'রেডিও তেহরানের অনুষ্ঠানের অপরিহার্যতা অস্বীকার করবার কোনো সুযোগ নেই'
(last modified Mon, 06 Nov 2023 10:28:22 GMT )
নভেম্বর ০৬, ২০২৩ ১৬:২৮ Asia/Dhaka
  • 'রেডিও তেহরানের অনুষ্ঠানের অপরিহার্যতা অস্বীকার করবার কোনো সুযোগ নেই'

মহাশয়, রেডিও তেহরান আমার পরম বন্ধু। শৈশবকাল থেকেই কখনো বা বিনোদন কখনো বা শিক্ষা লাভের প্রথাগত প্রিয় মাধ্যম হিসেবে আমার সঙ্গী হয়ে ওঠে। কখনো জ্ঞাতসারে বা কখনো অজ্ঞাতসারে আমার দৃষ্টিশক্তিকে প্রসারিত করে, অনুভবের পরিধিকে ব্যাপ্ত করে।

ছোটবেলা থেকে আমি নানান বেতারের সংস্পর্শে এসেছি। এগুলির মধ্যে আমার সবচেয়ে প্রিয় বেতারের তালিকাটি কিছুটা দীর্ঘ হলেও তার মধ্যে যে বেতারটি বার বার আমার মন কেড়ে নেয় এবং যা আমার মনে আনন্দ যোগায় সেটি হল রেডিও তেহরান।

রেডিও তেহরানের অনুষ্ঠান যেন অপূর্ব সুন্দর জীবন বাণী, যা শ্রবণ করলে জীবনকে দেয় নতুন অর্থ অর্থাৎ রেডিও তেহরানের অনুষ্ঠানমালা শ্রবণ নতুন জীবনবোধেরই নামান্তর।

আমরা জীবন সমুদ্রে চলতে চলতে নানা প্রতিকূল পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়ে যখন দিশেহারা হয়ে পড়ি তখন রেডিও তেহরানের অনুষ্ঠানমালা আলোকস্তম্ভের মতো আমাদের পথ দেখাতে পারে। হিংসায় উন্মক্ত পৃথিবীর মানুষকে অহিংসা, প্রেম- মৈত্রীর সঞ্জীবনীমন্ত্রে দীক্ষিত করতে পারে রেডিও তেহরানের অনুষ্ঠানমালা, যার মর্মকথা মহৎ আদর্শ, ত্যাগ ও তিতিক্ষার নিদর্শন। বলতে পারি---

"তারা বলে গেল ক্ষমা করো সবে

বলে গেল ভালোবাসো

অন্তর হতে বিদ্বেষ বিষ নাশো।"

রেডিও তেহরানের অনুষ্ঠানমালার মধ্যে যে মর্মকতা থেকে যায় যা অনুসরণের মধ্য দিয়ে আমরা অন্ধকারে পথ চলার প্রেরণা পাই তাই রেডিও তেহরান হলো যথার্থভাবেই ফ্রেন্ড, ফিলোসফার এবং গাইড।

স্বার্থবুদ্ধি আর সংকীর্ণ কামনা বাসনা থেকে মুক্ত করে আমাদের আবার অমৃতের সন্তানরূপে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে রেডিও তেহরানের অনুষ্ঠানমালা। আর সাপ্তাহিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার স্পর্শমণির ছোঁয়ায় আমরাও সোনা হয়ে উঠতে পারি। রেডিও তেহরানের অনুষ্ঠানমালা শ্রবণের মধ্য দিয়ে শ্রোতারা নিজেকে খুঁজে পায়, সত্যকে আবিষ্কার করে অনুষ্ঠানমালার মধ্য দিয়ে লাভ করে পরমানন্দের উপলব্ধি।

রেডিও তেহরানের সাপ্তাহিক নানা অনুষ্ঠান এবং বিশেষ বিশেষ পর্বে পরিবেশিত অনুষ্ঠানমালাগুলোর মধ্য দিয়ে আমাদের নবজন্ম হয়, বিকশিত হয় চিত্তশতদল। পাপ, ভ্রান্তি, ক্ষুদ্রতা, কুসংস্কার থেকে মুক্ত হয়ে অজেয় শক্তি অর্জন করি আমরা ও নিজ নিজ ব্রত সাধনে হই দৃঢ় চিত্ত। ব্যক্তিত্ব ও চরিত্রকে শক্ত ভিতের উপর প্রতিষ্ঠিত করতে রেডিও তেহরানের অনুষ্ঠানের অপরিহার্যতা অস্বীকার করবার কোনো সুযোগ নেই। মহৎ যদি আমরা নাও হতে পারি, রেডিও তেহরানের অনুষ্ঠান শ্রবণের মধ্য দিয়ে মহতের প্রতি যাত্রাই আমাদের মনুষ্যত্বকে ধরে রাখতে পারি। কবির ভাষায় বলা যায়---

"এসো মহাজন করি আলাপন

বসো হে হৃদয় পরে

শিখাও আমারে তাগিবো কেমনে

বিশ্ব মানব তরে।"

 

ধন্যবাদান্তে

 

বিধান চন্দ্র সান্যাল

বালুরঘাট, দক্ষিণ দিনাজপুর  

পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।

 

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/৬

ট্যাগ