জানুয়ারি ০৫, ২০২৩ ১৬:০৮ Asia/Dhaka
  • 'কাসেম সোলাইমানির দেখানো পথ মধ্যপ্রাচ্যের প্রতিরোধকামীদের জন্য আলোকবর্তিকা'

মহাশয়, ৩ জানুয়ারি বিপ্লবী প্রাণপুরুষ কাসেম সোলাইমানির তৃতীয় শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে রেডিও তেহরান পরিবেশিত আখতার জাহান এবং রেজওয়ান হোসেন উপস্থাপিত বিশেষ পরিবেশনাটি খুবই ভালো লেগেছে। শুধু ভালো লেগেছে বললে কম বলা হবে; অনুষ্ঠানটি আমাদের হৃদয়ে বিশেষ স্থান অধিকার করেছে এবং চোখে অশ্রু বিসর্জন দিতে বাধ্য করেছে।

বছর ঘুরে আবার এসেছে সেই অভিশপ্ত ৩ জানুয়ারি। ২০২০ সালের এই দিনে খুব ভোরে মার্কিন সন্ত্রাসী বাহিনী ইরাকের বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে ড্রোন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় জেনারেল কাসেম সোলাইমানির গাড়িবহরে। এতে শাহাদাতের অমিয় সুধা পান করেন তিনি। তাঁর সঙ্গে আরো শহীদ হন ইরাকের জনপ্রিয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হাশদ আশ-শাবির সেকেন্ড ইন-কমান্ড আবু মাহদি আল-মুহান্দিস এবং আট সঙ্গী। মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিভে যায় বিশ্বের এক নম্বর সমর নায়কের প্রাণপ্রদীপ। তবে তিনি রেখে যান অজস্র কর্ম। তাঁর দেখানো পথই আলোকবর্তিকা হয়ে আছে মধ্যপ্রাচ্যের প্রতিরোধকামীদের জন্য। কর্মের মাঝেই বেঁচে আছেন; মহৎ কর্মের মাঝেই বেঁচে থাকবেন ইরানের এ কমান্ডার।

জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার মধ্য দিয়ে সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে নিজের ভূমিকা বিতর্কিত করেছে আমেরিকা। সিরিয়া ইস্যুসহ বিভিন্ন ঘটনায় আমেরিকা দাবি করে আসছে তারা উগ্রবাদ এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। যদিও সিরিয়ায় তৎপর উগ্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দায়েশের প্রতিষ্ঠা, প্রশিক্ষণ, অস্ত্র এবং অর্থ যোগানের সবকিছুর সাথেই আমেরিকার সম্পৃক্ততা ছিল। তারপরও তারা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের দাবি করে আসছিল।

অন্যদিকে মাঠে-ময়দানে লড়াইয়ে জেনারেল কাসেম সোলাইমানি উগ্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। ইরানের কোনো শত্রুদেশও বলতে পারবে না যে, জেনারেল কাসেম সোলাইমানি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেন নি। এরকম একটা প্রেক্ষাপটে জেনারেল সোলাইমানিকে হত্যা করে আমেরিকা প্রকৃতপক্ষে সন্ত্রাসবাদবিরোধী লড়াইয়ের বিপরীতে অবস্থান নিয়েছে। অর্থাৎ আমেরিকার এই ভূমিকা সন্ত্রাসীদের পক্ষে গেছে এবং সেক্ষেত্রে বলাই যায় যে, আমেরিকা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে নি; বরং সন্ত্রাসীদের পক্ষে লড়াই করছে। জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার ক্ষেত্রে এটি ছিল আমেরিকার সবচেয়ে বড় ভুল। আর এই ভুলের মাশুল আমেরিকাকে দিতেই হবে। আর বিপ্লবী মহানায়ক কাসেম সোলাইমানি সাম্রাজ্যবাদে বিরুদ্ধে লড়াইয়ের যে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে গেছেন তার দীপশিখায় সাম্রাজ্যবাদীদের কালো হাত পুড়ে ছাই হয়ে যাবে। সেই শুভদিনের প্রতীক্ষায়

 

বিধান চন্দ্র সান্যাল

ঢাকা কলোনী, বালুরঘাট, দক্ষিণ দিনাজপুর

পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।

 

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/৫

ট্যাগ