মে ২৭, ২০২৩ ১৭:৩২ Asia/Dhaka
  • রংধনু আসরে প্রচারিত 'শালিক পাখির বাচ্চার গল্প' সম্পর্কে মতামত

জনাব, আমার অনেক অনেক প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানবেন। বেশ কিছুদিন পর লিখছি। আসলে গত বছর স্পীডবোট এক্সিডেন্টের পর বাম হাতের আঙ্গুলে কিছু সমস্যা থেকে যায়। ফলে আগের মতন সব কাজ করা সম্ভব হয় না। কম্পিউটারের কীবোর্ডে কাজ করতে সমস্যা হয়। এসব কারণে চিঠি লেখা হয়ে উঠেনি। তবে অনুষ্ঠান শুনেছি নিয়মিত।

আসলে আমাদের বাসায় রেডিও তেহরানের অনুষ্ঠান অনেকটা উচ্চ ভলিউমে চলে। তাই আমরা অনুষ্ঠান না শুনে পারি না। নিয়মিত শুনতে শুনতে এখন অনেকটা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। রেডিও তেহরান শোনা আমাদের বাসার একটি সাধারণ ঘটনা, নৈমিত্তিক ব্যাপার। ফলে কোনদিন শুনতে না পারলে খারাপ লাগে।

তবে অনুষ্ঠান শোনা আর চিঠি লিখা এক কথা নয়। অনুষ্ঠান শুনতে কোন কষ্ট হয় না। চিঠি লিখতে হয় প্রস্তুতি নিয়ে, কম্পিউটারে। চিঠি লিখতে মাথা যেমন খাটাতে হয়, তেমনি দু হাতের আঙুলও ব্যবহার করতে হয়। তাই এতদিন নিয়মিত অনুষ্ঠান শুনলেও চিঠি লিখা হয়ে উঠেনি। হাত পুরোপুরি ঠিক হলেও আঙুল এখনো পুরোপুরি ঠিক হয়নি। তবে আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।  

যাই হোক, এবার অনুষ্ঠানের কথায় আসি। রেডিও তেহরান বাংলা বিভাগ থেকে আজকের (২৫ মে, বৃহস্পতিবার) প্রচারিত অনুষ্ঠানগুলোর মধ্যে রংধনু আমাদের খুব ভালো লেগেছে। বরাবরের মতই আজকের অনুষ্ঠানটিরও গ্রন্থনা ও প্রযোজনা করেছেন জনাব আশরাফুর রহমান ভাই। আর এর উপস্থাপনায় ছিলেন গাজী আব্দুর রশিদ, নাসির মাহমুদ ও আকতার জাহান।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই নাসির মাহমুদ ভাইয়ের লেখা শালিক পাখির বাচ্চার গল্পটি প্রচারিত হয়। আসলে এটি ছিল একটি চিত্রনাট্য। এতে শিশুশিল্পীরা দারুণ অভিনয় করেছে, চরিত্র অনুযায়ী তাদের কণ্ঠ ছিল পারফেক্ট। এমন সুন্দর একটি গল্পের চিত্রনাট্য উপহার দেয়ায় রেডিও তেহরানকে ধন্যবাদ জানাই।

গল্পের শিক্ষাটি যেন আমরা অনুধাবণ করতে পারি এবং সে অনুযায়ী নিজেদের পরিচালিত করতে পারি। আমরা যেন কখনো পথ না হারাই। দূতেরা আমাদের জন্য যে জিপিএস নিয়ে আসেন আমরা যেন তা অনুসরণ করি। আমরা যেন মহান আল্লাহর প্রেরিত পুরুষের নির্দেশ মেনে চলি। মহানবীর কথা শুনি। কুরআন ও মহানবীর দেখানো পথে চলি।

দারুণ উপভোগ্য গল্পটির জন্য নাসির মাহমুদ ভাইকেও ধন্যবাদ জানাই। চিত্রনাট্যে কণ্ঠ দেয়া শিশুশিল্পীরাও ছিল যোগ্য।

চিত্রনাট্য শেষে তেহরান প্রবাসী বাংলাদেশি শিশু আলী মুনাদির সাক্ষাৎকার প্রচারিত হয়। তার সাক্ষাৎকার আমাদের খুব ভালো লেগেছে। তার কথোপকথনের মাধ্যমে আমরা ইরান সম্পর্কেও জানতে পারলাম। তার কণ্ঠে পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত ও ফার্সি গান ছিল খুবই উপভোগ্য।

 

ধন্যবাদান্তে,

শরিফা আক্তার পান্না

(অর্থ-সম্পাদক, আইআরআইবি ফ্যান ক্লাব, কিশোরগঞ্জ)

ছায়াপ্রস্থ, ২০৬/১ খড়ম পট্টি

কিশোরগঞ্জ-২৩০০, বাংলাদেশ।

 

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/২৭

ট্যাগ