‘আমাদের লক্ষ্য ২০ থেকে ৩০ হাজার মেগাওয়াট পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন’
ইরানের আণবিক শক্তি সংস্থার প্রধান আলী আকবর সালেহি বলেছেন, সর্বোচ্চ নেতার দিক-নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা দেশে ২০ হাজার থেকে ৩০ হাজার মেগাওয়াট পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে চাই। ইরানে বর্তমানে মাত্র এক হাজার মেগাওয়াট পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়।
সালেহি গতকাল (শনিবার) ইরানি সংসদ সদস্যদের সঙ্গে এক বৈঠকে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, বর্তমানে যে এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয় তা আসে বুশেহর পরমাণু স্থাপনা থেকে।
এই স্থাপনাটি ২০ বছরেরও বেশি সময় আগে নির্মিত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, অনেকগুলো কারণে এই স্থাপনা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রক্রিয়া শুরু হতে সময় লেগেছে।
ইরানের আণবিক শক্তি সংস্থার প্রধান বলেন, একটি পশ্চিমা ব্যবস্থার সঙ্গে প্রাচ্যের ব্যবস্থার সংযোগ ঘটিয়ে বুশেহর স্থাপনাকে দাঁড় করাতে হয়েছে এবং ২০১৩ সালে এখান থেকে প্রথম এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা সম্ভব হয়েছে।
সালেহি বলেন, পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন ব্যয়বহুল হলেও পরবর্তীতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচ অনেক কম পড়ে। গড়পড়তায় একটি পারমাণবিক স্থাপনা থেকে ৬০/৭০ বছর পর্যন্ত ভালোভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়। আর এই সময়ে এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য তিন থেকে চার কোটি ডলারের জ্বালানী লাগে।
১৯৭৯ সালে ইরানের ইসলামি বিপ্লবের আগে জার্মানির সহযোগিতায় বুশেহর পারমাণবিক স্থাপনা নির্মাণের কাজ শুরু হয়। কিন্তু বিপ্লব হওয়ার পর জার্মানরা এটি নির্মাণের কাজ অসমাপ্ত রেখে চলে যায়। পরবর্তীতে রাশিয়ার সহযোগিতায় বুশেহর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের কাজ শেষ করে ইরান। #
পার্সটুডে/এমএমআই/২৭
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।