এমপি চাইলেন ২০ কোটি, ব্যাংক বলল ২০০ কোটি
সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: ১০ ফেব্রুয়ারি সোমবারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।
বাংলাদেশের শিরোনাম:
- ঢাকা ক্লাবসহ সারা দেশের ১৩ ক্লাবে জুয়া নিষিদ্ধ-দৈনিক ইত্তেফাক
- ‘খেলায় হেরে বাংলাদেশের পতাকা ছিনিয়ে নেয় ভারতের ক্রিকেটাররা’-দৈনিক মানবজমিন
- ৪২ হাজার রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে সৌদির চাপ-দৈনিক প্রথম আলো
- ওবায়দুল কাদের মিথ্যার ফেরিওয়ালা: রিজভী -দৈনিক যুগান্তর
- এমপি চাইলেন ২০, ব্যাংক বলল ২০০ কোটি-বাংলাদেশ প্রতিদিন
ভারতের শিরোনাম:
- এবার মোদি-শাহদের ‘অস্কার’ দিল কংগ্রেস! কে কোন বিভাগে পুরস্কার পেলেন?-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন
- ‘জাতপাতের চেয়েও ভয়ঙ্কর ধর্মের রাজনীতি’, বিস্ফোরক প্রীতীশ নন্দী-দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা
- তফসিলি জাতি, উপজাতিদের নিগ্রহে আগাম জামিন নয়, জানাল সুপ্রিম কোর্ট-দৈনিক আজকাল
পাঠক/শ্রোতা! এবারে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিশ্লেষণে যাব।
কথাবার্তার বিশ্লেষণের বিষয়:
১. সব ধরনের জুয়া নিষিদ্ধ করে বাংলাদেশের হাইকোর্ট একটি রায় দিয়েছে। কীভাবে দেখছেন বিষয়টিকে?
২. ইসলামি বিপ্লবের ৪১তম বিজয় বার্ষিকী উদযাপন করতে যাচ্ছে ইরান। সমসাময়িক ইতিহাসে এই বিপ্লবের প্রভাব সম্পর্কে আপনার পর্যবেক্ষণ কী?
বিশ্লেষণের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর:

যুব বিশ্বকাপে ভারতকে ৩ উইকেটে হারিয়ে বাংলাদেশ এক অবিস্মরণীয় জয় পেয়েছে। এ সম্পর্কে বাংলাদেশ এবং ভারতের জাতীয় দৈনিকগুলোতে নানামুখী খবর পরিবেশিত হয়েছে। এ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।
প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম- ‘দশে মিলেই’ বিশ্বকাপ জিতেছে বাংলাদেশের যুবারা।দৈনিকটির আরও শিরোনাম এরকম-বাংলাদেশের জয় বিশ্ব ক্রিকেটের দারুণ ঘটনা।বোনের মৃত্যুশোক বুকে চেপেই আকবরের বিশ্বজয়। দৈনিক মানবজমিনের শিরোনাম- নোবেল জয়ী বাংলাদেশের অর্থনীতিবিদ ড. ইউনুস বলেছেন, ‘আমি তোমাদের মাথায় তুলে অভিনন্দন জানাচ্ছি’। খেলায় হেরে বাংলাদেশের পতাকা ছিনিয়ে নেয় ভারতের ক্রিকেটাররা। ইত্তেফাকের শিরোনাম- হেরে গিয়ে টাইগারদের মারতে আসে ভারতীয়রা। এ খবরে লেখা হয়েছে- দক্ষিণ আফ্রিকায় অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয়ের মধ্য দিয়ে বিশ্বকাপজয়ীদের তালিকায় নাম লেখালো বাংলাদেশ। রবিবার যুব বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচে বাংলাদেশের কাছে হেরে অখেলোয়াড়সুলভ আচরণ করলেন ভারতের যুব ক্রিকেটাররা। শুধু তাই নয়, ভারতীয় ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাতাহাতি এমনকী বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা কেড়ে নেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।
বাংলাদেশ ক্রিকেটারদের শাস্তি দেবে আইসিসি!-দৈনিক সমকাল

বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো বৈশ্বিক কোনা আসরের ফাইনালে উঠে শিরোপা জিতেছে। দেশকে চ্যাম্পিয়নের তকমা এনে দিয়েছেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটাররা। তবে ম্যাচ শেষে ঘটেছে আপত্তিকর ঘটনা। খেলা শেষে দুই দলের ক্রিকেটাররা কথার লড়াইয়ে নামেন। সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, তাদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কিও হয়েছে।
বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা জয় সূচক রান পেতেই মাঠে উদযাপন করতে নেমে যায়। তখন দলের কেউ কেউ ভারতীয় ক্রিকেটারদের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় করেন। ভারতীয় ক্রিকেটাররা তা মেনে নেয়নি। এরপর তাদের মধ্যে হাতাহাতি লেগে যায় বলে দাবি করা হচ্ছে। যদিও প্রকৃত ঘটনা কী তা বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক আকবর আলী, ম্যাচ রেফারি গ্রায়েম লাব্রয়ের কিংবা ভারতীয় দলের টিম ম্যানেজার আনিল প্যাটেল নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না।
ফুটেজে দেখা যায়, ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ যুবা দলের এক ক্রিকেটার লাফ দিয়ে ভারতের ক্রিকেটারের সামনে দাঁড়িয়ে কিছু একটা বলেন। এরপর শুরু হয় হাতাহাতি। এক পর্যায়ে বাংলাদেশ ক্রিকেটারদের হাত থেকে পতাকা কেড়ে নেয় ভারত। তবে আইসিসি শেষ কয়েক মিনিটের ফুটেজ দেখে ঘটনা কী ঘটেছিল তা দেখবে বলে জানিয়েছে।
ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের টিম ম্যানেজার অনিল প্যাটেল মনে করেছেন, দোষটা বাংলাদেশ দলের। তাই আইসিসি বাংলাদেশ দলকে শাস্তি দেবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
প্যাটেল বলেন, 'আমরা ঠিক জানি না, কী ঘটেছিল। আমাদের ক্রিকেটাররা হতভম্ব হয়ে পড়েছিল। আমরা বুঝতেই পারিনি মাঠে কী হচ্ছে। আইসিসি শেষ কয়েক মিনিটের ফুটেজ দেখবে। ম্যাচ রেফারি আমার কাছে এসেছিলেন। তিনি ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি নিশ্চিত করেছেন, আইসিসি ব্যাপারটা নিয়ে সিরিয়াস। তারা ফুটেজ দেখে আমাদের বিষয়টি জানাবে বলেছে।'
ঠান্ডা মাথার ক্রিকেটার বলে এরই মধ্যে ক্রিকেট বিশ্বের কাছে নিজেকে পরিচিত করেছেন আকবর আলী। তিনি যেমন ঠান্ডা মাথায় ম্যাচ শেষ করেছেন। তেমনি অধিনায়ক হিসেবে সংবাদ সম্মেলনে কথা কাটাকাটি নিয়ে উড়িয়ে যান শান্তির পতাকা, 'মাঠে যেটাই ঘটুক তা ঠিক হয়নি। ক্রিকেট ভদ্রলোকের খেলা। দলের পক্ষে আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।'
৪২ হাজার রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে সৌদির চাপ-দৈনিক প্রথম আলো

সৌদি সরকার বাংলাদেশের পাসপোর্টধারী ৪২ হাজার রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নিতে চাপ দিচ্ছে। গত কয়েক বছরে অনানুষ্ঠানিকভাবে আলোচনায় তোলার পর সম্প্রতি বাংলাদেশকে একাধিক চিঠি দিয়ে বিষয়টি সমাধান করতে বলেছে সৌদি আরব। বিষয়টি সম্প্রতি আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সম্মেলনের আলোচনাতেও এসেছে। ঢাকায় ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে অনুষ্ঠেয় দুই দেশের যৌথ কমিশনের বৈঠকে সৌদি আরব প্রসঙ্গটি তুলতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে দুই দেশের কূটনৈতিক সূত্রগুলো।
ঢাকা ও রিয়াদের কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, সৌদি আরব মনে করে, বাংলাদেশের পাসপোর্ট ব্যবহার করে এসব রোহিঙ্গা আকাশপথে সে দেশে গেছে। তাই এদের বাংলাদেশকে ফিরিয়ে নিতে হবে। এ নিয়ে গত বছর একাধিকবার বাংলাদেশকে চিঠি দিয়েছে সৌদি আরব। ওই চিঠির জবাবে বাংলাদেশ বিষয়টি আরও বিস্তারিতভাবে জানাতে সৌদি আরবকে অনুরোধ করেছে।
ওবায়দুল কাদের মিথ্যার ফেরিওয়ালা: রিজভী-দৈনিক যুগান্তর

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে মিথ্যার ফেরিওয়ালা বলে আখ্যা দিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সোমবার রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশে রিজভী বলেন, বারবার অসুস্থ হওয়ার পরও আপনি মিথ্যার ফেরিওয়ালাই থেকে যাচ্ছেন। সৃষ্টিকর্তার কথা বিবেচনা করে কিছুটা হলেও সত্য কথা বলার চেষ্টা করুন।
বিএনপির সিটি নির্বাচনের দাবি মামাবাড়ির আবদার- আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এই বক্তব্যের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, আমি ওবায়দুল কাদেরকে বলব– আপনি ভোট কারচুপির এমনই মেকানিজম করেছিলেন যে, নিজেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। আপনার সুস্থতা কামনা করি। কিন্তু জালিয়াতির মেশিন ইভিএম দিয়ে ভোটারদের যেভাবে সরষে ফুল দেখিয়েছেন, সে জন্য আপনাকে নিয়ে ভোটাররা কী ভাবছেন সেটি একটু ভেবে দেখুন।
ভোট ডাকাতি সরকারের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে, এমন দাবি করে বিএনপির এ নেতা বলেন, সিটি নির্বাচনের ফল বাতিল ও পুনর্নির্বাচনের দাবি প্রতিটি মানুষের। ভোট ডাকাতি এখন আপনাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। আপনারা এখন চরম ঘৃণার পাত্রে পরিণত হয়েছেন। জোর করে বিনাভোটে ক্ষমতায় থেকে কীভাবে আপনারা বেহায়ার মতো অবৈধ কর্মকাণ্ডের পক্ষে কথা বলেন?
খালেদা জিযার মুক্তি দাবি করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলায় বিনা অপরাধে দুই বছরের বেশি সময় ধরে কারাবন্দি রাখা হয়েছে। জেলের ভেতরে তাকে হত্যার চেষ্টা চলছে। ৭৫ বছর বয়সী এই নারীকে মুক্তি দিয়ে দ্রুত উন্নত সুচিকিৎসার ব্যবস্থা না করলে আমরা তার জীবনহানির আশঙ্কা করছি
নাগরিকত্ব পেলে বাংলাদেশের অর্ধেক ফাঁকা হয়ে যাবে: ভারতের মন্ত্রী-দৈনিক প্রথম আলো

ভারতের নাগরিকত্বের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলে বাংলাদেশের অর্ধেক মানুষ তাদের দেশ ছেড়ে দেবে। গতকাল রোববার হায়দরাবাদে এক অনুষ্ঠানে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জি কিষান রেড্ডি এমন মন্তব্য করেছেন।
এনডিটিভি অনলাইনের খবরে জানানো হয়, রবিদাসজয়ন্তী উদ্যাপন অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী রেড্ডি বলেন, তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওকে প্রমাণ করতে হবে, কীভাবে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) ১৩০ কোটি ভারতীয় জনগণের বিরুদ্ধে যায়। রেড্ডি আরও বলেন, ‘ভারত সরকার বাংলাদেশিদের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রস্তাব দিলে বাংলাদেশের অর্ধেক শূন্য হয়ে যাবে। নাগরিকত্বের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলে অর্ধেক বাংলাদেশি ভারতে চলে আসবে। সে দায়িত্ব কে নেবে? চন্দ্রশেখর রাও? না রাহুল গান্ধী?’ রেড্ডি বলেন, ভারত সরকার সিএএ পর্যালোচনার জন্য প্রস্তুত। তারা অনুপ্রবেশকারীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার পথ খুঁজছে।
রেড্ডি এও বলেন, পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের নির্দিষ্ট কিছু সম্প্রদায়ের জন্য মানবিক কারণে সিএএর প্রচলন করা হয়েছে। তিনি বলেন, কিছু রাজনৈতিক দল এসব দেশের মুসলিমদের নাগরিকত্ব দেওয়ার দাবি জানিয়েছিল।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমি তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রশেখর রাও ও তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতিকে (টিআরএস) চ্যালেঞ্জ করছি, দেখান যে ভারতের ১৩০ কোটি নাগরিকের মধ্যে একজনও সিএএর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
চীনে করোনায় মৃত ৯০৮, আক্রান্ত ৪০ হাজার-দৈনিক ইত্তেফাক

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে চীনে প্রতিনিয়ত আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়াছেই। দেশটির স্বাস্থ্য কমিশন সোমবার জানিয়েছে, নতুন করে আরও ৯৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৯০৮ জনে। এছাড়া সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ভাইরাসে আরও ৩ হাজার ৬২ জন আক্রান্ত হয়েছে। এতে করে আক্রান্তের সংখ্যা ৪০ হাজার ১৭১ জনে দাঁড়ালো। এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি দল ইতিমধ্যে চীনের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছে। ২০০২-০৩ সালে বিশ্বে আতঙ্ক সৃষ্টি করা সার্স ভাইরাসকেও হার মারনিয়েছে করোনাভাইরাস।
সব ধরনের জুয়া নিষিদ্ধ: হাইকোর্ট-দৈনিক মানবজমিন/ইত্তেফাক
ঢাকার অভিজাত ১৩ ক্লাবসহ সারা দেশে সব ধরনের জুয়া খেলা নিষিদ্ধ বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি দেশের কোথাও জুয়ার উপকরণ পাওয়া গেলে তা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জব্দের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ‘জনস্বার্থে’ সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবীর করা এক রিট আবেদনে চার বছর আগে হাইকোর্টের জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের বেঞ্চ আজ সেমবার এই রায় দেন। রায়ে বলা হয়, যেসব খেলার ফলাফল দক্ষতার বদলে চান্স বা ভাগ্য দিয়ে নির্ধারিত হয়, সেগুলোই জুয়া খেলা। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অভিযাত ক্লাবে ইনডোর গেমের নামে ডাইস ও হাউজি খেলার ‘বেআইনি ব্যবসার আয়োজন’ চ্যালেঞ্জ করে মোহাম্মদ সামিউল হক ও রুকন উদ্দিন মো. ফারুক নামে দুই আইনজীবী ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে হাইকোর্টে এই রিট আবেদন করেন।
এমপি চাইলেন ২০, ব্যাংক বলল ২০০ কোটি-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন

বিশিষ্ট সাংবাদিক ও বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার সম্পাদক নঈম নিজামের একটি মন্তব্য প্রতিবেদন পরিবেশিত হয়েছে ঐ দৈনিকে। তাঁর প্রতিবেদনের অর্থনীতি বিষয়ক একটি অংশ এরকম, কীভাবে সব কিছু শেষ হচ্ছে সেই গল্পই শোনলাম সেদিন আমার অফিসে আসা স্নেহভাজন একজন এমপির কাছে। এমপি বললেন, আঙ্কেল একটি কথা বলতে চাই। বললাম বল। এমপি বললেন, আঙ্কেল আপনি তো জানেন পারিবারিকভাবে আমি ব্যবসা করি। পাঁচ-ছয় বছর আগে এক সরকারি ব্যাংকে গিয়েছিলাম ঋণের জন্য। ব্যাংক চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় ভালোভাবে। অনেক কিছু নিয়ে আলাপ হয়। তিনি আমাকে উৎসাহিত করেন। আমিও খুশি মনে একটি প্রকল্পের জন্য ২০ কোটি টাকা ঋণের প্রস্তাব দিলাম। কাগজপত্র সব ঠিকঠাক। এর পরই সেই ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা এলেন আমার কাছে। বললেন, আপনি ২০ কোটি টাকা নেবেন কেন? বললাম, আমার দরকার ২০ কোটি। এর বেশি দরকার নেই। ব্যাংক কর্মকর্তা বললেন, স্যার পাঠিয়েছেন আমাকে। আপনাকে ২০০ কোটি টাকা ঋণ দিতে বলেছেন। এই টাকা নিয়ে নিন। কথা শুনে ব্যবসায়ী এমপি বিস্মিত, হতবাক হলেন।

তারপর বললেন, আপনারা কেন এত টাকা আমাকে দেবেন? আমার কাগজপত্র মাত্র ২০ কোটি টাকার। জবাবে ব্যাংক কর্মকর্তা বললেন, কাগজপত্র নিয়ে চিন্তা নেই। প্রয়োজনে অন্য নামে নিন। আপনার নামও দরকার নেই। দরকার হলে কাগজপত্র আমরা বানিয়ে নেব। তবে আমাদের একটা প্রস্তাব শুধু শুনতে হবে। ১০ শতাংশ দিয়ে দিতে হবে। হংকং চলে যাবে এই ১০ শতাংশ। আপনার টাকা দেশে রাখবেন না বিদেশে পাঠাবেন তা আপনার বিষয়। এই এমপি থতমত খেয়ে বললেন, আপনার চেয়ারম্যান সাহেবকে গিয়ে বলুন, আমার কোনো টাকার দরকার নেই। ঋণ নিয়ে বিপদ বাড়াতে চাই না। যা আছে তা নিয়ে থাকতে চাই। দরকার হয় সম্পদ বিক্রি করে ব্যবসা করব। সেই এমপি আমাকে আরও বললেন, আঙ্কেল ঋণ আমি নেইনি। আমি বললাম, তুমি নাওনি ঠিক। কিন্তু অনেকে নিয়েছেন। সেই দেনায় এখন সেই ব্যাংকটি সমস্যায় জর্জরিত। এভাবে কাজ-কারবার করে বাকি ব্যাংকগুলোর একই হাল দাঁড়িয়েছে। আর্থিক খাতে ডেকে আনা হয়েছে বিপদ। শুধু হলমার্ক, বিসমিল্লাহ গ্রুপের কথা আমরা জানি। কিন্তু এমন অনেক প্যাডসর্বস্ব গ্রুপ তৈরি হয়েছে গত ১১ বছরে। যারা ব্যাংকের টাকা মেরে চলে গেছে বিদেশে। এদের অনেকের খবরও আমরা জানি না। হঠাৎ হঠাৎ নাম শুনি। সর্বশেষ যেমন শুনেছি একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের এক বড় কর্মকর্তাও ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা নিয়ে কানাডাতে পাড়ি জমিয়েছেন। আর চট্টগ্রামের দুই ভাই ব্যাংকের টাকা নিয়ে বাদশাহী করছেন কানাডাতে। এই চোরেরাই ব্যাংকের সহায়তায় সর্বনাশ ডেকে এনেছে অর্থনীতির। যার সঙ্গে সরাসরি জড়িয়ে রয়েছেন অনেক ব্যাংক মালিক ও পরিচালক।
এবার ভারতের কয়েকটি খবর তুলে ধরছি
‘জাতপাতের চেয়েও ভয়ঙ্কর ধর্মের রাজনীতি’, বিস্ফোরক প্রীতীশ নন্দী-দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা

জাতপাতের রাজনীতির চেয়েও ভয়ঙ্কর ধর্ম নিয়ে রাজনীতি। জাতপাতের রাজনীতির ক্ষতি করার ক্ষমতা কম। কিন্তু ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করোনাভাইরাসের মতো। শক্তিশালী তো বটেই। তার সংক্রমণটা হয় খুব দ্রুত। তা অপ্রতিরোধ্যও। বললেন প্রীতীশ নন্দী। বিশিষ্ট সাংবাদিক ও প্রাক্তন রাজ্যসভা সদস্য। ‘আনন্দবাজার ডিজিটাল’কে দেওয়া এক বিস্ফোরক সাক্ষাৎকারে, শনিবার।জাতপাতের রাজনীতি তো ভারতে নতুন নয়। স্বাধীনতার পর থেকেই শুরু হয়েছে। চলছে, চলবেও। স্পষ্টবাক বলে সুপরিচিত ও ‘নিন্দিত’ (!) প্রীতীশ কিন্তু মনে করেন, তেমন একটা সর্বগ্রাসী ক্ষমতা নেই জাতপাতের রাজনীতির। শুনে খটকা লাগতে পারে। কারণ, শুধুই গোবলয়ে নয়, দেশের প্রায় সর্বত্রই জাতপাতের রাজনীতি করে টিকে থাকতে দেখা যায় রাজনৈতিক দলগুলিকে। ভেলা ভাসাতে হয় ভোট বৈতরণী পেরতে।
রাস্তা আটকে অনির্দিষ্টকাল প্রতিবাদ চলতে পারে না, শাহিন বাগ নিয়ে নোটিস সুপ্রিম কোর্টের-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন/ আনন্দবাজার পত্রিকা

অনির্দিষ্টকালের জন্য রাস্তা আটকে বিক্ষোভ করা যায় না। গত দু’মাস ধরে দিল্লির শাহিন বাগে যে বিক্ষোভ চলছে, তা নিয়ে এ বার এমনই মন্তব্য করল সুপ্রিম কোর্ট। সেই মর্মে কেন্দ্রীয় সরকার এবং দিল্লি পুলিশকে নোটিসও ধরাল শীর্ষ আদালত। আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
শাহিন বাগে বিক্ষোভের জেরে যান চলাচলে সমস্যা হচ্ছে বলে হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন আইনজীবী অমিত সাহনি। গত ১৪ জানুয়ারি তা নিয়ে দিল্লি পুলিশের কোর্টে বল ঠেলে দেয় দিল্লি হাইকোর্ট। বলা হয়, আইন-শৃঙ্খলার কথায় মাথায় রেখে পুলিশকেই যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।তবে শাহিন বাগের প্রতিবাদীদের কথা না শুনে এ নিয়ে চূড়ান্ত রায় শোনাতে রাজি হয়নি সুপ্রিম কোর্ট। তাই আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী শুনানি হবে বলে ঠিক হয়েছে।
তফসিলি জাতি, উপজাতিদের নিগ্রহে আগাম জামিন নয়, জানাল সুপ্রিম কোর্ট-দৈনিক আজকাল

তফসিলি জাতি, উপজাতিদের নিগ্রহে অভিযুক্তরা আগাম জামিন পাবেন না। তদন্ত ছাড়াই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা যাবে। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি অরুণ মিশ্রের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চের অন্য সদস্যরা ছিলেন বিচারপতি বিনীত শর্মা এবং রবীন্দ্র ভাট। তফসিলি জাতি, উপজাতিদের উপর নিগ্রহ দমন আইন ২০১৮–র সংশোধনীতে সাংবিধানিক বৈধতা বহাল রেখে বেঞ্চ এদিনের রায়ে বলেছে, এফআইআর দায়েরের আগে প্রাথমিক তদন্ত এবং শীর্ষ পুলিস অফিসারের অনুমোদন নিষ্প্রয়োজন। যদি প্রাথমিক মামলা দায়ের না করা হয় তাহলেই আদালত অভিযুক্তকে আগাম জামিন দিতে পারবে। বিচারপতি ভাট বলেন, দেশের প্রত্যেক নাগরিকের অন্য নাগরিককে ভ্রাতৃত্বের মানসিকতায় দেখা উচিত
এবার মোদি-শাহদের ‘অস্কার’ দিল কংগ্রেস! কে কোন বিভাগে পুরস্কার পেলেন?-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন
“অ্যান্ড দ্য অস্কার ফর দ্য বেস্ট অ্যাক্টর ইন অ্যাকশন রোল গোজ টু… নরেন্দ্র মোদি।” অবাক হচ্ছেন? ভাবছেন অস্কারের মঞ্চে তো এমন কোনও পুরস্কারের কথা ঘোষণা করা হয়নি। তাছাড়া অস্কারের (Oscars 2020) তালিকায় এই ধরনের কোনও বিভাগও তো নেই। তাহলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কারা অস্কার দিল? উত্তর, কংগ্রেস। সোমবার অস্কারের মঞ্চে যখন গোটা বিশ্ব একাধিক স্মরণীয় মুহূর্তের সাক্ষী থাকল তখন দেশের বৃহত্তম বিরোধী দল কংগ্রেস (Congress) মাতল রসিকতায়। নিজেদের মতো ক্যাটেগরি তৈরি করে বিজেপি নেতাদের অস্কারের তালিকা তৈরি করল সোনিয়ার দল। আর তা পোস্ট করা হল সোশ্যাল মিডিয়ায়।
কংগ্রেসের দেওয়া অস্কারের তালিকাটিও লম্বা। প্রথম অস্কারটি কংগ্রেস দিয়েছে অ্যাকশন চরিত্রে সেরা অভিনয়ের জন্য। এই বিভাগে মনোনীত হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi), উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) এবং ভোপালের সাংসদ সাক্ষী প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর। নিজের দলের দুই অধঃস্তন নেতাকে হারিয়ে এই পুরস্কারটি জিতে নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। সোশ্যাল মিডিয়ায় মোদিকে অস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করে কংগ্রেস লিখছে, “পুরস্কার জিততে হল ৫৬ ইঞ্চির ছাতি থাকতে হয়।”#
পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/১০