ইসরায়েলি মন্ত্রিসভার অনুমতিতে ফিলিস্তিনিদের উপর পদ্ধতিগত নির্যাতন চলছে: জাতিসংঘ
-
• ইসরায়েলি মন্ত্রিসভার অনুমতিতে ফিলিস্তিনিদের উপর নির্যাতন
পার্সটুডে- জাতিসংঘের নির্যাতন বিষয়ক কমিটি অভূতপূর্ব প্রমাণ প্রকাশ করে বলেছে যে ইসরায়েল পরিকল্পিত উপায়ে এবং রাষ্ট্রীয় নীতি অনুসরণ করে ফিলিস্তিনিদের উপর নির্যাতন চালাচ্ছে।
জাতিসংঘের নির্যাতন বিষয়ক কমিটি এক মর্মান্তিক প্রতিবেদনে নিশ্চিত করেছে যে ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে "সংগঠিত এবং ব্যাপক নির্যাতন চালানোর জন্য রাষ্ট্রীয় নীতি" অনুসরণ করছে। গত দুই বছরের ঘটনাবলীর পর্যালোচনার ভিত্তিতে তৈরি এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুদ্ধাপরাধে দায়ী ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীকে বিচার থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
পার্সটুডে জানিয়েছে, এই আন্তর্জাতিক নথি অনুসারে, "ইসরায়েলি আটক কেন্দ্রগুলিতে ফিলিস্তিনিদের নিয়মিত নির্যাতন করা হয়, যার মধ্যে রয়েছে ব্যাপক মারধর, প্রশিক্ষিত কুকুর দিয়ে আক্রমণ, বৈদ্যুতিক শক, পানিতে চুবানো এবং যৌন সহিংসতা।" প্রতিবেদনে বলা হয়েছে আটক ব্যক্তিদেরকে খুবই "অপমানজনক কাজ করতে" বাধ্য করা হয় এবং ইচ্ছাকৃতভাবে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা থেকেও বঞ্চিত করা হয়।
১০ জন স্বাধীন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞের একটি কমিটি সতর্ক করে দিয়েছে যে ইসরায়েল আইনগত অধিকার নেই এমন ব্যক্তিদের দিয়ে হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে বিচার ছাড়াই আটকে রাখছে যাদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে। ইসরায়েলি সংস্থা বি'তসেলেমের পরিসংখ্যানে আরও দেখায় যে ৩,০০০ এরও বেশি ফিলিস্তিনি বন্দীকে কোনও নির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়াই আটক রাখা হয়েছে।
১২ বছর বয়সী শিশুদের আটক রাখার কথা উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এটা জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদের চরম লঙ্ঘন। এতে আরো বলা হয়েছে, আটককৃত শিশুদের নির্জন কারাগারে রাখা হয় এবং তাদের পরিবারের সাথে যোগাযোগ এবং শিক্ষার সুযোগ থেকেও বঞ্চিত করা হয়।
জাতিসংঘের নির্যাতন বিষয়ক কমিটির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে গাজা যুদ্ধের সময় ইসরায়েলি আটক কেন্দ্রগুলিতে ৭৫ জন ফিলিস্তিনি মারা গেছেন, যদিও এই মৃত্যুর জন্য কোনও কর্মকর্তাকে জবাবদিহি করা হয়নি।
জাতিসংঘের নির্যাতন বিষয়ক কমিটি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে "ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলি নীতির পুরো কাঠামোকে পদ্ধতিগত নির্যাতন হিসাবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে।" আন্তর্জাতিক প্রতিবেদনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এই অপরাধ বন্ধে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।#
পার্সটুডে/এমআরএইচ/১
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।