'ইমাম সাজ্জাদ (আ.) শাহাদতবার্ষিকীর বিশেষ অনুষ্ঠানটি ছিল তথ্যবহুল ও শিক্ষণীয়'
(last modified Wed, 10 Aug 2022 08:45:42 GMT )
আগস্ট ১০, ২০২২ ১৪:৪৫ Asia/Dhaka
  • 'ইমাম সাজ্জাদ (আ.) শাহাদতবার্ষিকীর বিশেষ অনুষ্ঠানটি ছিল তথ্যবহুল ও শিক্ষণীয়'

প্রিয় মহোদয়, আসসালামু আলাইকুম। আমার প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানবেন। লক্ষ লক্ষ শ্রোতার মত রেডিও তেহরান আমারও প্রিয় বেতার কেন্দ্র। ইসলাম ও ইসলামী বিশ্বকে সঠিকভাবে জানার জন্য রেডিও তেহরানের বিকল্প নেই। সুন্দর চরিত্র গঠন ও ইসলামী আদর্শে জীবন পরিচালনার জন্য রেডিও তেহরানের বিকল্প নেই। তাই রেডিও তেহরান আমার নিত্য দিনের সঙ্গী।

বরাবরের মত আজও (০৯/০৮/২০২২, মঙ্গলবার) রেডিও তেহরানের বাংলা অনুষ্ঠান একযোগে শর্টওয়েভ, ওয়েবসাইট ও ফেসবুক লাইভে প্রচারিত হয়েছে। আমি ফেসবুক লাইভে পুরো অনুষ্ঠানটি শুনেছি। ফেসবুকে আজ চমৎকার শোনা গিয়েছে।

আজকের (০৯/০৮/২০২২, মঙ্গলবার) প্রচারিত অনুষ্ঠানগুলো হল: বিশ্বসংবাদ, দৃষ্টিপাত, বিশেষ অনুষ্ঠান (ইমাম সাজ্জাদ আ.-এর শাহাদাত বার্ষিকী) ও কথাবার্তা। এসব অনুষ্ঠানের মধ্যে ইমাম সাজ্জাদ (আ.)-এর শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে প্রচারিত অনুষ্ঠানটি আমাদের খুব ভালো লেগেছে। এ অনুষ্ঠান থেকে আমরা ইমাম সাজ্জাদ অর্থাৎ জয়নাল আবেদীন (আ.)-এর সাহসিকতা ও মানবিকতা সম্পর্কে জানতে পেরেছি। শোকাবহ এ মহররম মাসে ইমাম জয়নাল আবেদীন (আ.)-এর প্রসঙ্গ আসলে অবধারিতভাবেই কারবালার প্রসঙ্গ চলে আসে। একদিকে ইয়াজিদের নির্মমতা যেমন আমাদের ক্ষুব্ধ করে, তেমনি অপরদিকে ইমাম জয়নাল আবেদীন (আ.)-কে রক্ষার ব্যাপারে ফুফু হযরত জাইনাব (সা.)-এর সাহসী ভূমিকা আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করে, সাহস জুগায়।

অনুষ্ঠানের পরতে পরতে ইয়াজিদের নৃশংসতা ও কপটতা ফুটে উঠেছে। বর্তমান যুগেও অনেক মুসলিম দেশে ইয়াজিদের মত কপট ও লোভী শাসক রয়েছে। তাদের কারণে মুসলিম উম্মাহ এক কাতারে আসতে পারছে না। আমরা এসব লোভী ও কপট শাসকদেরকে তাদের কপটতা পরিত্যাগ করে ইসলামের ন্যায়ের পথে, আহলে বাইতের দেখানো পথে ফিরে আসার আহ্বান জানাই। 

অন্যদিকে অনুষ্ঠানের প্রতিটি ক্ষণে ইমাম জয়নাল আবেদীন (আ.) ও হযরত জাইনাব (সা.) এর সাহসিকতা, ধৈর্য্য, আল্লাহর প্রতি ভরসা ও তাঁদের জ্ঞানের পরিচয় ফুটে উঠেছে। আসলে কারবালার ঘটনার পর ইমাম জয়নাল আবেদীন (আ.) ও তাঁর বোন হযরত জাইনাব  (সা.) যদি জীবিত না থাকতেন তাহলে কারবালার শহীদদের আত্মত্যাগ ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংঘটিত ঐ বিপ্লবকে নিছক একটা দুর্ঘটনা বলে প্রচার করার ইয়াজিদি চক্রান্ত সফল হতো। উমাইয়া শাসকরা তখন এটাও প্রচার করতো যে ইমাম হুসাইন (আ.) ইয়াজিদের মতো তাগুতি শাসকের শাসন মেনে নিয়েছিলেন। আর এর ফলে পবিত্র ইসলাম ধর্মকে অবিচারের ব্যাপারে আপোষকামী  ধর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার ষড়যন্ত্রও সফল হতো। কিন্তু মহান আল্লাহর ইচ্ছায় হযরত ইমাম জয়নাল আবেদীন (আ.) ও হযরত জাইনাব (সা.) কারবালা থেকে বন্দী অবস্থায় কুফা ও দামেস্কে যাবার পথেই স্বল্প সময়ে জনগণকে জানিয়ে দেন যে কারবালায় প্রকৃত ঘটনা কী ঘটেছিল এবং কারা ছিল ইসলামের জন্যে নিবেদিত-প্রাণ ও কারা ছিল ইসলামের লেবাসধারী জালেম শাসক।

কারবালার মত এমন হৃদয়বিদারক ঘটনা বিশ্বে আর দ্বিতীয়টি নেই। কিন্তু মহান আল্লাহ জালেম ইয়াজিদের সকল কুচক্রকে পাশ কাটিয়ে ইমাম জয়নাল আবেদীন (আ.)-কে শুধু জীবিতই রাখেননি, সম্মানিতও করেছেন। আর এমন সাবলীল, তথ্যবহুল ও শিক্ষণীয় একটি অনুষ্ঠান আমাদেরকে উপহার দেয়ায় রেডিও তেহরান বাংলা বিভাগের সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই। 

 

ধন্যবাদান্তে,

মোঃ শাহাদত হোসেন

সহকারী অধ্যাপক, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ

গুরুদয়াল সরকারি কলেজ, কিশোরগঞ্জ- ২৩০০, বাংলাদেশ।

 

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/১০

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ