তাবাসের ‘ইসফাহাক’: প্রকৃতির মতই প্রাণবন্ত ও সজীব একটি গ্রাম
(last modified Tue, 21 Jul 2020 05:37:59 GMT )
জুলাই ২১, ২০২০ ১১:৩৭ Asia/Dhaka
  • ইসফাহাক গ্রাম
    ইসফাহাক গ্রাম

প্রকৃতির অপরূপ শোভায় সমৃদ্ধ গ্রামের সৌন্দর্য ও জীবনধারা অকৃত্রিম। প্রকৃতির মতই প্রাণবন্ত ও সজীব গ্রামগুলো যে কোনো দেশ বা জনপদের মূল সম্পদ এবং মৌলিক অবকাঠামোর অংশ। নৈসর্গিক সৌন্দর্য ছাড়াও গ্রামগুলোর রয়েছে কূটির শিল্প, পল্লী-সাহিত্য ও সংস্কৃতিসহ ভৌগোলিক ও আঞ্চলিক নানা আকর্ষণ। এসবই যে কোনো জাতির মূল জীবনধারা ও সংস্কৃতির অবিচ্ছিন্ন অংশ।

ইসফাহাক গ্রাম

বিভিন্ন গোত্রের বৈচিত্রময় ভাষা ও সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ গ্রামগুলো যেন বৃহত্তর মানব সভ্যতার পুষ্প-মাল্যের এক একটি আকর্ষণীয় ফুল। গ্রামাঞ্চলের নানা পেশার কষ্ট-সহিষ্ণু মানুষেরা মানব-সভ্যতায় অতীতের মত এখনও অবদান রেখে চলেছেন অকৃপন ঔদার্য্যে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত ইরানের গ্রামগুলোও এর ব্যতিক্রম নয়। ইরানের গ্রামগুলোর পরিচিতি ছাড়া দেশটির পরিচয় অসম্পূর্ণ।

ইসফাহাক গ্রাম

পূর্ব ইরানের তাবাস থেকে ৩৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত একটি গ্রাম ‘ইসফাহাক’। এখানকার কঠোর পরিশ্রমী বাসিন্দাদের অধিকাংশই কৃষি কাজ ও পশু প্রজনন পেশার সাথে জড়িত। গ্রামের ঘরবাড়িগুলো সাধারণত একতলা বিশিষ্ট। বাসার ছাদ গম্বুজের মতো এবং জানালাগুলো ছোট ছোট। পুরোনো বাসাগুলো সাধারণত ছোট ছোট ইট ও কাদা দিয়ে নির্মিত। 

ইসফাহাক গ্রাম জার্মানির সম্মানজনক পুরস্কার ‘টু-ডু অ্যাওয়ার্ড ২০২০’ লাভ করেছে। পর্যটনে বিশেষ অবদান রাখায় গ্রামটি এই পুরস্কার জিতেছে। প্রতি বছর জার্মানি ইনস্টিটিউট ফর ট্যুরিজম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করে।

পর্যটন প্রকল্প, পদক্ষেপ, পণ্য ও সেবার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে স্থানীয় জনগণের প্রয়োজনীয়তা ও বিভিন্ন স্বার্থকে আমলে নেয়ার লক্ষ্যে এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।#

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/২১

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ