পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুতি; ‌ইহুদিবাদী দখলদারদের নতুন নীতি
https://parstoday.ir/bn/news/west_asia-i155354-পশ্চিম_তীরে_ফিলিস্তিনিদের_বাস্তুচ্যুতি_ইহুদিবাদী_দখলদারদের_নতুন_নীতি
পার্সটুডে: ফিলিস্তিনের কৌশলগত ও সামরিক বিশ্লেষক নিদাল আবু জায়েদ বলেছেন, পশ্চিম তীরে নির্বিচার হত্যাকাণ্ড ও জোরপূর্বক উৎখাতের ধারাবাহিক ঢেউ- দখলদার শক্তির নীতিতে পরিবর্তন এবং জনসংখ্যাগত কাঠামো পুনর্গঠনের কৌশলগত পরিকল্পনার ইঙ্গিত বহন করে।
(last modified 2025-12-22T10:29:59+00:00 )
ডিসেম্বর ২২, ২০২৫ ১৬:২৬ Asia/Dhaka
  • ইসরায়েলি সৈন্য
    ইসরায়েলি সৈন্য

পার্সটুডে: ফিলিস্তিনের কৌশলগত ও সামরিক বিশ্লেষক নিদাল আবু জায়েদ বলেছেন, পশ্চিম তীরে নির্বিচার হত্যাকাণ্ড ও জোরপূর্বক উৎখাতের ধারাবাহিক ঢেউ- দখলদার শক্তির নীতিতে পরিবর্তন এবং জনসংখ্যাগত কাঠামো পুনর্গঠনের কৌশলগত পরিকল্পনার ইঙ্গিত বহন করে।

তিনি বলেন, মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত এক মাসে পশ্চিম তীরের উত্তরাঞ্চলের শরণার্থী শিবিরগুলো থেকে প্রায় ৩৫ হাজার ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন; যা গত এক বছরে দখলদারদের নীতিতে মৌলিক পরিবর্তনের প্রমাণ বহন করে।

পার্সটুডে জানিয়েছে, এই ফিলিস্তিনি বিশ্লেষক আরও বলেন, দখলদার বাহিনী আগের বছরগুলোতে অবৈধ বসতি স্থাপনের মাধ্যমে পশ্চিম তীরের ভৌগোলিক মানচিত্র পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করে এবং পরবর্তীতে এসব বসতি ব্যাপকভাবে বৈধতা দেওয়া ও বসতি নির্মাণে বাজেট বৃদ্ধির পর্যায়ে পৌঁছায়।

আবু জায়েদ জোর দিয়ে বলেন, বর্তমানে দখলদাররা কৌশলগত সড়ক নির্মাণের মাধ্যমে পশ্চিম তীরকে চারটি ভৌগোলিক অংশে বিভক্ত করার চেষ্টা করছে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো জর্ডান সীমান্ত বরাবর বিস্তৃত ৯০ নম্বর সড়ক এবং ৬০ নম্বর সড়ক, যা পশ্চিম তীরের উত্তর ও দক্ষিণকে আলাদা করে। একইভাবে ১ নম্বর সড়ক পূর্ব পশ্চিম তীরকে জেরুজালেম হয়ে অতিক্রম করে পশ্চিম দিকে তেল আবিবের সঙ্গে সংযুক্ত করে বিচ্ছিন্ন করে দেয়।

তিনি বলেন, এই সড়ক নেটওয়ার্ক ফিলিস্তিনিদের চলাচলের ওপর দখলদারদের নিয়ন্ত্রণ আরও জোরদার করছে এবং পশ্চিম তীরকে একে অপরের থেকে বিচ্ছিন্ন আবাসিক দ্বীপে পরিণত করছে। এর লক্ষ্য হলো হত্যা, সহিংসতা ও পরিকল্পিত বিধিনিষেধের মতো উপকরণ ব্যবহার করে নতুন ভৌগোলিক বাস্তবতা চাপিয়ে দেওয়া এবং জনসংখ্যার বণ্টন পুনর্নির্ধারণ করা।

এই ফিলিস্তিনি বিশেষজ্ঞ সতর্ক করে বলেন, বর্তমান পর্যায়ে সবচেয়ে বিপজ্জনক বিষয় হলো সেই সব অঞ্চলের ওপর ক্রমবর্ধমান চাপ, যেখানে জর্ডানিয়ান পাসপোর্টধারী ফিলিস্তিনিরা বসবাস করেন; এই চাপের উদ্দেশ্য তাদের সীমান্তবর্তী এলাকায় ঠেলে দেওয়া।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজকের পরিস্থিতি ১৯৪৮ ও ১৯৬৭ সালে ফিলিস্তিনিরা যে ধরনের প্রচলিত বাস্তুচ্যুতির মুখোমুখি হয়েছিল- তার মতো নয়; বরং এটি এক ধরনের নীরব জোরপূর্বক উৎখাত, যা কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা বা ব্যাপক সামরিক অভিযানের ছাড়াই পরিচালিত হচ্ছে এবং ধীরে ধীরে ক্ষয়মূলক নীতির মাধ্যমে এসব অঞ্চলের বাসিন্দাদের জর্ডানের দিকে ঠেলে দেওয়ার ওপর কেন্দ্রীভূত।#

পার্সটুডে/এমএআর/২২