‘আদর্শ মানুষ গড়ার কৌশল অনুষ্ঠানের ২২তম পর্ব থেকে যা জানলাম ও শিখলাম’
(last modified Wed, 25 Aug 2021 06:30:21 GMT )
আগস্ট ২৫, ২০২১ ১২:৩০ Asia/Dhaka
  • ‘আদর্শ মানুষ গড়ার কৌশল অনুষ্ঠানের ২২তম পর্ব থেকে যা জানলাম ও শিখলাম’

লেখনীর প্রথমে রেডিও তেহরান বাংলা বিভাগের সকল কুশীলবদের এবং আমার প্রিয় শ্রোতা বন্ধুদের জানাই আন্তরিক প্রীতিময় শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা। আশা রাখি মঙ্গলময় ঈশ্বরের কৃপায় সবাই ভালো আছেন।

শ্রদ্ধেয় গাজী আবদুর রশীদ ও শ্রদ্ধেয়া আক্তার জাহান-এর সুমিষ্ট উপস্থাপনায় ‘আদর্শ মানুষ গড়ার কৌশল’ অনুষ্ঠানের ২২তম পর্ব মনোযোগ সহকারে শুনলাম। শুনে বিশেষ শিক্ষা লাভ করলাম।  

শিশুদের শৈশবকালীন অবস্থাতেই নৈতিক ও ধর্মীয় শিক্ষার প্রশিক্ষণ দিতে হবে। এই প্রশিক্ষণ দেওয়ার ক্ষেত্রে অভিভাবকদের সতর্ক দৃষ্টি বা পরিকল্পনা কেবল জরুরি নয়, অপরিহার্যও বটে। অভিভাবকদের দায়িত্ব প্রসঙ্গে উপস্থাপক ও উপস্থাপিকাদ্বয় যে উদাহরণ ও উপমা তুলে ধরলেন তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। যেমন-

"শিশুদের যা শেখানো হয় তা পাথরের খোদাই করা নকশার মত চিরস্থায়ী হয়" এবং "সময়ের এক ফোঁড় অসময়ের দশ ফোঁড়"

শৈশবে যেটা শেখানো সোজা ও সহজ বড় হয়ে তা কঠিন হয়ে যায়। যেমন ফসলের ক্ষেতে আগাছা জাতীয় গাছ হলে তা প্রথমেই উপড়ে ঝেড়ে ফেলতে হয়, আর তা না করলে আগাছা অপ্রয়োজনীয় গাছ মাটিতে শক্তভাবে গেঁথে যায় তখন তা উপড়ে ফেলতে খুব কষ্ট ও কঠিন হয়ে পড়ে। ঠিক তেমনই শৈশবে সুশিক্ষা বা ভালো কিছু না শেখালে বড় হয়ে তা কঠিন হয়ে যায়। আর শৈশবের মন্দ প্রকৃতির স্বভাবগুলো বড় হয়ে দূর করা কঠিন হয়ে যায়। 

মুসলমান শিশুদের নামাজ শেখাতে হয়। ধর্মীয় মূল্যবোধ শেখাতে হবে, নামাজের গুরুত্ব তুলে ধরতে হবে, নামাজ আদায়ে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। ধর্মীয় শিক্ষা জোর করে দেওয়া ফলদায়ক নয়। জোর করে চাপানো কাজের বিপরীত ফলও হতে পারে। এরপর শৈশবের বিভিন্ন বয়সে নামাজ শেখানোর বিষয় নিয়ে আলোচনা ভালো লাগলো। এই পরিবেশনা শুনে একজন অভিভাবক তার শিশুকে নামাজ শেখাতে পারবে। 

শ্রদ্ধা, ভক্তি, মূল্যবোধ, ধর্মীয় ও নৈতিকতার শিক্ষা শৈশবকালে দেওয়াটাই যথাযথ- এ শিক্ষা আমি এই অনুষ্ঠান থেকে পেলাম। তাই এই অনুষ্ঠানটি আমার কাছে বিশেষ শিক্ষণীয় ও আকর্ষণীয় লাগল। 

তবে আর একটা বিষয় হল- ভিডিও গেমের মাধ্যমে ধর্মীয় শিক্ষা কতটা লাভ করা যায়, তা আমার বোধগম্য হল না। 

'আদর্শ মানুষ গড়ার কৌশল ' ছাড়াও এদিনের বিশ্বসংবাদ, দৃষ্টিপাত, আসমাউল হুসনা, কথাবার্তা সবগুলো পরিবেশনা বিশেষ মনোযোগ সহকারে শুনেছি। 

আজ এখানেই ইতি টানলাম। অজান্তে ভুল কিছু লিখে থাকলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এই আশা রাখি।   

শেষান্তে রেডিও তেহরান বাংলা বিভাগের দীর্ঘায়ু ও শ্রীবৃদ্ধি কামনা করছি। 

        

ধন্যবাদান্তে

মনীষা রায় 

গ্রাম ও পোস্ট: ধুলিয়া খালিসা,

থানা: মেখলিগঞ্জ, জেলা: কোচবিহার, 

পশ্চিমবঙ্গ, ভারত। 

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/২৫

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন। 

ট্যাগ