পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে গিয়ে সাফল্যের দাবি করলেন পম্পেও
(last modified Sun, 10 May 2020 11:48:12 GMT )
মে ১০, ২০২০ ১৭:৪৮ Asia/Dhaka

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালের ৮মে পরমাণু সমঝোতার তীব্র সমালোচনা করে এ চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এরপর তিনি দুই দফায় ইরানের বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে এবং পরমাণু সমঝোতা রক্ষায় যেকোনো উদ্যোগের বিরোধিতা করেন।

বর্তমানে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ওই ভুল পদক্ষেপের পক্ষে সাফাই গাইতে গিয়ে দাবি করেছেন, ওয়াশিংটন পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় আমেরিকা আরো বেশি নিরাপদ হয়েছে। পম্পেও এক টুইটার বার্তায় বলেছেন, 'ইরানের পরমাণু হুমকি ও সহিংসকামী আচরণ থেকে বিশ্বকে রক্ষার জন্যই দুই বছর আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন।' তিনি আমেরিকায় জনমত জরিপের ফলাফলের বিরুদ্ধে গিয়ে দাবি করেছেন, 'যখন আমরা পরমাণু সমঝোতায় ছিলাম  সেই সময়ের তুলনায় বর্তমানে আমেরিকা ও পশ্চিম এশিয়ো অঞ্চলে শান্তি ও নিরাপত্তা বিরাজ করছে।' 

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এমন সময় এসব দাবি করলেন যখন আমেরিকা পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর এবং পশ্চিম এশিয়া বিশেষ করে পারস্য উপসাগর অঞ্চলে সামরিক উপস্থিতি জোরদার করায় এ অঞ্চলে আরো বেশি নিরাপত্তাহীনতা ও অস্থিতিশীলতা তৈরি হয়েছে। আমেরিকায় জনমত জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে সেদেশের জনগণ মনে করেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় এবং ইরানের বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা দেয়ায় আমেরিকা আরো বেশি অনিরাপদ হয়ে উঠেছে।

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক টুইটবার্তায় বলেছে, ইকোনোমিস্ট, জি স্ট্রিট, ইরানি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিকদের ইউনিয়ন এবং উইলিয়াম অ্যান্ড মেরি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জনমত জরিপ চালানো হয়। এতে দেখা গেছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এ পদক্ষেপের প্রতি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মার্কিন জনগণের সমর্থন নেই।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বহুবার পরমাণু সমঝোতার সমালোচনা করে একে মার্কিন ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ চুক্তি বলে অভিহিত করেছিলেন। ট্রাম্প এ সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় দেশের ভেতরে ও বাইরে  ব্যাপক সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছেন। কিন্তু তারপরও এখনো ওই সমঝোতা থেকে বেরিয়ে গিয়ে তারা লাভবান হয়েছে বলে দাবি করছে। আগামী অক্টোবরে নিরাপত্তা পরিষদের ২২৩১ নম্বর প্রস্তাব অনুযায়ী ইরানের ওপর থেকে জাতিসংঘের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হতে চলেছে। এ অবস্থায় তিনি আবারো ওই নিষেধাজ্ঞা নবায়নের চেষ্টা করছেন এবং এ জন্য ফের পরমাণু সমঝোতায় ফিরে আসতে চাইছেন। কিন্তু চীন ও রাশিয়া মনে করে আমেরিকা বেআইনিভাবে পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে গিয়ে শুধু যে বড় ধরনের ভুল করেছে তাই নয় একইসঙ্গে অন্য দেশকেও নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব পদদলিত করতে বাধ্য করার চেষ্টা করছে।

যাইহোক, ইরানের ব্যাপারে সকল পদক্ষেপ ব্যর্থ হওয়ার পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন।#   

পার্সটুডে/রেজওয়ান হোসেন/১০

 

ট্যাগ