‘আদর্শ মানুষ গড়ার কৌশল’ অনুষ্ঠানটি শ্রোতাদের মন জয় করে নিয়েছে
প্রিয় মহোদয়, আসসালামু আলাইকুম। আমার প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানবেন। খুব ভালো লেগেছে নতুন ধারাবাহিক ‘আদর্শ মানুষ গড়ার কৌশল’ অনুষ্ঠানটি। অতি সময়োপযোগী ও চমৎকার একটি বিষয় নির্বাচন করার জন্য রেডিও তেহরান বাংলা বিভাগের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
এতদিন যাবত রেডিও তেহরানের বাংলা বিভাগ থেকে রোববারের শেষ প্রান্তিকে প্রচারিত হতো ‘প্রাচ্যবিদদের চোখে মহানবী (সা.)’ শীর্ষক একটি ধারাবাহিক অনুষ্ঠান। উক্ত অনুষ্ঠান থেকে বিশ্বের বিখ্যাত সব ব্যক্তিরা মহানবী (সা.) সম্পর্কে যেসব মতামত দিয়েছেন, তা জানতে পেরেছি। ফলে একদিকে মহানবী (সা.) সম্পর্কে যেমন জানা হল, তেমনি বিশ্বের অপরাপর মানুষ তাঁর সম্পর্কে কী ভাবছে, তাও অনুধাবন করতে পেরেছি।
১৭/০১/২০২১, রোববার থেকে উক্ত অনুষ্ঠানের পরিবর্তে প্রচারিত হচ্ছে নতুন ধারাবাহিক ‘আদর্শ মানুষ গড়ার কৌশল’ অনুষ্ঠানটি। শুরুতেই অনুষ্ঠানটি শ্রোতাদের মন জয় করে নিতে পেরেছে।
‘আদর্শ মানুষ গড়ার কৌশল’ শীর্ষক নতুন ধারাবাহিকের প্রথম পর্ব উপস্থাপনায় ছিলেন নাসির মাহমুদ ও রেজোয়ান হোসেন। তাদের সাবলীল উপস্থাপনা ও প্রয়োজনীয় বিষয়বস্তুর কারণে এটি শ্রোতাদের মন জয় করে নিতে পেরেছে। আশা করি, আজকের মত পরবর্তী পর্বগুলোও তথ্যবহুল হবে।
এ নতুন অনুষ্ঠানটি থেকে জানতে পারি যে, শিশুরাই জাতির ভবিষ্যৎ। তাই তাদেরকে ঠিকভাবে গড়ে তুলতে হবে। মহান আল্লাহ মানুষকে সুন্দর আকৃতি দিয়েছেন; দিয়েছেন নাক, কান, গলা, মুখ, হাত। শরীর ও গঠন যেমন সুন্দর, তেমনি মানুষের আচার-ব্যবহারও সুন্দর হতে হবে। তাই তাদেরকে উন্নত চরিত্রের উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে হবে। আর সেজন্য উপযুক্ত মা-বাবা গড়ে তোলা জরুরি। কেননা উপযুক্ত মা-বাবাই কেবল উপযুক্ত সন্তান গড়ে তুলতে পারেন। আল্লাহর পরিচয় তুলে ধরতে সন্তানের গাইড হতে হবে মা-বাবাকে। তা না হলে আল্লাহর কাছে লজ্জিত হতে হবে।
মহানবীর সময়ে উপযুক্ত সন্তানের জন্য যোগ্য স্বামী বা স্ত্রী নির্বাচন করা হতো। কেননা শিশুর প্রতি যত্ন নিতে সঠিক স্ত্রী নির্বাচন জরুরি। পিতা-মাতা সুশিক্ষিত হলে, সন্তানও তাই হবে। সন্তানের ওপর পিতা-মাতার প্রভাব পড়ে।
ইসলামের পর মানুষের বড় নিয়ামত হল যোগ্য স্ত্রী বা যোগ্য স্বামী। তাই জীবনসঙ্গী বেঁচে নেয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। সমমানের স্ত্রী বেছে নিতে হবে, বেছে নিতে হবে সমমানের স্বামী। ধার্মিকতা ও খোদাভীরুতা দেখে বিয়ে করতে হবে বা বিয়ে দিতে হবে। তবেই আদর্শবান সন্তান পাওয়া যাবে।
আবারো বলছি, ভালো লেগেছে নতুন ধারাবাহিকটি। অনুষ্ঠানটি শুনলে অবিবাহিতরা বিয়ের আগে থেকেই যোগ্য সন্তানের ব্যাপারে প্রস্তুতি নিতে পারবেন, নির্বাচন করবেন সঠিক স্বামী বা স্ত্রী। আর যারা নতুন মা-বাবা কিংবা মা-বাবা হবেন অথবা যাদের ছেলে-মেয়ে রয়েছে তারা পরবর্তী অনুষ্ঠানগুলো থেকে সন্তান লালন-পালন এবং সন্তানকে আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার কৌশল সম্পর্কে জানতে পারবেন।
সবাইকে এ নতুন অনুষ্ঠানটি শোনার অনুরোধ জানিয়ে আজকের চিঠি শেষ করছি। ধন্যবাদান্তে,
মোঃ শাহাদত হোসেন
সহকারী অধ্যাপক, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ
গুরুদয়াল সরকারি কলেজ, কিশোরগঞ্জ, বাংলাদেশ।
পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/১৯
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।