চার কোটি ১৩ লাখ ডলারের পণ্য এবং আমদানি করেছে চার কোটি ৩৭ লাখ ডলারের মালামাল।ইরানের কাস্টমস বিভাগের মহাপরিচালক মাহদি মিরআশরাফি শুক্রবার তেহরানে এ তথ্য জানিয়েছেন।

প্রতি ইংরেজি বছরের ২১ মার্চ ফার্সি বছর শুরু হয় এবং পরবর্তী বছরের ২০ মার্চ শেষ হয়। বিগত ফার্সি ১৩৯৮ সালের মেয়াদ ছিল ২০১৯ সালের ২১ মার্চ থেকে ২০২০ সালের ২০ মার্চ পর্যন্ত।

মিরআশরাফি জানান, ফার্সি ১৩৯৮ সালে মোট ১৬ কোটি ৯০ লাখ টন পণ্য আমদানি-রপ্তানি করেছে ইরান। এরমধ্যে রপ্তানি করেছে ১৩ কোটি ৩৯ লাখ টন পণ্য। অর্থাৎ ইরান আমদানির তুলনায় রপ্তানি করেছে তিনগুণ। তিনি বলেন, ওজনের দিক দিয়ে তেল-বহির্ভূত পণ্য রপ্তানিতে এটি ইরানের ইতিহাসে রেকর্ড। ফার্সি ১৩৯৭ সালের তুলনায় এই খাতে প্রবৃদ্ধি ছিল ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ।

সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ করছেন মাহদি মিরআশরাফি

ইরানের কাস্টমস বিভাগের মহাপরিচালক বলেন, ইরানের রপ্তানিপণ্যের মধ্যে শীর্ষে ছিল পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য এবং এ থেকে প্রমাণিত হয়, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের ক্ষেত্রে অপরিশোধিত তেলের ওপর নির্ভরশীলতা উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমাতে পেরেছে তেহরান।

ইরান কোন কোন দেশে পণ্য রপ্তানি করেছে তারও সংক্ষিপ্ত পরিসংখ্যান তুলে ধরে মাহদি মিরআশরাফি বলেন, বিগত ফার্সি বছরে ইরান চীনের কাছে সবচেয়ে বেশি পণ্য রপ্তানি করেছে এবং এরপর যথাক্রমে ইরাক, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও আফগানিস্তান ছিল ইরানি পণ্যের সবচেয়ে বড় ক্রেতা। তিনি বলেন, ইরানের প্রধান পাঁচ ক্রেতা দেশই এশিয়া মহাদেশের যাদের মধ্যে চারটি দেশ আবার ইরানের নিকটতম প্রতিবেশী।#

পার্সটুডে/এমএমআই/২৮

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

 

ট্যাগ