নভেম্বর ২২, ২০২৩ ১১:২৭ Asia/Dhaka
  • আল-আকসা তুফান অভিযানে শরিক হয়েছে ইয়েমেন: আনসারুল্লাহ নেতা

ইয়েমেনের হুথি আনসারুল্লাহ আন্দোলন বলেছে, লোহিত সাগর থেকে তারা ইসরাইলের যে জাহাজ আটক করেছেন সেটি ছিল অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী বর্বরতার বিরুদ্ধে ইয়েমেনি নৌবাহিনীর প্রথম প্রতিক্রিয়া মাত্র।

আনসারুল্লাহ আন্দোলনের পলিটিক্যাল ব্যুরোর সদস্য হাজেম আল-আসাদ এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। তিনি আল-আরাবি আল-জাদিদ পডকাস্টকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ইয়েমেনের নৌবাহিনী ধারাবাহিকভাবে ইসরাইলের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং রোববারের জাহাজ আটকের ঘটনা ওই ধারাবাহিকের প্রথম পর্ব মাত্র।  

ইয়েমেন ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের শুরু করা আল-আকসা তুফান অভিযানের অংশ হিসেবে কাজ করছে বলে তিনি জানান। 

গত রোববার ইয়েমেনের নৌবাহিনী লোহিত সাগর থেকে ৫২ ক্রু’সহ ইসরাইলি মালিকানাধীন একটি জাহাজ আটক করে।  ইসরাইল গণমাধ্যম স্বীকার করেছে, এই অবৈধ রাষ্ট্রের একজন ধনকুবের গ্যালাক্সি লিডার নামক জাহাজটির মালিক।

ইয়েমেনের হুথি যোদ্ধারা এর আগে চলতি মাসের গোড়ার দিকে ইসরাইলকে লক্ষ্য করে বেশ কিছু ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন নিক্ষেপ করেছে এবং সেসব হামলা ছিল ইয়েমেনের পক্ষ থেকে গাজা যুদ্ধে অংশগ্রহণের প্রথম সামরিক পদক্ষেপ। তবে নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে এই প্রথম ইসরাইল বিরোধী কোনো পদক্ষেপ নেয়া হলো।

আল-আসাদ আরো বলেন, ইহুদিবাদীদের গাজাবিরোধী যুদ্ধে তারা সংশ্লিষ্ট হওয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা সম্পূর্ণভাবে ইয়েমেনের নিজস্ব সিদ্ধান্ত। তবে এ ব্যাপারে মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে যে প্রতিরোধ অক্ষ তৎপর রয়েছে তার সঙ্গে কিছুটা সমন্বয় করা হয়েছে। 

হুথি আনসারুল্লাহ আন্দোলনের এই কর্মকর্তা বলেন, ইয়েমেনের নৌবাহিনী সম্পূর্ণ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে এবং সাগরে পর্যবেক্ষণ অব্যাহত রেখেছে। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, যতদিন পর্যন্ত গাজাবাসী ফিলিস্তিনিদের ওপর বোমা হামলা চলবে ততদিন পর্যন্ত লোহিত সাগর দিয়ে চলাচলকারী যেকোনো ইসরাইলি জাহাজকে- সেটি সামরিক হোক কিংবা বাণিজ্যিক- টার্গেট করা হবে।

তিনি বলেন, ইয়েমেনের যেসব স্বেচ্ছাসেবী আল-আকসা তুফান অভিযানের অংশ হিসেবে গাজা যুদ্ধে অংশ নিতে চায় তাদেরকে প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, গাজাবাসীকে রক্ষা করার কাজে অংশ নিতে আমরা একটি ইয়েমেনী বাহিনী গঠন করতে চাই। ফিলিস্তিনের সঙ্গে সীমান্ত আছে এমন আরব দেশগুলো যদি অনুমতি দেয় তাহলে ইয়েমেনের হাজার হাজার মানুষ গাজা যুদ্ধে সরাসরি যোগ দেবে বলে তিনি জোর দিয়ে উল্লেখ করেন। #

পার্সটুডে/এমএমআই/২২

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ