ইরানের বিরুদ্ধে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা নবায়নে পম্পেওর তৎপরতা অব্যাহত
-
জাওয়াদ জারিফ
পরমাণু সমঝোতা এবং জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ২২৩১ নম্বর প্রস্তাবের গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক হলো এই সমঝোতা বাস্তবায়নের শুরু থেকে পাঁচ বছর পর ইরানের ওপর থেকে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে।
এই হিসেব অনুযায়ী চলতি ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবার কথা। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা যাতে উঠে যেতে না পারে মানে সমঝোতার এই অনুচ্ছেদটি যাতে কার্যকর হতে না পারে আমেরিকা সে লক্ষ্যে দ্বিগুণ তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও গতকাল দাবি করেছে ইরানের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ অক্টোবরে শেষ হবার আগেই দেশটি রাশিয়া এবং চীনের কাছ থেকে অস্ত্র কেনার পদক্ষেপ নিয়েছে। সুতরাং ইউরোপ এবং এশিয়া ইরানের কব্জায় থাকবে। পম্পেও তার ব্যক্তিগত টুইটে লিখেছে: অক্টোবরে যদি ইরানের বিরুদ্ধে আরোপিত অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয় তাহলে দেশটি রাশিয়ার কাছ থেকে সুখোই-৩০ এবং চীনের কাছ থেকে জি-১০ এর মতো যুদ্ধ বিমান কিনবে। সেক্ষেত্রে এই মারাত্মক বিধ্বংসী যুদ্ধবিমানের সাহায্যে ইরানের কব্জায় ইউরোপ এবং এশিয়া চলে আসবে। আমেরিকা কখনোই তা হতে দেবে না।

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের আগে পম্পেওর এ ধরনের ইরানভীতি প্রচার করা এক ধরনের হাস্যকর বিষয় বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। কেননা ইউরোপে ইরানের হামলা করার তো প্রশ্নই আসে না। তাছাড়া ন্যাটো বিমান বাহিনীর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করে জঙ্গিবিমানের সাহায্যে ইউরোপে হামলা করার উদ্ভট চিন্তা মূলত ইরানের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা নবায়নের ক্ষেত্র প্রস্তুত করার অপচেষ্টা মাত্র। ন্যাটো বিমান বাহিনীর বিশাল অংশ জুড়ে রয়েছে মার্কিন সেনা।
বিষয়টি ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাওয়াদ জারিফের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। তিনি বলেছেন: বিশ্বকে বিভ্রান্ত করার ক্ষেত্রে পম্পেও ভীষণরকম হতাশ হয়ে পড়েছেন।
আমেরিকা গত সোমবার নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের কাছে ইরানের বিরুদ্ধে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা নবায়নের লক্ষ্যে একটি খসড়া প্রস্তাব দিয়েছে। ওই প্রস্তাবের ওপর আজ আলোচনা হতে পারে। চীন এবং রাশিয়া নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হিসেবে ভেটো ক্ষমতার অধিকারী। এই দুই দেশ এরিমধ্যে আমেরিকার ওই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থানের কথা জানিয়ে দিয়েছে।#
পার্সটুডে/এনএম/২৪
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।