গাজা যুদ্ধ পরিস্থিতি
'আল-কাসসাম ব্রিগেডে কারা? যাদের ভয়ে ঘুম হারাম ইসরাইলের!'
সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতাবন্ধুরা! আজ ২৬ অক্টোবর বৃহষ্পতিবারের কথাবার্তার আসরে সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ দুটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।
বাংলাদেশের শিরোনাম:
- নির্বাচনের জন্য প্রত্যাশিত অনুকূল পরিবেশ এখনো তৈরি হয়নি: সিইসি-প্রথম আলো
- রাতভর বিএনপি নেতাকর্মীদের বাসায় অভিযান, খোকনসহ গ্রেপ্তার ৩৩-মানবজমিন
- বিএনপিকে হুঁশিয়ারি ওবায়দুল কাদেরের
- ‘গায়ে পড়ে আক্রমণ করলে পাল্টা হামলা অবশ্যই হবে’-ইত্তেফাক
- মহাসমাবেশ নয়াপল্টনেই, চিঠির জবাবে পুলিশকে জানাল বিএনপি-যুগান্তর
কোলকাতার শিরোনাম:
- জ্যেতিপ্রিয় মল্লিক ওরফে বালু সুগারের রোগী, মৃত্যু হলে বিজেপি এবং ইডির বিরুদ্ধে এফআইআর করা হবে! হুঁশিয়ারি মমতার-আনন্দবাজার পত্রিকা
- রাজ্যে ইন্ডিয়া-ভারত দুই নামই ব্যবহার হবে, বিজেপিকে বিঁধে ঘোষণা মমতার-সংবাদ প্রতিদিন
- গাজায় একদিনেই নিহত ৭৫৬, সংঘর্ষ বিরতিতে বাধা আমেরিকার-গণশক্তি
- তরুণ প্রজন্মের বেকারিতে ভারত শীর্ষে-গণশক্তি
শ্রোতাবন্ধুরা! শিরোনামের পর এবার দু'টি খবরের বিশ্লেষণে যাচ্ছি-
কথাবার্তার বিশ্লেষণের বিষয়:
১ নির্বাচনের জন্য অনুকূল পরিবেশ হয়ে ওঠেনি- একথা বলেছেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। কীভাবে দেখছেন তার এ বক্তব্যকে?
২. গাজা-ইসরাইল যুদ্ধ পশ্চিম এশিয়ার বাইরেও ছড়িয়ে পড়তে পারে- এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আপনার পর্যবেক্ষণ কী?
বিশ্লেষণের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর
গাজায় অনাহারকে ‘যুদ্ধের অস্ত্র’ হিসেবে ব্যবহার করছে ইসরাইল-যুগান্তর
আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা অক্সফাম আবারও অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় জরুরি পণ্য প্রবেশ করতে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। বুধবার এক বিবৃতিতে সংস্থাটি বলেছে— ছিটমহলটিতে ইসরাইল খাদ্য, পানি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার পর অনাহারকে যুদ্ধের একটি অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে ইসরাইল। খবর আলজাজিরার।
সংস্থাটির মধ্যপ্রাচ্য পরিচালক সালি আবি খলিল বলেন, এই পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর ছাড়া কিছু নয়, মানবতা কোথায়? পুরো বিশ্বের সামনে লাখো বেসামরিককে সমষ্টিগত শাস্তির মুখে পড়তে হচ্ছে। অনাহারকে যুদ্ধের একটি অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের কোনো ন্যায্যতা থাকতে পারে না। বিশ্বনেতারা নিষ্ক্রিয় এবং দেখে যেতে পারেন না। তাদের পদক্ষেপ নেওয়ার দায় রয়েছে। এবং তা এখনই নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে। শিশুরা টানা বোমাবর্ষণে মানসিক আঘাতের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। পানি দূষিত হয়ে পড়েছে বা ভাগাভাগি করে পান করতে হচ্ছে। কিছু দিনের মধ্যে পরিবারগুলো শিশুদের খাবার দিতে পারবে না। গাজাবাসী আর কত সহ্য করবে?
যুদ্ধের একটি পদ্ধতি হিসেবে অনাহারকে নিষিদ্ধ করা আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের কথা উল্লেখ করে অক্সফাম বলেছে, এটি বেদনাদায়কভাবে স্পষ্ট হয়ে উঠছে যে, গাজায় উদ্ভূত মানবিক পরিস্থিতি রেজ্যুলিউশনের নিন্দার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
আল-কাসসাম ব্রিগেডে কারা? যাদের ভয়ে ঘুম হারাম ইসরাইলের-যুগান্তর
ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধে গড়ে তোলা একটি সংগঠনের নাম ‘আল-কাসসাম’ ব্রিগেড। ১৯৯০ সালের আগে হামাসের সামরিক শাখা সবার কাছে অপরিচিত ছিল। সে বছরই এ সামরিক শাখার কার্যক্রমে ঘুম হারাম হয়ে যায় ইসরাইলের। তাদের ভয়াবহ হামলায় অনেক ক্ষতি হয়।
ফিলিস্তিনের শহর ইয়াবাদে ১৯৩৫ সালে ব্রিটিশ সেনাদের গুলিতে নিহত হন সিরিয়ান মুক্তি আন্দোলনের নেতা ‘এজ্জেদিন আল-কাসসামের’। তার নাম অনুসারে এ সামরিক শাখার নাম দেওয়া হয় ‘আল-কাসসাম’ ব্রিগেড। আল-কাসসাম ব্রিগেডের আগে এবং হামাস প্রতিষ্ঠার অনেক আগে থেকেই ভিন্ন নামে চলে আসছিল, যার মধ্যে রয়েছে— ‘ফিলিস্তিন মুজাহেদিন’ এবং ‘মাজদের’ মতো গ্রুপ।
‘আল-কাসসাম ব্রিগেড’ ১ জানুয়ারি ১৯৯২ সালে তাদের প্রথম অপারেশনের ঘোষণা দিয়ে আত্মপ্রকাশ করে। এ ব্রিগেডের একটি অংশ দরনসশান নামের একজন ইসরাইলি রাবাইকে (ইসরাইলি ধর্মযাজক) হত্যা করে। এক ঘোষণার মাধ্যমে হামাস আল-কাসসাম ব্রিগেডকে তাদের মিলিটারি শাখা হিসেবে ঘোষণা করে। শুরুতে সীমিতসংখ্যক সেনা নিয়ে শুরু করা এ ব্রিগেড এখন গাজার একটা বড় অংশজুড়ে আছে।
হামাস সন্ত্রাসী নয়, স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করছে: এরদোগান-মানবজমিন
হামাস-ইসরাইল যুদ্ধে এ পর্যন্ত যত নেতা ফিলিস্তিন বা হামাসের পক্ষে কথা বলেছেন, তার মধ্যে সবচেয়ে জোরালো অবস্থান তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়্যিপ এরদোগানের। হামাসকে ইসরাইল, যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা অনেক দেশ সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে অভিহিত করে। কেউ কেউ তাদেরকে আইসিসের সঙ্গে তুলনা করেছেন। এর জবাবে এরদোগান বলেছেন, হামাস কোনো সন্ত্রাসী সংগঠন নয়, বরং তারা ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য এবং ফিলিস্তিনি ভূমি ও জনগণের সুরক্ষার জন্য কাজ করছে। বুধবার সাফ সাফ এ কথা জানিয়ে দেন তিনি। এরদোগান সরাসরি বলেন- হামাস কোনো সন্ত্রাসী সংগঠন নয়। তারা স্বাধীনতাকামী একটি গ্রুপ। তারা মুজাহিদ। তারা ভূমি ও জনগণকে সুরক্ষা দেয়ার জন্য লড়াই করছে। ন্যাটোর অন্য মিত্র ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের মতো হামাসকে তার দেশ সন্ত্রাসী সংগঠন বলে মনে করে না।
নির্বাচনের জন্য প্রত্যাশিত অনুকূল পরিবেশ এখনো তৈরি হয়নি: সিইসি-প্রথম আলো
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রত্যাশিত অনুকূল পরিবেশ এখনো তৈরি হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই রাজনৈতিক পরিবেশটা অনুকূল হয়ে উঠুক। আমার যে প্রত্যাশা ছিল, আজকে ছয় মাস, আট মাস, নয় মাস, এটার সমাধান করতে পারলেন না। দেশের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা সমাধান করতে পারেন না, আমি একা কীভাবে...একটা জিনিস ওভারনাইট (রাতারাতি) সমাধান হবে না।’নির্বাচন কমিশন নিরন্তর আহ্বান জানিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে সিইসি বলেন, ‘দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে সংলাপ করেছি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে। যারা অনাগ্রহী, আসতে চান না, তাদের প্রতিও আমাদের বিনীত আবেদন ছিল যে আপনারা আসেন। শেষ পর্যন্ত আমি আধা সরকারি পত্র (ডিও লেটার) দিয়েও সেই দল ও তার প্রতি সহানুভূতিশীল অন্য যেসব দল আছে, তাদের প্রতি আবেদন করেছিলাম। অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় চা খেতে আসেন, আমরা কিন্তু সাড়া পাইনি।’
এর মাধ্যমে ইসি দেখাতে চেয়েছিল যে তারা স্বাধীনভাবে কাজ করছে—এমন মন্তব্য করে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘তাদের (বিএনপিসহ যেসব দল ইসির সঙ্গে সংলাপ করেনি) যে রাজনৈতিক কৌশল, সেটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার। সেখানে আমার বলার কিছু নেই। আমরা স্পষ্ট করে জানিয়েছি, প্রতিটি রাজনৈতিক দলের বা জোটের রাজনৈতিক কৌশল থাকতে পারে, সেটা রাজনৈতিক ইস্যু, নির্বাচন কমিশন ওর মধ্যে অনধিকার চর্চা করবে না। কিন্তু আমরা নিরন্তর আহ্বান জানিয়ে যাব, আপনারা আসেন, সমস্যার সমাধান হোক। অথবা মাঠে আপনারা বিরাজমান সংকটগুলো নিরসন করুন।’
সিইসির এমন সূচনা বক্তব্যের পর কথা বলেন দেশের গণমাধ্যমের প্রধানেরা। নির্বাচনের জন্য প্রত্যাশিত অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়নি—সিইসির এমন বক্তব্যকে কেউ কেউ সাধুবাদ জানান; বিরোধিতাও করেন কেউ কেউ।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে আলোচনার সুযোগ নেই: আইনমন্ত্রী-প্রথম আলো
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে আলোচনার কোনো সুযোগ নেই। আর অন্য বিষয়ে আলোচনা করতে চাইলে তা প্রস্তাবের ওপর নির্ভর করবে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক এসব কথা বলেন।
সাংবাদিকেরা জানতে চেয়েছিলেন, দুই পক্ষের (ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দল) মধ্যে আলোচনার কোনো সুযোগ আছে কি না, জবাবে আনিসুল হক বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার যদি বলেন, আলোচনার সুযোগ নেই। আর অন্য কিছু যদি আলোচনা করতে চান, প্রস্তাবের ওপর নির্ভর করবে, আলোচনার সুযোগ আছে কি নেই।’
তখন এক সাংবাদিক জানতে চান, তাদের (বিএনপি) তো আলোচনার বিষয় একটাই, তত্ত্বাবধায়ক সরকার। এ বিষয়ে আনিসুল হক বলেছেন, সেখানে আলোচনার কোনো সুযোগ নেই।
পুলিশকে দেওয়া পাল্টা চিঠিতে যা বলল বিএনপি-প্রথম আলো
২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশের জন্য নয়াপল্টনের বিকল্প খোঁজাসহ সাত তথ্য জানতে পুলিশ যে চিঠি দিয়েছিল, তার জবাব দিয়েছে বিএনপি। দলটি বলেছে, ২৮ অক্টোবরের সমাবেশ তারা নয়াপল্টনেই করতে চায়।
বিকল্প কোনো স্থানে তাদের পক্ষে যাওয়া সম্ভব নয়। ওই দিনের সমাবেশে এক থেকে সোয়া লাখ লোক হতে পারে বলেও দলটি উল্লেখ করেছে তাদের চিঠিতে। বিএনপির পক্ষে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ চিঠি দিয়েছেন।
সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে সমাবেশ করার জন্য পুলিশকে চিঠি দিয়েছিল বিএনপি। তাদের চিঠির জবাবে গতকাল বুধবার বিকল্প দুটি স্থানের নামসহ সাত তথ্য চায় পুলিশ। সেই চিঠিতে সমাবেশে লোকসমাগমের সংখ্যা, সময়, বিস্তৃতি, কোন কোন স্থানে মাইক লাগানো হবে, অন্য দলের কেউ উপস্থিত থাকবেন কি না-সহ সাতটি তথ্য জানতে চাওয়া হয়।
বিএনপিকে হুঁশিয়ারি ওবায়দুল কাদেরের ‘গায়ে পড়ে আক্রমণ করলে পাল্টা হামলা অবশ্যই হবে’-ইত্তেফাক
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘গায়ে পড়ে বিএনপি যদি আমাদের ওপর আক্রমণ করতে আসে, তখন তো আমরা চুপচাপ বসে থাকবো না।’ বিএনপির নাশকতার জবাব দেওয়া হবে- এমন মনোভাব নিয়ে তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘আমাদের কর্মীরা কি তখন শান্ত থাকবে?’ ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শান্তি সমাবেশে যদি হামলা হয়, তাহলে আমাদের কর্মীরা বসে থাকবে না। পাল্টা হামলা অবশ্যই হবে।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বিএনপির সভাস্থলে গিয়ে হামলা করতে যাবো না। এখন পর্যন্ত আমরা এটা করিনি, করবোও না। কারণ আমরা সরকারে আছি। আমরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। আমরা অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। আমরা নির্বাচনে শান্তি চাই। নির্বাচনের আগের পরিবেশটাতেও শান্তি চাই। আমরা দেশ চালাচ্ছি, তাই আমরা গায়ে পড়ে অশান্ত পরিবেশ হতে দেবো না।’
এবারে কোলকাতার কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:
রাজ্যে ইন্ডিয়া-ভারত দুই নামই ব্যবহার হবে, বিজেপিকে বিঁধে ঘোষণা মমতার-সংবাদ প্রতিদিন পত্রিকার এ খবরে লেখা হয়েছে, ‘ইন্ডিয়া’ নাম কেটে দিলে সেটা মেনে নেওয়া হবে না। বিজেপিকে বিঁধে সাফ জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেই সঙ্গে ঘোষণা করে দিলেন, এনসিইআরটি যতই সিলেবাস থেকে ইন্ডিয়া শব্দটি দেওয়ার সুপারিশ করুক, বাংলায় ‘ইন্ডিয়া’ এবং ‘ভারত’ দুটি শব্দই ব্যবহার করা হবে। যেমন সংবিধানে আছে।বুধবারই NCERT-র বিশেষজ্ঞ কমিটি সুপারিশ করেছে, সমাজবিজ্ঞানের পাঠ্যবইয়ে আর ‘ইন্ডিয়া’ শব্দটি ব্যবহার করা হবে না। বদলে সব জায়গায় সব ভাষায় ব্যবহার করা হোক ‘ভারত’ শব্দটি। সেই সঙ্গে ওই কমিটির সুপারিশ, ইতিহাসের ক্ষেত্রে প্রাচীন ভারতের ইতিহাসের বদলে পড়ানো হবে সনাতনী ভারতীয় ইতিহাস। এনসিইআরটির বিশেষজ্ঞ কমিটির সাত সদস্যের সহমতের ভিত্তিতেই ওই সুপারিশ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবারই এনসিইআরটির সেই সিদ্ধান্তের প্রবল বিরোধিতা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সংবাদ প্রতিদিনের অন্য একটি খবরের শিরোনাম ‘একটাও বিজেপির ডাকাতের বাড়িতে তল্লাশি হয়েছে?’, জ্যোতিপ্রিয়র বাড়িতে ইডি হানায় ক্ষুব্ধ মমতা
রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ইডি, সিবিআইয়ের মতো তদন্তকারী সংস্থাকে কাজে লাগাচ্ছে বিজেপি, এমন অভিযোগ বারবার করেছে তৃণমূল। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বাড়িতে ইডি হানায় সেই একই অভিযোগের সুর চড়ালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের নেতা-মন্ত্রীদের টার্গেট করা হচ্ছে বলেই দাবি তাঁর। মমতার প্রশ্ন, একটাও বিজেপির ‘ডাকাতে’র বাড়িতে তল্লাশি হচ্ছে না কেন?
ক্ষোভের সুরে মমতা আরও বলেন, “আমার প্রশ্ন একটাই বিজেপির ডাকাতদের বাড়িতে তল্লাশি হয়েছে? একটাই বিজেপি মন্ত্রীর বাড়ি তল্লাশি হয়েছে? একটাই বিজেপির চোরের বাড়ি তল্লাশি হয়েছে? সংবাদপত্রের টুঁটি চেপে ধরা হচ্ছে। এদের কোনও নেতা বিদেশে গেলে দেখায় সারা দেশের লোককে ভালবাসে। সবকা সাথ সবকা বিনাশ। আর দেশে আসলে সবকা সত্যানাশ।”
নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ, শাহী প্রচারে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে কমিশনে কংগ্রেস-সংবাদ প্রতিদিন
প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর পর এবার অমিত শাহর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ। আসন্ন পাঁচ রাজ্যের ভোটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারির দাবিতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ কংগ্রেস। তাদের বক্তব্য, অমিত শাহ (Amit Shah) ছত্তিশগড়ে গিয়ে জাতপাতের নামে ভোট চেয়েছেন। যা আদর্শ আচরণ বিধির বিরোধী।বিজেপি আগেই প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর বিরুদ্ধে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিল।প্রিয়াঙ্কার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ওঠার পরই অমিত শাহর বিরুদ্ধে পালটা অভিযোগ করে এল কংগ্রেস।
গাজায় একদিনেই নিহত ৭৫৬, সংঘর্ষ বিরতিতে বাধা আমেরিকার-গাজায় বোমাবর্ষণের তীব্রতা বাড়িয়েছে ইজরায়েল। গত ২৪ ঘণ্টায় ইজরায়েলী বোমায় নিহত হয়েছেন ৭৫৬ জন। মৃতদের ৩৪৪ জন শিশু।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমী মিত্ররা কোনোভাবেই সংঘর্ষবিরতি হতে দেবে না। রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের আরেকটি বৈঠকে সংঘর্ষবিরতির প্রস্তাব নস্যাৎ করে দিয়েছে আমেরিকা।
রাষ্ট্রসঙ্ঘ কার্যত গাজায় আক্রমণ থামানোর জন্য কোনও ভূমিকাই পালন করেনি। রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস কেবলই বিবৃতি দিয়ে চলেছেন। এর মধ্যেই মঙ্গলবার গুতেরেসের একটি ভাষণে ক্ষিপ্ত ইজরায়েল। গুতেরেস হামাস এবং ইজরায়েল কারোরই নাম না করেই বলেছিলেন, নাগরিকদের আক্রমণ না করা কর্তব্য। সেইসঙ্গে গুতেরেস বলেন, ৭ অক্টোবরের ঘটনা শূন্য থেকে ঘটেনি। ৫৬ বছর ধরে প্যালেস্তিনীয়দের বঞ্চনার ফলেই এমন হয়েছে। ইজরায়েল তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে দাবি করে গুতেরেসকে ইস্তফা দিতে হবে। তিনি হামাসের প্রতি পক্ষপাত দেখাচ্ছেন। ইজরায়েল ঘোষণা করে রাষ্ট্রসঙ্ঘের কোনও ব্যক্তিকে আর ভিসা দেওয়া হবে না। ইজরায়েলের বিদেশমন্ত্রী গুতেরেসের সঙ্গে নির্ধারিত বৈঠক বাতিল করে দেন। গুতেরেস পরে নিজের বিবৃতির ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, ইজরায়েল ‘ভুল বুঝছে’।
গাজায় হাসপাতাল একের পর এক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। চিকিৎসা পরিষেবার সামগ্রী নেই, বিদ্যুৎ নেই। প্রায় খালি হাতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসকরা। ইজরায়েল জানিয়ে দিয়েছে, মানবিক সাহায্যের মধ্যে জ্বালানি যেন না থাকে।
তরুণ প্রজন্মের বেকারিতে ভারত শীর্ষে-গণশক্তি
মোদী তাঁর আমলে দেশে অর্থনীতির বিকাশে বেকারি কমেছে বলে সম্প্রতি দাবি করলেও বিশ্বব্যাঙ্ক তাদের রিপোর্টে সেই দাবি সরাসরি খারিজ করে দিয়েছে। রিপোর্টে বিশ্ব ব্যাঙ্ক জানালো ভারতের তরুণদের বেকারির হার বিপুল হারে বেড়েছে। যে সময়ে বেকারির হার চরমে উঠেছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে তা পুরোটাই মোদীর আমল। তার আমলে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ভুটানের থেকেও ভারতে তরুণ প্রজন্মের বেকারির হার বেশি।তাঁর আমলে দেশে আর্থিক বৃদ্ধির হার প্রতি বছর কমছে। আর্থিক বৃদ্ধির হারে অন্য দেশের থেকে পিছিয়ে পড়েছে ভারত। মোদী ভারত অর্থনীতিতে বিশ্বের অন্যতম সেরা হয়ে দেশ হয়ে উঠবে বলে যে দাবি করেছেন তা যে বাগাড়ম্বর ছাড়া কিছু নয় তা প্রমাণ হয়েছে বিশ্ব ব্যাঙ্কের বেকারির তথ্যে।মোদী সরকার ক্ষমতায় এসেই বছরে ২কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তা আজ আর শোনা যায় না।#
পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/ ২৬