‘আইন মেনে চলা দেশগুলোকে শাস্তি প্রদানকারী প্রথম দেশ আমেরিকা’
-
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ
নিজে পরমাণু সমঝোতা লঙ্ঘন করে অন্য দেশগুলোকে এই সমঝোতা লঙ্ঘনে বাধ্য করার যে প্রচেষ্টা আমেরিকার চালিয়েছে তার তীব্র সমালোচনা করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ। তিনি সোমবার রাতে এক টুইটার বার্তায় এ সমালোচনা করার পাশাপাশি মার্কিন সরকারের বলদর্পী মনোভাবেরও তীব্র নিন্দা জানান।
জারিফের টুইটার বার্তায় বলা হয়েছে, আমেরিকা শুধু নিজে পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যায়নি বরং অন্য দেশগুলোকেও বলপ্রয়োগের মাধ্যমে এই সমঝোতা লঙ্ঘনে বাধ্য করছে।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার টুইটার বার্তায় বলেন, জাতিসংঘের ইতিহাসে আমেরিকা প্রথম কলঙ্কিত দেশ যে কিনা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব (সুস্পষ্টভাবে ২২৩১ নম্বর প্রস্তাব) মেনে চলার দায়ে বিভিন্ন দেশকে শাস্তি দিয়েছে।

আমেরিকা, ফ্রান্স, ব্রিটেন, জার্মানি, চীন ও রাশিয়া এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন মিলে ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে পরমাণু সমঝোতা সই করে। এটি সই করার এক সপ্তাহের মধ্যে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ২২৩১ নম্বর প্রস্তাব পাস করে সমঝোতাটিকে আন্তর্জাতিক আইনে পরিণত করা হয়।
কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালের ৮ মে গায়ের জোরে ওই প্রস্তাব লঙ্ঘন করে পরমাণু সমঝোতা থেকে আমেরিকাকে বের করে নেন এবং একই বছরের নভেম্বরে তেহরানের ওপর ওয়াশিংটনের একতরফা সব নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দেন। তিনি গত দুই বছর ধরে এ সমঝোতায় স্বাক্ষরকারী বাকি দেশগুলোকেও এটি লঙ্ঘনে বাধ্য করে এসেছেন।
আমেরিকার চাপের মুখে পরমাণু সমঝোতায় স্বাক্ষরকারী বাকি দেশগুলো ইরানবিরোধী মার্কিন নিষেধাজ্ঞা পালন করে আসলেও একইসঙ্গে এসব দেশ মৌখিকভাবে এই সমঝোতা রক্ষা করার কথা বলে আসছে।এখন পর্যন্ত আমেরিকা ছাড়া অন্য কোনো দেশ এই সমঝোতা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বেরিয়ে যাওয়ার কথা বলেনি বরং এই সমঝোতা ধরে রাখার আহ্বান জানিয়ে এসেছে।#
পার্সটুডে/এমএমআই/৩০
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।