নভেম্বর ০২, ২০২০ ১৯:৪৭ Asia/Dhaka
  • সাহিত্য-সম্রাট ভিক্টর হুগো (১৮০২-১৮৮৫)
    সাহিত্য-সম্রাট ভিক্টর হুগো (১৮০২-১৮৮৫)

ফরাসি সাহিত্যের অন্যতম সেরা কবি ও গল্প লেখক এবং সাহিত্যে রোমান্টিসিজম ধারার পথিকৃৎ ভিক্টর হুগো (১৮০২-১৮৮৫) বেশ কয়েকটি উপন্যাস বা বড় গল্পের জন্য খ্যাতিমান হয়ে আছেন বিশ্ব সাহিত্য অঙ্গনে।

এসবের মধ্যে রয়েছে: লে মিজারেবল বা নিঃস্বরা (Les Misérables) ও Notre-Dame de Paris বা প্যারিসের নোতরদাম গির্জার কুঁজো কোয়াসিমাদো (The Hunchback of Notre-Dame) এবং The Man Who Laughs বা যে ব্যক্তি হাসতো ইত্যাদি।

হুগো অনেক কবিতা ও কয়েকটি নাটকও লিখেছেন। বাস্তবতা ও সমাজের অনুভবযোগ্য বাস্তবতা এবং সত্যকে জানার জন্য চিন্তাভাবনার গুরুত্ব তার কবিতা ও গল্পের প্রধান কয়েকটি বিষয়। 'প্রাচ্যতার কবিতা' নামে হুগোর একটি কাব্য সংকলনও রয়েছে। এ বইয়ের ভূমিকায় তিনি প্রাচ্য সম্পর্কে জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব তুলে ধরে লিখেছেন: ‘চতুর্দশ লুইয়ের সময় সবাই ছিল গ্রিস-বিশেষজ্ঞ। বর্তমানে প্রাচ্য-বিশেষজ্ঞ হওয়া উচিত এবং এশিয়ার জনগণের সংস্কৃতি ও সাহিত্য থেকে হতে হবে উপকৃত। অতীতে আর কখনও এত বেশি চিন্তাবিদ এশিয়ার সুবিশাল অঞ্চল সম্পর্কে গবেষণায় মেতে উঠতে সাহসী হননি। আর তাই প্রাচ্যের রঙগুলো আমার সমস্ত ভাবনা-চিন্তা ও কল্পনাকে ছেয়ে ফেলেছে।..

.ভিক্টর হুগোর আরেকটি কবিতার বইয়ের নাম ‘ শতকগুলোর কিংবদন্তি’। বইটি তিনি লিখেছিলেন নির্বাসিত থাকার সময়। বইটির তৃতীয় অধ্যায়ের একটি দীর্ঘ কবিতা বা কাব্যের নাম হল ‘হিজরতের নবম বছর’। এতে মহানবীর (সা) জীবনের শেষের দিকের কিছু ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে। হুগো কবিতাগুলো এমনভাবে লিখেছেন যে তাতে বোঝা যায় মহানবীর (সা) জীবন সম্পর্কে তিনি খুবই যথাযথ পড়াশুনা বা গবেষণা ও বিচার-বিশ্লেষণের যোগ্যতা অর্জন করেছিলেন। মহানবীর (সা) জীবনের শেষ দিনগুলো তুলে ধরার পাশাপাশি হুগো মহানবী (সা) সম্পর্কে প্রশংসাসূচক কথা বলেছেন এবং বেশ শ্রদ্ধাভরে মহানবীর (সা) নানা গুণ আর বৈশিষ্ট্যও তুলে ধরেছেন তার ওই কবিতায়।হুগো মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সা)'র ব্যক্তিত্ব ও তাঁর রিসালাতের প্রতি ছিলেন খুব গভীর শ্রদ্ধাশীল।

'হিজরতের নবম বছর' শীর্ষক কবিতাটি শুরু হয়েছে হযরত নুহ নবীর সঙ্গে মহানবীর (সা) তুলনার মধ্য দিয়ে। কবিতাটি পড়লে মনে হবে যেন হুগো মহানবী (সা)'র আধ্যাত্মিক ও আসমানি প্রকৃতি সম্পর্কে অজ্ঞ ও বিদ্বেষী পশ্চিমা প্রাচ্যবিদরা যুগে যুগে যে অসত্য চিত্র তুলে ধরেছেন সেসব দূর করে এ মহামানবের পবিত্র বৈশিষ্ট্যগুলোই তুলে ধরতে চেয়েছেন। ভিক্টর হুগো লিখেছেন:

মনে হয় যেন তিনি ছিলেন নুহ নবী ও জানতেন মহাপ্লাবন সৃষ্টিকারী বৃষ্টি সম্পর্কে

তিনি ছিলেন সহিষ্ণু বিচারক যখন মানুষেরা

তাদের বিবাদগুলো মেটাতে আসত তাঁর কাছে

তখন তিনি একজনকে তার বিচারকে মান্য করার ও অন্যজনকে

রায় অস্বীকার করার ও উপহাসের জন্য ওঠার সুযোগ দিতেন

তার খাবার ছিল খুব সামান্য এবং কখনও ক্ষুধার কষ্টে পেটে বেঁধেছেন পাথর

নিজেই দোহন করতেন নিজ ভেড়ার দুধ

বিনম্র মানুষের মত মাটির ওপর বসতেন ও নিজেই নিজ পোশাকে তালি লাগাতেন

যদিও তিনি তখন আর যুবক ছিলেন না তবুও বেশিরভাগ দিনেই রোজা রাখতেন

রমজান মাসে যেমনটি রোজাদার ছিলেন।

“La Légende des siècles” বা শতাব্দিগুলোর কিংবদন্তি শীর্ষক কবিতাহুগো নির্বাসিত থাকার সময় ১৮৫৫ থেকে ১৮৭৬ সনের মধ্যে লিখেছিলেন। এ কাব্যের তৃতীয় অধ্যায়ে ( যার শিরোনাম হল হিজরতের নবম বছর) তিনি মহানবীর জীবনের শেষের দিনগুলো তুলে ধরেছেন। হুগো মহানবীর (সা) প্রশংসা করে এ কবিতায় লিখেছিলেন:

হে আল্লাহর রাসুল! আপনি জনগণের কাছে দাওয়াত দেয়া মাত্রই

বিশ্ব আপনার কথায় ঈমান এনেছিল।

যেদিন আপনার জন্ম হয়েছিল একটি তারকা আকাশে দেখা দেয়

এবং পারস্য সাম্রাজ্যের খসরুর প্রাসাদের তিনটি মিনার বা টাওয়ার ধসে পড়ে! (La Legende des Siecles, IX, Islam)

মহানবী (সা) আনুষ্ঠানিকভাবে নবুওত লাভের আগেও সব সময়ই গভীর চিন্তা করতেন। তিনি ভাবতেন মহান আল্লাহর নানা নিদর্শন নিয়ে। তিনি দীর্ঘকাল ধরে হেরা পর্বতের নির্জন গুহায় বসে সৃষ্টি জগতের নানা রহস্য নিয়ে ভাবতেন। মহানবীর (সা) এ বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে ভিক্টর হুগো তার ওই কবিতায় লিখেছেন:

মুহাম্মাদ (সা) যেন বেহেশত দেখেছেন এবং দেখেছেন প্রেম, ভবিষ্যৎ ও অতীত

বেশিরভাগ সময়ই নীরব থাকতেন ও শুনতেন

সবার পরে কথা বলতেন

সব সময় প্রার্থনায় মশগুল থাকতেন।

ভিক্টর হুগোর দৃষ্টিতে মহানবীর (সা) বিনম্রতা ও মহত্ত্বের কারণে কেউ তাঁকে তিরস্কার করত না। যখন তিনি মহল্লার অলি-গলি ও পথ অতিক্রম করতেন তখন সব দিক থেকে পথিকদের সালাম পেতেন তিনি এবং অত্যন্ত দয়াদ্রভাবে জবাব দিতেন মহানবী (সা)।রাসুল (সা) কোনো কোনো সময় ও কোনো কোনো ক্ষেত্রে নিজের স্থলাভিষিক্ত তথা ভবিষ্যৎ প্রতিনিধি নিযুক্ত করতেন যাতে তাঁরা মহানবীর (সা.) আসমানি রেসালাতের আমানতদার হতে পারেন এবং জনগণকে সৌভাগ্যের পথ দেখাতে পারেন। হুগো এ প্রসঙ্গে লিখেছেন:

তিনি ছিলেন শান্ত

কিন্তু তাঁর দৃষ্টি ছিল উচ্চ-আকাশের ঈগল পাখির মত

যে বাধ্য হয়েছে আকাশ ছেড়ে নেমে আসতে।

প্রতিপালকের কাছ থেকে মানুষের জন্য আনা

কুরআনের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পুনরাবৃত্তি করতেন।

এরপর ইসলামের পতাকা তিনি তাঁর পতাকাধারী আলীর কাছে ন্যস্ত করেন এবং বলেন: 

 “এটাই আমার জীবনের শেষ প্রভাত/

এক ও অদ্বিতীয় আল্লাহ ছাড়া কোনো খোদা নেই,

তাঁর পথে জিহাদ কর বা সচেষ্ট থাক!”

সেদিনও তিনি অন্য সব দিনের মতই নামাজের সময় মসজিদে এলেন।

তিনি হযরত আলীর দেহের ওপর ভর করলেন বা হেলান দিলেন।

বিশ্বাসীরা আসছিলেন তাঁর পেছেনে। বাতাস বইছিল পবিত্র পতাকাগুলোর মধ্য দিয়ে।

মহানবী (সা) ছিলেন সর্বশেষ রাসুল এবং পূর্ববর্তী নবী-রাসুলদের পথ অব্যাহত রাখার দায়িত্বে নিয়োজিত। তিনি এমন এক চেইন বা চক্রের পূর্ণতাদানকারী যে তাঁর নবুওত ও রেসালাত মানবজাতির ইতিহাসকে বদলে দিয়েছে। ভিক্টর হুগো তার কবিতায় এ প্রসঙ্গে মহানবীর (সা) হয়ে নিজ বক্তব্য তুলে ধরে বলছেন:

আমি তো আমার মহান আল্লাহর বাণীর একটি বাক্য

আমি ছাই, মানুষের রুটির মতন, আমি আগুন, নবীদের মত আমি

উত্তাপ-সঞ্চারক ও আলোকদাতা/

ঈসা মাসিহ ছিলেন আমারই ভূমিকা বা পটভূমি

ভোরের আলোগুলোর মত যা কিনা সূর্যের সুসংবাদ বয়ে আনে

মরিয়মের পুত্র, ছিল প্রশান্ত ও খোশকালামের অধিকারী/

শিশুদের মত

ভিক্টর হুগো ওই কবিতায় মহানবীর (সা) বক্তব্য তুলে ধরতে গিয়ে আরো লিখেছেন:

কিন্তু আমি ছিলাম এমন শক্তি যে ঈসার অপরিপূর্ণ নূরকে পরিপূর্ণ করেছিলাম...

আমি সত্য ও ন্যায়ে বড় শেকড়ের অধিকারী ছিলাম

তাঁর সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য আমার আবির্ভাব

কিন্তু ক্ষোভ বা ক্রোধের মাধ্যমে নয়; দয়ার মাধ্যমে

একাকি ছিলাম ও এখনও একাই আছি/

নগ্ন ও ক্ষত-বিক্ষতএবং এটাই বেশি ভালোবাসি

তাদেরকে অনুমতি দেয়া হত যে আমাকে দমন করার

অথচ আমার ডান হাতে ছিল সূর্য ও বাম হাতে চাঁদ

ওরা আমার ওপর কঠোর হামলা চালাল, কিন্তু অবশেষে হল পরাজিত

আর আমি এক পাও পিছু হটলাম না।

জীবনের শেষ দিনগুলোতে মহানবীর (সা) অসুস্থতা যখন বেড়ে গিয়েছিল তখন তিনি মসজিদে এসে বললেন:আমার কাছে যারই কোনো কিছু পাওনা রয়েছে বা অধিকার রয়েছে সে তা এখন আদায় করুক! উম্মত কেঁদে উঠল ও বলল: ইয়া রাসুলুল্লাহ! আপনার ওপর আমাদের পাওনা বা অধিকার থাকতে পারে!? তিনি বললেন: আল্লাহর কাছে কলঙ্কিত হওয়া তোমাদের কাছে কলঙ্কিত হওয়ার চেয়ে অনেক বেশি কঠিন! আমার কাছ থেকে তোমাদের কিছু পাওনা থাকলে তা এখনই আদায় করে নাও, তা যেন শেষ বিচারের দিন বা কিয়ামত পর্যন্ত না গড়ায়। হুগো মহানবীর জীবন-সায়াহ্নের ঘটনাগুলোয় তাঁর প্রশংসা তুলে ধরতে গিয়ে লিখেছেন:

যখন নামাজের সময় হল

তিনি মসজিদে যেতে চাইলেন

যদিও সে সময় তিনি অসুস্থ ছিলেন

আলীর দেহের ওপর ভর করলেন,

লোকেরা অনুসরণ করছিল তাঁকে

পবিত্র পতাকা উড়ছিল বাতাসেযখন মসজিদে পৌঁছলেন

দেহ তাঁর কাঁপছিল গায়ের রং যেন উধাও হয়েছিল

তিনি লোকদের দিকে ফিরলেন ও বললেন:

হে মানুষেরা! দিনের যেমন অবসান ঘটে রাতের আঁধারে

মানুষের জীবনও পৌঁছে যায় মৃত্যুর তীরে

আমরা সবাই নশ্বর মাটির ও অনুল্লেখযোগ্য

কেবল মহান আল্লাহই অবিনশ্বর এবং অদ্বিতীয় একজন

হে জনগণ! বস্তুত মানুষ আল্লাহর পথে চলা ছাড়া অপদস্থ ও ঘৃণ্য প্রাণী

বড় মাপের একজন এ সময় অনুযোগ করে বললেন:

হে আল্লাহর রাসুল! প্রেরিত পুরুষ!মানুষকে দাওয়াত দেয়া মাত্রই

সবাই আপনার আহ্বান শুনেছে পেতে হৃদয়ের কান

এবং আপনার বক্তব্যের সত্যতায় বিশ্বাস করেছে স্থাপন

যেদিন আপনি এসেছিলেন দুনিয়ায়

আকাশ শোভিত হয়েছিল একটি তারকায়

ইরান-সম্রাটের প্রাসাদের তিনটি মিনারের ঘটে পতন...

মহানবী নিরব থেকে কিছুক্ষণ নিঃশ্বাসের শক্তি করে নেন নবায়ন

অতঃপর আবারও কথা শুরু করে বলেন:

এসব সত্ত্বেও সময় হয়েছে বিদায় নেয়ার।

জনতার মাঝে শুরু হল গুঞ্জন কলরব:

জীবনের শেষ দিনগুলোতে কারো কাছে দেনা থাকলে তা বুঝে নিতে ও কাউকে কথার মাধ্যমে বা কোনোভাবে শরীরে আঘাত দিয়ে থাকলে তার প্রতিশোধ নিতে মহানবী যে আহ্বান জানিয়েছিলেন সেই ঘটনাও খুব সুন্দরভাবে কবিতায় ফুটিয়ে তুলেছিলেন ভিক্টর হুগো। ওই একই কবিতায় হুগো এ প্রসঙ্গে লিখেছেন:

মহানবী (সা) বলে চললেন:হে মানুষেরা শোনো পেতে কান!

যদি তোমাদের কাউকে কখনও বলে থাকি অবাঞ্ছিত কোনো কথন

আমি তোমাদের মাঝ থেকে যাবার আগেই দাঁড়াও এখন

সবার সামনে আমাকেও শুনিয়ে দেও তেমনই কথন!

যদি কাউকে দিয়ে থাকি অন্যায্য আঘাত

এসো এই লাঠি নিয়ে করো প্রত্যাঘাত!

এক ব্যক্তি দাবি করেছিলেন যে মহানবীর লাঠি একবার তার পেটে লেগেছিল এবং এখন তিনি প্রতিশোধ নিতে চান! মহানবী তাঁর জামা উপরে তুলে ধরলেন! লোকজন এই লোকটির ব্যাপারে বিস্মিত ও ক্রুদ্ধ হয়েছিল। কিন্তু লোকটি মহানবীর পায়ে পড়ল ও মহানবীর পেটে চুমো খেয়ে বলল: ইয়া রাসুলাল্লাহ!আপনার বদন ছুয়ে আমি নিজেকে দোযখের আগুন থেকে মুক্ত করছি! হুগো তার কবিতায় এ ঘটনাটিই উল্লেখ করেছেন।

মহানবীর (সা) প্রতি গভীর ভালবাসা ও শ্রদ্ধা নিয়ে ভিক্টর হুগো এই মহামানবের জীবনের শেষ মুহূর্তগুলো খুব কোমল ও বেদনাদায়কভাবে নিজ কবিতায় তুলে ধরেছেন। মহানবীর (সা) শেষ উপদেশ ও অসিয়তগুলো সম্পর্কে হুগো তার কবিতায় লিখেছেন:

হে জনগণ! করো মহান আল্লাহয় বিশ্বাস স্থাপন! /মহান আল্লাহর সমীপে মাথা কর অবনমন

মেহমানের নিও যতন! /ভয় করবে আল্লাহকে সর্বক্ষণ!হয়ো ন্যায়পরায়ন!/

কখনও থেকো না এমন দেয়ালে

যা বেহেশতকে জাহান্নামের পতন-স্থল থেকে রাখে আড়ালে

ভুল থেকে কেউই নয় মুক্ত

তবুও সচেষ্ট থেকো যাতে না হও শাস্তির যোগ্য

এরপর মহানবী হলেন আবারও নিরব কিছুক্ষণ

ভাবনায় ডুবে গেলেন/

মানুষের দয়ার্দ্র দৃষ্টি তখন তাঁর ওপরযেন দৃষ্টি কবুতরের /

এমন একজন প্রজ্জ্বোল মহামানবের দিকে তারা তাকাচ্ছিলেন

যিনি ছিলেন নির্ভরতার স্থল সারা জীবন।

মহানবীর (সা) জীবনাবসানের চিত্র হুগোর কবিতায় ফুটে উঠেছে এভাবে:

তখন সন্ধ্যা নেমে এসেছিল

মৃত্যুর ফেরেশতা এলো ঘরের দরজায়

চাইলো প্রবেশের অনুমতি

মহানবী দিলেন সম্মতি

খোদার কর্মী যখন ঘরে ঢুকলেন

সবাই দেখলেন

মহানবীর চোখে যেন খেলে গেলো

উজ্জ্বল এক বিস্ময়কর বিদ্যুতের চমক!

ঠিক সেই নূরের মত যা জন্মদিনে তাঁর চোখে প্রজ্জ্বোল ছিল

এভাবে মুহাম্মাদের (সা) প্রাণ জীবন-স্রস্টার কাছে ফিরে গেল।#

পার্সটুডে/এমএএইচ/২

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ