'অনুষ্ঠান শুনতে শুনতে মন কখন যেন আরবের মরুভূমিতে হারিয়ে গিয়েছিল'
https://parstoday.ir/bn/news/letter-i113692-'অনুষ্ঠান_শুনতে_শুনতে_মন_কখন_যেন_আরবের_মরুভূমিতে_হারিয়ে_গিয়েছিল'
প্রিয় মহোদয়, আসসালামু আলাইকুম। আমার প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানবেন। রেডিও তেহরানের বাংলা বিভাগ থেকে আজকের (২৪/০৯/২০২২, শনিবার) প্রচারিত অনুষ্ঠানগুলো হল- বিশ্বসংবাদ, দৃষ্টিপাত, বিশেষ অনুষ্ঠান (বিশ্বনবীর ওফাতবার্ষিকী) ও কথাবার্তা।
(last modified 2025-10-27T13:35:51+00:00 )
সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২২ ১৫:৩৫ Asia/Dhaka
  • 'অনুষ্ঠান শুনতে শুনতে মন কখন যেন আরবের মরুভূমিতে হারিয়ে গিয়েছিল'

প্রিয় মহোদয়, আসসালামু আলাইকুম। আমার প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানবেন। রেডিও তেহরানের বাংলা বিভাগ থেকে আজকের (২৪/০৯/২০২২, শনিবার) প্রচারিত অনুষ্ঠানগুলো হল- বিশ্বসংবাদ, দৃষ্টিপাত, বিশেষ অনুষ্ঠান (বিশ্বনবীর ওফাতবার্ষিকী) ও কথাবার্তা।

তন্মধ্যে বিশ্বসংবাদ, দৃষ্টিপাত ও কথাবার্তা তো ভালো লেগেছেই। কিন্তু অধিক ভালো লেগেছে আমাদের প্রিয় নবী (সা.)-এর ওফাত বার্ষিকী উপলক্ষে প্রচারিত অনুষ্ঠানটি। এমন ভাবগম্ভীর ও তথ্যবহুল অনুষ্ঠানটির জন্য রেডিও তেহরানের বাংলা বিভাগকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।

আজকের (২৪/০৯/২০২২, শনিবার) বিশেষ অনুষ্ঠান ‘বিশ্বনবীর (সা.) ওফাতবার্ষিকী’ ছিল অসাধারণ এক অনুষ্ঠান। আকতার জাহান ও নাসির মাহমুদের উপস্থাপনায় বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ সম্পর্কে নতুন করে জানার সুযোগ হল এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। পৃথিবীর সবচেয়ে পশ্চাৎপদ জাতি থেকে উঠে আসা মানুষটি ঐ জাতিকে উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছে দিয়েছিলেন। বিশ্বের সবচেয়ে পঠিত ও অনুকরণীয় মানুষ তিনি। তিনি সর্বকালের সেরা মানুষ। তিনি আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)।  

মানব জাতির একমাত্র মুক্তির পথ হযরত মুহাম্মদ (সা.)। ২৮ সফর এ মহামানবের ওফাত দিবস। তাই বলা হয় যে, ২৮ সফর ইসলামের ইতিহাসের সবচেয়ে শোকাবহ দিন। কারণ, দশম হিজরীর এই দিনে দুনিয়া থেকে বিদায় নেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হযরত মুহাম্মদ (সা.)। শুধু তাই নয়, তার চল্লিশ বছর পর ৫০ হিজরির একই দিনে শাহাদত বরণ করেন মহানবীর প্রথম নাতি হযরত ইমাম হাসান (আ.)।

অনুষ্ঠান শুনতে শুনতে মন কখন যেন আরবের মরুভূমিতে হারিয়ে গিয়েছিল। মরুর বুকে জ্বলে ওঠা তারাটি রেডিও তেহরানের কথামালায় আমাদের হৃদয়ে শিহরণ জাগিয়ে দিয়েছে। আসলে মহাবিশ্বের ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ ঘটনা হল মহানবীর জন্ম। তাঁর জন্ম পৃথিবীকে আমুল বদলে দিয়ে বাসযোগ্য করে তুলেছিল।

মহানবী (সা.) ছিলেন শান্তি, সাম্য, ন্যায়, ভ্রাতৃত্ব ও ইসলামি ঐক্যের শ্রেষ্ঠা রূপকার। প্রকৃত অর্থে মানব জাতির আত্মিক ও নৈতিক উন্নয়নসহ সার্বিক উন্নয়নকে পরিপূর্ণতা দিতেই তাঁর আবির্ভাব ঘটেছিল। যখন বিশ্ব হানাহানি, রাহাজানি, সংঘাত, অনাচার, কুসংস্কার, জুলুম ও বৈষম্যে ভরে ওঠেছিল, তখনই মানবজাতির মুক্তির দিশারী হয়ে তাঁর আবির্ভাব ঘটে। মানুষের জন্য এটি ছিল আল্লাহর সেরা রহমত।  

বিটিশ চিন্তাবিদ জর্জ বার্নার্ড শ হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। এমনিভাবে অসংখ্য ইসলামি ও ইসলাম বহির্ভূত হাজার হাজার লেখক-বুদ্ধিজীবি মহানবী (সা.)-এর উচ্চ প্রশংসা করেছেন। অথচ আজকাল আমাদের দেশের বুদ্ধিজীবী নামধারী কিছু ব্যক্তি নানাভাবে ইসলাম ও মহানবী (সা.)কে হেয় করতে স্বচেষ্ট থাকে। কিন্তু তাদের এরূপ ষড়যন্ত্র কোনোদিন সফল হবে না। 

অনুষ্ঠানে উপস্থাপকদ্বয় বিভিন্ন আঙ্গিকে মহানবী (সা.) এর জীবনের নানা কথা তুলে ধরছিলেন। আর তা শুনে আমাদের হৃদয় ভালোবাসায় পরিপূর্ণ হয়ে ওঠছিল। মনে হচ্ছিল, এ অনুষ্ঠান যদি কোনদিন শেষ না হতো তবে কতইনা ভালো হতো। সারাদিন, সারা জীবন যদি একটানা মহানবীর কথা, তাঁর অমর বাণী শুনতে পেতাম তবেই না আমাদের জীবন সার্থক হতো, সফল হতো।

 মহান আল্লাহ আমাদের সে তৌফিক দান করুক। এ প্রার্থনার সাথে সাথে রেডিও তেহরানের কাছে আবেদন জানাই, মহানবী (সা.) এর জীবনী নিয়ে একটি অনুষ্ঠান প্রচার করা হোক। তাতে প্রতিদিন না হোক, সপ্তাহে একদিন অন্ততঃ আমাদের মহানবী (সা.) সম্পর্কে জানার সুযোগ হবে।

 

ধন্যবাদান্তে,   

মোঃ শাহাদত হোসেন

সহকারী অধ্যাপক, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ

গুরুদয়াল সরকারি কলেজ

কিশোরগঞ্জ- ২৩০০, বাংলাদেশ।   

 

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/২৫

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।