বাংলাদেশে করোনার সব সূচকই উর্ধ্বমুখী: সতর্ক থাকার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের
বাংলাদেশে গতবছর মার্চ মাস থেকে করোনা সংক্রমণ শুরুর হয়। এর পর নানান চড়াই উতরাই পেরিয়ে একবছরের মাথায় এসে দেখা যাচ্ছে গত তিন সপ্তাহ ধরে সংক্রমণ আবার বৃদ্ধি পাচ্ছে।
দেশে প্রথম করোনা সনাক্তের পর ২০২০ সালের মে মাসের মাঝামাঝি থেকে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত রোগী শনাক্তের হার চলে যায় ২০ শতাংশের ওপরে। এরপর থেকে নতুন রোগীর পাশাপাশি শনাক্তের হারও কমতে শুরু করেছিল। মাস দুয়েক সংক্রমণ নিম্নমুখী থাকার পর গত নভেম্বরের শুরুর দিক থেকে নতুন রোগী ও শনাক্তের হারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হয়। ডিসেম্বর তা কমতে শুরু করে। আবার ফেব্রুয়ারির শেষ থেকে তা বাড়তে শুরু করেছে।
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, করোনার সব সূচকে হঠাৎই ফের ঊর্ধ্বমুখী। সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন শনাক্ত হয়েছে ৮৪৫ জন,যা গত ১৩ জানুয়ারির পর সর্বোচ্চ। আর একদিনে প্রাণ হারিয়েছেন ১৪ জন যা ২৪ ফেব্রুয়ারির পর একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু।
দেশে করোনা শনাক্তের বছর পার করার দিনে গতকাল রাজধানিতে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, করোনার গতিপ্রকৃতি নিয়ে এখনও নজর রাখতে হবে। তারা এ ব্যাপারে গবেষণা বাড়ানোর তাগিদ দেন এবং সামনে কোভিডের আরেকটি মৃদু ঢেউয়ের ব্যাপারে সতর্ক করে দেন। গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিন জনের দেহে কোভিড ১৯ শনাক্ত হবার পর ক্রমশ তা দেশব্যাপী ছড়িয়ে পরে। এরপর স্বাস্থ্য খাতের নানা সীমাবদ্ধতা,সমালোচনা, দুর্নীত আর নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা পেরিয়ে বাংলাদেশ এখন মহামারি নিয়ন্ত্রণের জন্য টিকার ওপর ভর করছে।
করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে গত ২৭ জানুয়ারি দেশে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।

এদিকে,সাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন,প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দেশেই টিকা উৎপাদনের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দেশেই করোনার টিকা (ভ্যাকসিন) তৈরি করতে হবে।
সোমবার (০৮ মার্চ) আয়োজিত করোনার চ্যালেঞ্জ বিষয়ক এক সেমিনারে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান,আমাদের দেশে ভ্যাকসিন তৈরি করতে যা প্রয়োজন সেই কাজও আমরা শুরু করে দিয়েছি।
তবে টিকা নেয়ার পরও স্বাস্থ্যবিধি মানার তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।#
পার্সটুডে/আবদুর রহমান/গাজী আবদুর রশীদ/৯
- বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।