'সুখের নীড় ধারাবাহিকটির প্রতি শ্রোতাদের মনোযোগ আকৃষ্ট হয়েছে আশাব্যঞ্জকভাবে'
(last modified Thu, 24 Feb 2022 13:53:30 GMT )
ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২২ ১৯:৫৩ Asia/Dhaka
  • 'সুখের নীড় ধারাবাহিকটির প্রতি শ্রোতাদের মনোযোগ আকৃষ্ট হয়েছে আশাব্যঞ্জকভাবে'

সুপ্রিয় প্রযোজক, প্রিয়জন, আসসালামু আলাইকুম। সবাইকে ফাল্গুনী তথা বাসন্তী শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের লেখা শুরু করছি। আশা করছি আপনারা কুশলে আছেন। 

সম্প্রতি রেডিও তেহরানের বাংলা অনুষ্ঠানে নতুন ধারাবাহিক 'সুখের নীড়' যুক্ত হয়ে ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকটি পর্ব প্রচারিত হয়েছে। ধারাবাহিকটির প্রতি শ্রোতাবন্ধুদের মনোযোগও আকৃষ্ট হয়েছে আশাব্যঞ্জকভাবে। 

'সুখের নীড়' নিঃসন্দেহে শ্রোতাদের পরিবারগুলোকে একেকটি সুখী পরিবার হিসেবে গড়ে তোলার জন্য অনুপ্রেরণাদায়ক অনুষ্ঠান। 'সুখের নীড়'-এর বিগত পাঁচটি পর্বে আমরা ইরানি পরিবারের বৈশিষ্ট্য, সুখ-শান্তিপূর্ণ আদর্শ পরিবার গঠনের উপায়, ইরানের একান্নবর্তী পরিবারের আদর্শ এবং ৭৫ বছর বয়সী এক পরিবার প্রধানের সাত পুত্র ও দুই কন্যা নিয়ে সুখে শান্তিতে বসবাসের চমৎকার অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত সম্পর্কে জেনেছি। 

আমাদের অর্থাৎ বাংলাদেশের অধিকাংশ পরিবারগুলো কেন অশান্তিতে ভরপুর তা সহজেই অনুমেয়। বিয়ের ক্ষেত্রে পাত্র-পাত্রী নির্বাচনে অসামঞ্জস্যতা, পাত্র ও পাত্রীর পরিবারে আর্থিক, ধর্মীয়, আচরণগত, বংশগত ও অন্যান্য অসঙ্গতি সংশ্লিষ্ট পরিবারগুলোতে যেমন শান্তি আনয়ন করতে পারে না তেমনি ঐসব পরিবার সমাজের জন্যেও কোনো কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না। 

পাত্রপাত্রী বাছাইয়ের মানদণ্ড নিরুপণে বাহ্যিক সৌন্দর্যকেই মুখ্য মনে করা হয়। ইসলামের পরিভাষায় কুফুর গুরুত্ব তো দূরের কথা বরং কুফু কি সেটাই বা জানে ক'জনে? অথচ সবাই মুসলিম। ইসলামে মা-বাবার সেবার গুরুত্ব কমবেশি সবাই জানার কথা। কিন্তু আজকাল অনেক আধুনিক শিক্ষিত ও উচ্চ শিক্ষিত এবং বিত্তবান সন্তানের বয়োবৃদ্ধ মা-বাবার জীবনের শেষ আশ্রয়স্থল হয়ে থাকে বৃদ্ধাশ্রমে। আসলে গোড়ায় গলদ থাকলে যা হয়ে থাকে। 

সুখের নীড় গঠনের জন্য নারীর প্রতি সম্মান দেখানো উচিত যা অনেকাংশেই সমাজে অনুপস্থিত। পুরুষদের জীবনে নানা সাফল্যের নেপথ্যে মা-বোন, স্ত্রীর সহায়ক ভূমিকা অপরিহার্য তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই তো আমাদের জাতীয় কবি, প্রিয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম যথার্থই বলেছেন, "পৃথিবীর যত সুন্দর সৃষ্টি চির কল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী অর্ধেক তার নর"। 

'সুখের নীড়'-এর বিগত পর্বগুলো থেকে আমরা ইরানের একান্নবর্তী, অনু ও ক্ষুদ্র পরিবারসহ কয়েক প্রকার পরিবার সম্পর্কে জেনেছি। আমরা এও জেনেছি যে, মা-বাবার সেবার জন্য সংযুক্ত ও যৌথ পরিবার ব্যবস্থা বেশি উপযুক্ত। 

পরিশেষে এই চমৎকার ধারাবাহিকটির প্রতিটি পর্ব শ্রোতা বন্ধুদের স্ব স্ব পরিবারের অসামঞ্জস্য দূর করে ইতিবাচক পরিবর্তন এনে পরিবারগুলোতে শান্তির সুবাতাস বয়ে আনুক এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে আজকের মত ইতি টানছি। সবাই ভালো থাকুন আর ভালো থাকুক প্রিয় রেডিও তেহরান। 

 
শুভ কামনাসহ- 

আব্দুল কুদ্দুস

প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি, শাপলা শর্টওয়েভ রেডিও লিসেনার্স ক্লাব 

উত্তর ধলডাঙ্গা, শিলখুড়ী, ভূরুঙ্গামারী, 

কুড়িগ্রাম-৫৬৭০, বাংলাদেশ। 

 

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/২৪

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ