“সুন্দর পরিবার গঠনে ‘আদর্শ মানুষ গড়ার কৌশল’ অনুষ্ঠানটির বিকল্প নেই”
(last modified Mon, 09 Aug 2021 05:37:49 GMT )
আগস্ট ০৯, ২০২১ ১১:৩৭ Asia/Dhaka
  • “সুন্দর পরিবার গঠনে ‘আদর্শ মানুষ গড়ার কৌশল’ অনুষ্ঠানটির বিকল্প নেই”

জনাব, আমার অনেক অনেক প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানবেন। রেজোয়ান হোসেন ও বাবুল আখতারের উপস্থাপনায় ‘আদর্শ মানুষ গড়ার কৌশল’ অনুষ্ঠানটির ২১তম পর্ব শুনে মুগ্ধ হয়েছি। তাই রেডিও তেহরানের প্রতি ভালোলাগার কথা প্রকাশ না করে থাকতে পারলাম না।

১ আগস্ট ‘আদর্শ মানুষ গড়ার কৌশল’ অনুষ্ঠানে শৃঙ্খলা ও নিয়মানুবর্তিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। মানুষের জীবনে শৃঙ্খলা ও নিয়মানুবর্তিতা মেনে চলা খুব জরুরি। আর এটি শিক্ষার প্রধান স্থান হল পরিবার। পরিবার থেকেই শিশু-কিশোরেরা নিয়মানুবর্তিতা শেখে। সেজন্যে যে কাজগুলো বেশি জরুরি সেগুলো আগে করতে হবে। আর কাজের সময় আগেই ঠিক করে নিতে হবে।

মানুষের কিছু কাজ থাকে ব্যক্তিগত, আর কিছু কাজ থাকে সামাজিক। দু’ধরণের কাজই গুরুত্বপূর্ণ। সমাজ জীবন ছাড়া ব্যক্তিগত জীবন চলতে পারে না, আর ব্যক্তিগত জীবন ছাড়া সমাজ গড়ে উঠতে পারে না। তাই ব্যক্তিগত ও সামাজিক কাজের মধ্যে সমন্বয় সাধন করতে হবে।

শৃঙ্খলা ও নিয়মানুবর্তিতা উন্নতির প্রধান সোপান। সময়মত প্রতিটি কাজ সম্পন্ন করা আবশ্যক। তাই কখন কোন কাজ করতে হবে, তা আগেই ঠিক করে নিতে হবে। শিশু ও কিশোরদেরকে দায়িত্বশীল ও নিয়মানুবর্তিতা শেখাতে হবে। আর এটি শেখাবেন বাবা-মা, শিক্ষক ও পরিবার। শিশুরা দেখে শিখে বেশি। তাদেরকে বারবার বলার চেয়ে বাবা-মা ও পরিবারের অন্য সদস্যরা যদি নিয়মানুবর্তিতা মেনে চলেন, তাহলে শিশু-কিশোররাও তাতে অভ্যস্ত হয়ে উঠবে।

শিশু-কিশোরদের বয়স বিবেচনায় তাদেরকে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। বেশি কঠোরতা দেখাতে গেলে তারা নিয়ম মানবে না। আবার তাদের বেশি স্বাধীনতা দিলেও তারা শৃঙ্খলাবোধ শিখবে না। তাই সচেতন ও বুদ্ধিমান অভিভাবকেরা মধ্যপন্থা অবলম্বন করেন। ইসলাম পরিবারের সদস্যের সাথে ভারসাম্যপূর্ণ আচরণ করার কথা বলে। ইসলাম লাগামহীন স্বাধীনতার পক্ষে নয়, আবার অধিক কঠোর হওয়ার পক্ষেও নয়।

অভিভাবক যদি নিয়ম মেনে না চলেন তবে শিশু-কিশোরদেরকে বারবার বললেও সে নিয়ম মেনে চলবে না। কারণ তারা অনুকরণপ্রিয়। আবার শিশু-কিশোরদের সবাই সবসময় সব নিয়ম মেনে চলবে তা আশা করা ঠিক নয়। তাই তাদেরকে মাঝেমধ্যেই এসব মনে করিয়ে দিতে হবে।

সুন্দর পরিবার গঠনে ‘আদর্শ মানুষ গড়ার কৌশল’ অনুষ্ঠানটি শোনার বিকল্প নেই। আমি মনে করি, যারা এ অনুষ্ঠান শুনছেন তারা এ থেকে খুবই উপকৃত হচ্ছেন। আর যারা এ অনুষ্ঠানটি শুনছেন না, তাদেরকে শোনার আমন্ত্রণ জানাই। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, যে কেউ এর যে কোন দুটি পর্ব শুনলে পরবর্তী পর্বগুলো আর না শুনে থাকতে পারবেন না।  

 

শরিফা আক্তার পান্না

(অর্থ-সম্পাদক, আইআরআইবি ফ্যান ক্লাব, কিশোরগঞ্জ)

ছায়াপ্রস্থ, ২০৬/১ খড়ম পট্টি, কিশোরগঞ্জ- ২৩০০, বাংলাদেশ।

 

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/৯

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

 

 

ট্যাগ