শিয়া-সুন্নি বন্ধন শক্তিশালী করা; পাকিস্তান মুসলিম ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় লক্ষ্য
https://parstoday.ir/bn/news/religion-i154580-শিয়া_সুন্নি_বন্ধন_শক্তিশালী_করা_পাকিস্তান_মুসলিম_ঐক্য_পরিষদের_কেন্দ্রীয়_লক্ষ্য
পার্স টুডে - পাকিস্তান মুসলিম ঐক্য পরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান বলেছেন: শিয়া ও সুন্নিদের মধ্যে বন্ধন জোরদার করা এই পরিষদের মূল লক্ষ্য।
(last modified 2025-11-30T12:38:48+00:00 )
নভেম্বর ৩০, ২০২৫ ১৭:২৩ Asia/Dhaka
  • হুজ্জাত-উল-ইসলাম ওয়াল-মুসলিমীন সৈয়দ আহমেদ ইকবাল রিজভী, পাকিস্তানের মজলিস-ই-ওয়াহদাত-ই-মুসলিমীনের ভাইস চেয়ারম্যান
    হুজ্জাত-উল-ইসলাম ওয়াল-মুসলিমীন সৈয়দ আহমেদ ইকবাল রিজভী, পাকিস্তানের মজলিস-ই-ওয়াহদাত-ই-মুসলিমীনের ভাইস চেয়ারম্যান

পার্স টুডে - পাকিস্তান মুসলিম ঐক্য পরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান বলেছেন: শিয়া ও সুন্নিদের মধ্যে বন্ধন জোরদার করা এই পরিষদের মূল লক্ষ্য।

মজলিস-ই-ওয়াহদাত-ই-মুসলিমিন পাকিস্তানের ভাইস চেয়ারম্যান হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল-মুসলিমিন সৈয়দ আহমেদ ইকবাল রিজভী এক বক্তৃতায় বলেছেন যে এই মজলিস শুরু থেকেই শিয়া ও সুন্নিদের মধ্যে ঐক্য ও সংহতি জোরদার করার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে গঠিত হয়েছিল এবং সর্বদা সুন্নি পণ্ডিতদের সাথে সহযোগিতাকে তার কার্যক্রমের ভিত্তি করে তুলেছে।

তিনি আরও বলেন: পাকিস্তান মুসলিম ঐক্য পরিষদ ২০০৮ সালে তার কার্যক্রম শুরু করে এবং জাতীয় পর্যায়ে শিয়াদের কণ্ঠস্বর তুলে ধরতে সক্ষম হয়।

ইসলামের নবী (সা.) হলেন মানবতা ও ইসলামী উম্মাহর ঐক্যের এক আদর্শ

সুরিনজানিয়াহর খাতাম আল-আম্বিয়া জামে মসজিদের ইমাম ও বিশিষ্ট সুন্নি আলিম মামোস্ত আবু বকর রাস্তেগার আল-কদরের প্রতিবেদকের সাথে এক সাক্ষাৎকারে ইসলামের নবী (সা.)-এর বিশ্বব্যাপী মিশনের উপর জোর দিয়েছেন এবং তাঁকে ইসলামী উম্মাহর জন্য মানবতা, নৈতিকতা এবং ঐক্যের এক অতুলনীয় মডেল হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

জনাব রাস্তেগার আরও বলেছেন: "ইসলামের নবী (সা.)-এর জীবন কেবল একটি রাজনৈতিক পথ ছিল না, একইসঙ্গে তা একটি শিক্ষামূলক ও নৈতিক নীতির প্রকাশও ছিল এবং তিনি সকল মানুষের সাথে শ্রদ্ধা ও সহনশীল আচরণ করতেন। সমাজের বিভিন্ন অংশের সাথে পরামর্শ করাও ছিল এই জীবনের একটি বিশিষ্ট প্রকাশ। এই সুন্নি পণ্ডিত জোর দিয়ে বলেন: ইসলামের নবী (সা.) ছিলেন একটি একক ও অভিন্ন জাতির প্রতিষ্ঠাতা; এমন একটি জাতি যেখানে সকল মানুষ সমান এবং শ্রেষ্ঠত্বের একমাত্র মানদণ্ড হল সদ্গুণ, ধার্মিকতা, জ্ঞান ও প্রজ্ঞা।"

ইসলামী উম্মাহর ঐক্যই ইসলামের শত্রুদের মোকাবেলার পন্থা

উত্তর খোরাসানের খাদেমিয়া স্কুলের অধ্যক্ষ মোল্লা গোল্ডি কামালি, কাদক নিউজ এজেন্সির চিন্তা ও দর্শন বিভাগের প্রতিবেদকের সাথে এক সাক্ষাৎকারে ঐক্যবদ্ধ উম্মাহকে শক্তিশালী করার এবং তুচ্ছ পার্থক্য এড়িয়ে চলার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেন: "ঐক্য ও ঘনিষ্ঠতা হল সকল ইসলামী মাজহাব ও এমনকি ঐশি ধর্মগুলোর অভিন্ন বিষয়, এবং ঐক্যবদ্ধ অবস্থান তৈরি ও ইসলামের শত্রুদের মোকাবেলায় এর গুরুত্ব অত্যন্ত অপরিসীম।"

কামালি আরও বলেন: ছোটখাটো পার্থক্য ঐক্যকে বাধাগ্রস্ত করে না, কারণ এই পার্থক্যগুলো মৌলিক নয় এবং এসব পার্থক্য একটি ঐক্যবদ্ধ জাতি গড়ার কাজ বাস্তবায়নকে থামাতে পারে না। তিনি স্পষ্ট করে বলেন: "ইসলামের শত্রুরা ইসলামী ঐক্যের অস্তিত্বই সহ্য করতে প্রস্তুত নয় এবং তাদের লক্ষ্য হল ইসলামের শিকড় ধ্বংস করা, কিন্তু যতক্ষণ পর্যন্ত মুসলিম ভাই ও বোনেরা ঘনিষ্ঠতা ও সংহতির প্রতি অবিচল থাকবে, ততক্ষণ এই প্রচেষ্টা নিষ্ফল হবে। তিনি আরও বলেন: "মুসলিম উম্মাহর মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা শত্রুর একটি কৌশল, তাই ঐক্য জোরদার করার জন্য ইসলামী দেশগুলোর আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষা করা এবং মূল্যবোধ ও বিশ্বাস মেনে চলা অপরিহার্য।" কামালি এই বলে শেষ করেন যে: " ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বা রাহবারের নেতৃত্বে, ইসলামী ইরান অনেক ষড়যন্ত্র কাটিয়ে উঠতে এবং ঐক্য জোরদার করতে সক্ষম হয়েছে।" #

পার্স টুডে/এমএএইচ/৩০

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।