নেতানিয়াহু কিভাবে নিজেকে সবচেয়ে দুর্বল অবস্থানে ফেলে দিয়েছেন
https://parstoday.ir/bn/news/west_asia-i146152-নেতানিয়াহু_কিভাবে_নিজেকে_সবচেয়ে_দুর্বল_অবস্থানে_ফেলে_দিয়েছেন
পার্সটুডে: ইহুদিবাদী ইসরাইল বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সম্ভাব্য সবচেয়ে দুর্বল অবস্থানে আছেন এবং তিনি এমন একটি চুক্তি সম্পর্কে জনমতকে বোঝানোর চেষ্টা করছেন যার সম্পর্কে নিজেরও আস্থা নেই।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
জানুয়ারি ২০, ২০২৫ ১৭:৫৬ Asia/Dhaka
  • নেতানিয়াহু কিভাবে নিজেকে সবচেয়ে দুর্বল অবস্থানে ফেলে দিয়েছেন

পার্সটুডে: ইহুদিবাদী ইসরাইল বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সম্ভাব্য সবচেয়ে দুর্বল অবস্থানে আছেন এবং তিনি এমন একটি চুক্তি সম্পর্কে জনমতকে বোঝানোর চেষ্টা করছেন যার সম্পর্কে নিজেরও আস্থা নেই।

ইসরাইলি ইস্যুতে বিশেষজ্ঞ এবং বিশ্লেষকরা বিশ্বাস করেন যে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতি এবং বন্দি বিনিময়ের ইতিবাচক পদ্ধতি সম্পর্কে ইহুদিবাদী জনমতকে বোঝানোর চেষ্টা করছেন যদিও তিনি নিজেও এতে বিশ্বাস করেন বলে মনে হয় না। পার্সটুডে অনুসারে, ইসরাইল বিষয়ের সাংবাদিক এবং বিশ্লেষক তামের আল-মিশাল বলেছেন যে চুক্তি বাস্তবায়নের দুই দিন আগে স্থলভাগে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে ব্যর্থ হয়ে ইসরাইলি সরকার প্রতিরোধকামীদেরকে বন্দি বিনিময়ের প্রথম পর্যায়ে বাধা দিয়েছে।

তিনি স্পষ্ট করে বলেন যে বন্দি বিনিময়ের প্রথম পর্যায়ে ৩৩ জন ইহুদিবাদীর মুক্তি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে যার মধ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বেসামরিক মহিলা, সামরিক মহিলা এবং পুরুষদের পাশাপাশি মৃতদের দেহও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। প্রতিটি মহিলা ইহুদিবাদী বন্দির জন্য ৩০ জন ফিলিস্তিনি মহিলা বন্দিকে মুক্তি দিতে হবে এবং প্রতিটি মহিলা সামরিক বন্দি জন্য ৩০ জন ফিলিস্তিনি মহিলা বন্দি এবং উচ্চ সাজাপ্রাপ্ত ২০ জন বন্দিকে মুক্তি দিতে হবে।

আল-মিশাল বলেছেন যে প্রতিরোধকামীরা মৃত বন্দিদের মৃতদেহ বিনিময়ের ধারণার বিরোধিতা করেছে এবং  ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর আটক সকল নারী ও শিশুদের মুক্তির বিনিময়ে ইহুদিবাদী বন্দিদের মৃতদেহ হস্তান্তর করবে। ইহুদিবাদী বিষয়ে বিশেষজ্ঞ মোহানেদ মুস্তাফা বিশ্বাস করেন যে রাজনীতির জগতে প্রবেশের পর থেকে নেতানিয়াহু বর্তমানে সবচেয়ে দুর্বল এবং নাজুক অবস্থায় রয়েছেন।

মুস্তাফা আরও বলেন: নেতানিয়াহু তার বক্তৃতায় খুবই দুর্বল বলে মনে হয়েছিল। তিনি ইহুদিবাদী জনমতকে এমন একটি চুক্তি মেনে নিতে রাজি করানোর চেষ্টা করছিলেন যা সকলেই জানেন যে তিনি নিজেও তা গ্রহণ করেন না বা বিশ্বাস করেন না। প্রকৃতপক্ষে ভিতর ও বাইরের চাপের কারণে তিনি তা মেনে নিতে বাধ্য হয়েছেন।

আরেক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ সাঈদ জিয়াদ বিশ্বাস করেন যে নেতানিয়াহু গাজায় যুদ্ধের সমাপ্তি ঘোষণা করতে পারবেন না। কারণ এটি করলে তিনি আদালতের মুখোমুখি হবেন। দীর্ঘ পনেরো মাস ধরে ইসরাইলের ধারাবাহিক অপরাধযজ্ঞ ও গণহত্যার পর রোববার থেকে ইসরাইলি সরকার এবং হামাস আন্দোলনের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়েছে। এটি এমন একটি চুক্তি যেটিকে ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠীর নেতারা প্রতিরোধ বাহিনীর বিরুদ্ধে বড় ধরনের পরাজয় হিসেবে বর্ণনা করেছেন।#

পার্সটুডে/এমবিএ/২০

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।