মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার মিথ্যা অপবাদ চুরমার করে দিয়েছে ইয়েমেনের প্রতিরোধকামীরা
(last modified Tue, 08 Apr 2025 12:12:42 GMT )
এপ্রিল ০৮, ২০২৫ ১৮:১২ Asia/Dhaka
  •  মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার মিথ্যা অপবাদ চুরমার করে দিয়েছে ইয়েমেনের প্রতিরোধকামীরা

ইয়েমেনি প্রতিরোধকামীদের অস্ত্র অবকাঠামো এবং সামরিক সক্ষমতার একটি বড় অংশ ধ্বংস করার বিষয়ে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজের দাবি সত্ত্বেও ইয়েমেনি বাহিনীর যুদ্ধ ক্ষমতা এখনও রয়ে গেছে।

শীতের শেষ দিনগুলোতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র দেশ ইয়েমেনের উপর নতুন করে আক্রমণ চালানোর জন্য একটি আনুষ্ঠানিক আদেশ জারি করেন। আট বছর ধরে যুদ্ধ চালিয়েও ইয়েমেনি ফ্রন্টে নিজেদের সকল দাবি পূরণ করতে না পেরে সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত দরিদ্র দেশটির ওপর "অর্থনৈতিক চাপ" প্রয়োগ করার নীতি গ্রহণ করে। এই কৌশলের জবাবে আনসারুল্লাহ নেতা হুমকি দিয়েছিলেন যে যদি আরব দেশগুলো ইয়েমেনের ব্যাংকিং ব্যবস্থা এবং আর্থিক কাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু করতে চায় তাহলে দেশটি প্রতিশোধ নেবে।

ইয়েমেনে 'আগুন' নিয়ে খেলা

মেহের নিউজ এজেন্সির বরাত দিয়ে পার্সটুডে জানিয়েছে, ইয়েমেনে আক্রমণের নির্দেশ জারি করার পর, মার্কিন সামরিক বাহিনী ইয়েমেনে সামরিক, মানবিক এবং কৌশলগত লক্ষ্যবস্তুর একটি তালিকা প্রকাশ করেছে যা দেশটির যুদ্ধযন্ত্রের আওতার মধ্যে রয়েছে। ইয়েমেনির যেসব প্রধান শহর আমেরিকান যুদ্ধযন্ত্রের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছিল, তার মধ্যে জাওফ, আমরান, হোদেইদা, সাদা এবং সানা অন্যতম। অন্যদিকে, ইয়েমেনিরা আবারও দখলকৃত অঞ্চলগুলোকে লক্ষ্য করে এবং ইহুদিবাদী জাহাজগুলোর যাতায়াত বাধাগ্রস্ত করতে লোহিত সাগরে এখনো হামলা চালিয়ে আসছে এবং মার্কিন বিমানবাহী জাহাজ হ্যারি ট্রুম্যানকে বারবার টার্গেট করতে সক্ষম হয়েছে।

কখনও কখনও "মধ্যপ্রাচ্য প্রথম" নীতি হিসাবে উল্লেখ করা হয়

 ২০২৪ সালের মার্কিন নির্বাচনী প্রচারণার সময় ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার প্রথম মেয়াদের মতো "আমেরিকা ফার্স্ট" বা "গ্রেট আমেরিকা" প্রকল্পের মতো স্লোগানের উপর মনোযোগ দিয়ে আমেরিকান ভোটারদের মতামত প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছিলেন। বিশেষ করে শ্বেতাঙ্গ মধ্যবিত্ত ভোটারদের কাছে টানতে আকর্ষনীয় জাতিয়তাবাদী নীতির ব্যাপক প্রচার চালিয়েছিলেন। অবৈধ অভিবাসীদের বিতাড়নের নীতি অনুসরণ করা,সব ধরনের যুদ্ধ বন্ধ করা এবং যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা, মেক্সিকো সীমান্ত কঠোর করা, গ্রিনল্যান্ডকে দখল করে নেয়া এবং শুল্ক যুদ্ধের পরিধি ইউরোপ পর্যন্ত বাড়ানো - এই সবই নতুন মার্কিন প্রশাসনের এক ধরণের বিচ্ছিন্নতাবাদী পররাষ্ট্র নীতিকে প্রতিফলিত করে যার লক্ষ্য হচ্ছে দেশটির অর্থনৈতিক শক্তি বৃদ্ধি করা এবং চীন ইস্যুতে মনোনিবেশ করা।  আজ, আরোপিত "ইসরায়েল ফার্স্ট" নীতির জন্য ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে আমেরিকান জাহাজ, যুদ্ধবিমান এবং সৈন্য মোতায়েন করা হয়েছে!#

পার্সটুডে/বাবুল আখতার/৮

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।