জুন ২৮, ২০২৪ ১৬:২৩ Asia/Dhaka
  • আন্তর্জাতিক আদালতের বিরুদ্ধে ইসরাইলের গুপ্তচরবৃত্তি; রাষ্ট্রদূত তলব করল নেদারল্যান্ডস

পার্সটুডে- আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত বা আইসিসির উপর গুপ্তচরবৃত্তির কারণে ইসরাইলি রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে নেদারল্যান্ডসের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

আইসিসি'র বিরুদ্ধে ইসরাইলের গুপ্তচরবৃত্তি; রাষ্ট্রদূত তলব করেছে ডাচ সরকার

আইসিসি বিরোধী বিভিন্ন ধরনের কার্যকলাপ প্রকাশের পর উদ্বিগ্ন হয় ডাচ সরকার। এই আদালতের উপর ইসরাইলি গুপ্তচর সংস্থাগুলোর বিভিন্ন গোপন তৎপরতার বিষয়টি স্পষ্ট হওয়ার পর রাষ্ট্রদূত তলবের সিদ্ধান্ত নেয় নেদারল্যান্ডসের সরকার। পার্সটুডে জানিয়েছে, দেশটির কর্মকর্তারা ইসরাইলের রাষ্ট্রদূত মোদী ইফ্রাইমকে তলব করে এর ব্যাখ্যা চান। তদন্তে উত্থাপিত উদ্বেগগুলো নিয়েও আলোচনা করা হয়। ইসরাইলি গুপ্তচর সংস্থার আচরণ ক্ষুব্ধ হবার মতো বলে মত প্রকাশ করে ডাচ সরকার। দখলদার ইসরাইল আইসিসির চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়কে প্রভাবিত করতে এরিমধ্যে ভয় দেখিয়েছে।

মঙ্গলবার ডাচ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর একজন মুখপাত্র বলেন, ইসরাইলি রাষ্ট্রদূতকে গুপ্তচরবৃত্তি ও হুমকি বিষয়ে অবগত করা হয়। আলোচনায় ইসরাইলের আচরণ নিয়ে নেদারল্যান্ডস উদ্বেগ প্রকাশ করে।

ইসরাইলি অপরাধের জবাবে ৭ অক্টোবর ২০২৩ সালে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলি গাজা উপত্যকা থেকে "আল-আকসা তুফান" অভিযান শুরু করেছিল। সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে ৭ অক্টোবর ২০২৩ থেকে গাজায় ইহুদিবাদী ইসরাইলি সেনাদের নয়া আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর ৩৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছে এবং ৮৫ হাজারের বেশি আহত হয়েছে।

১৯১৭ সালে ব্রিটিশ উপনিবেশবাদের পরিকল্পনায় ইসরাইল গঠনের নীল-নকশা তৈরি হয়। তারপর থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ইহুদিদেরকে ফিলিস্তিনি ভূমিতে অভিবাসনের মাধ্যমে ইসরাইল প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৪৮ সালে ইসরাইলের অস্তিত্ব ঘোষণা করা হয়। তারপর থেকে বংশ নির্মূল করার টার্গেট নিয়ে ইসরাইল ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর বেপরোয়া গণহত্যা চালিয়ে এসেছে। ফিলিস্তিনিদের সমগ্র ভূমি দখলের জন্য ইসরাইল অসংখ্যবার গণহত্যা চালিয়েছে।

জাতিসংঘের তালিকাভুক্ত শিশু অধিকার লঙ্ঘনকারী ইসরাইল

শিশুদের অধিকার লঙ্ঘনকারী পক্ষগুলোর তালিকায় দখলদার ইসরাইলকে যুক্ত করেছে জাতিসংঘ।

জাতিসংঘের শিশু ও সশস্ত্র সংঘাত সংক্রান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৫,৬৯৪টি যাচাইকৃত গুরুতর লঙ্ঘনের জন্য ইসরাইলি সশস্ত্র ও নিরাপত্তা বাহিনীকে দায়ী করা হয়েছে, যার মধ্যে জনবহুল এলাকায় হামলা চালিয়ে শিশুহত্যাও অন্তর্ভুক্ত।

এই বার্ষিক প্রতিবেদনে শিশুদের মধ্যে প্রাণহানির উচ্চ সংখ্যার জন্য জনবহুল এলাকায় ইসরাইলি সামরিক অভিযানকে দায়ী করা হয়।

তবে প্রতিবেদনে বলা হয়, "বিশেষ করে গাজা ভূখণ্ডে প্রবেশের ব্যাপারে প্রচণ্ড সীমাবদ্ধতা থাকায়, এই পরিস্থিতিতে এখানে উপস্থাপিত তথ্যে শিশুদের বিরুদ্ধে সহিংসতার পূর্ণ চিত্র প্রতিফলিত হচ্ছে না।"

গাজায় ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরাইলি হামলায় ১৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি শিশু শহীদ হয়েছে।#

পার্সটুডে/এসএ/২৮

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমদের ফেসবুক পেইজে  লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।