অক্টোবর ০৫, ২০২১ ১৩:১৬ Asia/Dhaka
  • ‘ইরান-ইরাক যুদ্ধের ইতিহাস’ ও ‘পাশ্চাত্যে জীবন ব্যবস্থা’ সম্পর্কে অভিমত

প্রিয় মহোদয়,  আসসালামু আলাইকুম। আমার প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানবেন। রেডিও তেহরানের বাংলা বিভাগ থেকে ২ অক্টোবর প্রচারিত অনুষ্ঠানগুলোর মধ্যে ‘ইরান-ইরাক যুদ্ধের ইতিহাস’ আমার খুব ভালো লেগেছে।

গত আসরে ইরানের উপর নিষেধাজ্ঞার ফলে দেশটির অর্থনৈতিক দুরবস্থার কথা তুলে ধরা হয়। আজকের আসরে ইরানের সামরিক পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে। সারগর্ভ আলোচনা খুব খুব ভালো লেগেছে।

অনুষ্ঠান থেকে আমরা জানতে পারি যে, ইরাকের বিরুদ্ধে ইরানের যুদ্ধের মূলধন ছিল জনসমর্থন। কিন্তু ইরাকি বাহিনী কর্তৃক বেসামরিক স্থাপনায় হামলায় ইরানের প্রভূত ক্ষতি হচ্ছিল। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ইরানকে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানালে ইরান তাতে ইতিবাচকভাবে সাড়া দেয়। তবে শর্ত দেয় যে, যুদ্ধ শুরু করার জন্য ইরাককে দায়ী করতে হবে।

চাপিয়ে দেয়া যুদ্ধের ফলে ইরান দক্ষিণাঞ্চলে বেশ কিছুদিন যুদ্ধ না করায় ইরাক সেখানে শক্তিশালী হয়ে উঠে। আমেরিকা ও জাতিসংঘ যুদ্ধ বন্ধের চেষ্টা চালালেও এ বিষয়ে তারা আন্তরিক ছিল না। অথচ তাদের উচিত ছিল ইরানের দাবি মেনে নিয়ে আলোচনা অব্যাহত রাখা।

ইরান যুদ্ধের ভারসাম্য নিজেদের দিকে নিয়ে আসতে সমর্থ হয়েছিল। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ইরাককে অর্থ ও অস্ত্র দিয়েও ইরানকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। আসলে এটি ছিল অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়ের যুদ্ধ। আর ইরাক যেহেতু অন্যায়কারী, সেহেতু তারা এ যুদ্ধে জয়লাভ করতে পারেনি।

তথ্যবহুল অনুষ্ঠানটির জন্য ধন্যবাদ জানাই।

অন্যদিকে, ১ অক্টোবর শুক্রবার প্রচারিত অনুষ্ঠানগুলোর মধ্যে ‘পাশ্চাত্যে জীবন ব্যবস্থা’ আমার খুব ভালো লেগেছে। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনায় ছিলেন আকতার জাহান ও নাসির মাহমুদ।

পাশ্চত্যের দেশগুলোতে ঘরে পোষা প্রাণীর সাথে মানুষের বসবাসের সংখ্যা বাড়ছে। অনেক দেশে পোষা প্রাণীর সাথে বসবাস করাটা সংস্কৃতির অংশে পরিণত হয়েছে। এ বিষেয়ে আলোচনা খুব ভালো লেগেছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, নিউইয়র্কের এক-তৃতীয়াংশ পরিবার সন্তান লালন-পালনের চেয়ে কুকুর লালন-পালনে অধিক আগ্রহী। তারা শিশু সন্তানের চেয়ে কুকুর-বিড়ালকে অধিক যত্ন নেন। ওদের সাথে কথা বলেন। ওদেরকে অবসরের সঙ্গী মনে করেন। অনেক পরিবার সন্তান নিতে চান না। সন্তানের বিকল্প হিসেবে তারা পশু-পাখিকে স্নেহ করেন, আদর করেন, ভালোবাসেন, সেবা-যত্ন করেন।

বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে, যারা প্রাণী পালন করেন, তাদের নানা রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কেননা, কুকুর ও বিড়াল হতে মারাত্মক রোগ-ব্যাধি ছড়াতে পারে। এসব নিরীহ প্রাণী থেকে মারাত্মক রোগ সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকে।

অনুষ্ঠান শুনছি আর ভাবছি, মানুষ কিভাবে এতটা নিচে নেমে গেল। মানুষের পরিবর্তে পাশ্চাত্যের মানুষ এখন পশু-পাখির সঙ্গ উপভোগ করে। সভ্যতা ক্রমেই আবার অসভ্যতায় গিয়ে মিশছে।

ইসলাম ধর্ম এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে। মুসলমানদের তা মেনে চলা উচিত। তাহলেই পৃথিবীতে শান্তি ফিরে আসবে।  ধন্যবাদান্তে,

 

মোঃ শাহাদত হোসেন

সহকারী অধ্যাপক, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ

গুরুদয়াল সরকারি কলেজ, কিশোরগঞ্জ-২৩০০, বাংলাদেশ।

 

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/৫

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ