ইস্তাম্বুল শহরে গণবিক্ষোভ: পশ্চিমাদের মুখে মানবাধিকারের স্লোগান বেমানান
https://parstoday.ir/bn/news/west_asia-i132844-ইস্তাম্বুল_শহরে_গণবিক্ষোভ_পশ্চিমাদের_মুখে_মানবাধিকারের_স্লোগান_বেমানান
গাজায় মুসলমানদের ওপর গণহত্যার বিরুদ্ধে খ্রিষ্টিয় নববর্ষের প্রথম দিনে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে হাজার হাজার তুর্কি জনতা বিক্ষোভ করেছে। ইহুদিবাদী ইসরাইলের অপরাধের বিরুদ্ধে এবং উত্তর ইরাকে ১২ জন তুর্কি সেনা নিহত হবার প্রতিবাদ জানাতে ইস্তাম্বুলের বিক্ষুব্ধ জনগণ ও স্থানীয় কর্মকর্তারা আবারও রাস্তায় নেমে এসেছে।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
জানুয়ারি ০২, ২০২৪ ১৩:৪৭ Asia/Dhaka

গাজায় মুসলমানদের ওপর গণহত্যার বিরুদ্ধে খ্রিষ্টিয় নববর্ষের প্রথম দিনে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে হাজার হাজার তুর্কি জনতা বিক্ষোভ করেছে। ইহুদিবাদী ইসরাইলের অপরাধের বিরুদ্ধে এবং উত্তর ইরাকে ১২ জন তুর্কি সেনা নিহত হবার প্রতিবাদ জানাতে ইস্তাম্বুলের বিক্ষুব্ধ জনগণ ও স্থানীয় কর্মকর্তারা আবারও রাস্তায় নেমে এসেছে।

৩০৮টি বেসরকারী সংস্থার সমবেত উদ্যোগে ওই বিক্ষোভ মিছিলটি গালাতা ব্রিজ থেকে শুরু হয়। তুর্কি প্রতিবাদ-বিক্ষোভ মিছিলকারীরা শহীদদের প্রতি রহমত কামনা করে, ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সমর্থন জানিয়ে এবং ইসরাইলকে অভিশাপ দিয়ে বিচিত্র স্লোগান দেয়।

গাজায় ইসরাইলি গণহত্যার ব্যাপারে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান সরকারের কর্মকর্তাদের আপেক্ষিক নীরবতা সত্ত্বেও গত ৩ মাসে তুরস্কের বিভিন্ন শহরে, বিশেষ করে ইস্তাম্বুলে ইসরাইল বিরোধী বেশ কয়েকটি বড় বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। তুরস্কের মুসলিম জনগণের পাশাপাশি সেদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও ইসরাইলের চলমান অপরাধ এবং পশ্চিমা সরকারগুলোর ঔদ্ধত্যপূর্ণ নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে।

সাবাহ, হুরিত, কারার, ইয়েনি আকিতসহ আরও বহু দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে প্রমাণিত হয় তুরস্কের অনেক গবেষণা কেন্দ্র এ বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছে। তাদের পর্যালোচনায় দেখা যাচ্ছে বেশিরভাগ তুর্কি বিশ্লেষক মনে করছেন: গাজার বর্তমান পরিস্থিতিতে পশ্চিমা দেশগুলো যে দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করছে তাতে তাদের মুখে মানবাধিকারের স্লোগান মানায় না।

গাজা সম্পর্কে পশ্চিমাদের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে বিশিষ্ট বিশ্লেষক আহমাদ তাসগেত্রিন বলেছেন: গাজায় বর্বরোচিত বোমা হামলা অব্যাহত রয়েছে। প্রতিদিনই ধ্বংসস্তূপের সংখ্যা বাড়ছে। প্রতিদিনই ইসরাইলিদের অস্ত্রে শিশুসহ বেসামরিক লোকদের হত্যার ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু ইসরাইলের প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্রদের সমর্থন অব্যাহত রয়েছে। এর মানে হলো, পশ্চিমারা কার্যত গাজায় ইসরাইলি গণহত্যাকে তো সমস্যা মনে করছেই না বরং তারা খুনি ইসরাইলকে সমর্থন করার ক্ষেত্রে একে অপরের সাথে প্রতিযোগিতায় নেমেছে।

গাজার বর্তমান পরিস্থিতিতে বিশ্ববাসীর দৃষ্টি এখন মধ্যপ্রাচ্যের গুরুত্বপূর্ণ মুসলিম দেশগুলোর ওপর। তাদের সমন্বিত পদক্ষেপই ইসরাইলের বর্বর হামলা বন্ধ করতে পারে বলে বিশেষজ্ঞমহল মনে করছেন।#

পার্সটুডে/এনএম/২

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।