ফিলিস্তিনি শিশুদের জন্য একটি মানবিক বিজ্ঞাপনেরও স্থান নেই বিবিসিতে
(last modified Tue, 10 Sep 2024 06:06:10 GMT )
সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৪ ১২:০৬ Asia/Dhaka
  • ফিলিস্তিনি শিশুদের জন্য একটি মানবিক বিজ্ঞাপনেরও স্থান নেই বিবিসিতে

পার্সটুডে- লন্ডনে ইরানের দূতাবাস, গাজার পরিস্থিতির বিষয়ে পশ্চিমাদের দ্বৈত নীতির সমালোচনা করে বলেছে, গাজার মানবিক সংকট সম্পর্কে "বিবিসি" টিভি চ্যানেলে একটি মানবিক বিজ্ঞাপন দেয়াও নিষিদ্ধ! আর এ বিষয়টি খুবই অমানবিক! 

দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকা একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যে "বিবিসি" টিভি চ্যানেল ইহুদিপন্থী কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়ার ভয়ে গাজার মানবিক সংকট সম্পর্কে একটি মানবিক বিজ্ঞাপন প্রচার করতে অস্বীকার করেছে।

লন্ডনে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের দূতাবাসের অফিসিয়াল পেজও এই খবরের উল্লেখ করেছে এবং লিখেছে: আর কোনো ব্যাখ্যার প্রয়োজন নেই, এটা সম্পূর্ণ পরিষ্কার; এমনকি তারা ফিলিস্তিনি জনগণের সুবিধার জন্য একটি মানবিক বিজ্ঞাপনের অনুমতি দেয় না।

ইহুদিবাদী ইসরাইল ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে পশ্চিমা সরকারগুলোর সর্বাত্মক সহায়তা ও সমর্থন নিয়ে পশ্চিম তীর ও গাজায় মজলুম ও প্রতিরক্ষাহীন ফিলিস্তিনিদের ওপর গণহত্যা অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। এর জবাবে গাজায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন ও লেবানন, ইরাক, ইয়েমেন ও সিরিয়ার প্রতিরোধ আন্দোলনগুলো ইসরাইলের এইসব অপরাধযজ্ঞের প্রতিশোধ নিচ্ছে।

   
 ইসরাইলি বর্বরতায় এ পর্যন্ত গাজায় প্রায় ৪১ হাজার ফিলিস্তিনি শহীদ ও ‌ এক লাখেরও বেশি আহত হয়েছে যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। 

ইসরাইলের অস্তিত্ব গড়ে ওঠে ১৯১৭ সালে উপনিবেশবাদী ব্রিটেনের ব্যালফোর নামক ঘোষণার আলোকে এবং বিশ্বের নানা অঞ্চল থেকে ইহুদিদেরকে ফিলিস্তিনে অভিবাসন করতে উৎসাহ যুগিয়ে। ১৯৪৮ সালে ইহুদিবাদী ইসরাইল তার আনুষ্ঠানিক অস্তিত্ব ঘোষণা করে। সেই থেকে ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে গণহত্যার এবং গোটা ফিলিস্তিনের ভূখণ্ডগুলোকে দখলে নেয়ার  নানা ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। 

বিশ্বের কয়েকটি দেশ ইসলামী জনশাসনতান্ত্রিক ইরানের দাবির সঙ্গে সুর মিলিয়ে ইসরাইলি উপনিবেশবাদী শাসন বিলুপ্ত করার ও ইহুদিদেরকে তাদের নিজ নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার জোরালো দাবি জানাচ্ছে।#

পার্সটুডে/এমএএইচ/১০

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

 

ট্যাগ