হুথিদের ড্রোন হামলা; কেমন ক্ষতি হয়েছে আরামকোর?
(last modified Mon, 16 Sep 2019 08:07:32 GMT )
সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৯ ১৪:০৭ Asia/Dhaka
  • ড্রোম হামলার ক্ষয়ক্ষতির চিত্র উঠে এসেছে মার্কিন স্যাটেলাইটের তোলা ছবিতে
    ড্রোম হামলার ক্ষয়ক্ষতির চিত্র উঠে এসেছে মার্কিন স্যাটেলাইটের তোলা ছবিতে

ইয়েমেনের হুথি আন্দোলন সমর্থিত সেনাবাহিনীর ড্রোন হামলায় সৌদি আরবের আরামকো তেল স্থাপনার যে মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে তাতে দেশটির তেল উত্তোলন আবার কবে স্বাভাবিক হবে তা নিশ্চিত নয়। সৌদি আরবের একটি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

গত শনিবার হুথিদের ড্রোন হামলায় আরামকোর আবকাইক ও খুরাইশ স্থাপনা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এর ফলে দেশটির তেল ও গ্যাস উৎপাদন শতকরা ৫০ ভাগ কমে গেছে। বিভিন্ন সূত্রে জানা যাচ্ছ- সৌদি আরবের তেল উৎপাদন প্রতিদিন ৫৭ লাখ ব্যারেল কম উত্তোলন করা হচ্ছে।

ড্রোম হামলার ক্ষয়ক্ষতির চিত্র উঠে এসেছে মার্কিন স্যাটেলাইটের তোলা ছবিতে

সৌদি আরবের তেল শিল্পের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র এ ঘটনা সম্পর্কে গতকাল (রোববার) বলেছেন তেলের উৎপাদন আবার কবে স্বাভাবিক হবে তা পরিষ্কার নয়। ওই সূত্র বলেছেন, ড্রোন হামলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তাড়াতাড়ি তা ঠিক করা যাবে না।

আরামকোর পক্ষ থেকেও নতুন করে তেল উৎপাদনের বিষয়টি নিয়ে কোনো সময়সীমা ঘোষণা করা হয় নি। আরামকোর একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, ক্ষয়ক্ষতি ঠিক করতে কয়েক দিন নয় বরং কয়েক সপ্তাহ লেগে যাবে। তবে অন্য একটি সূত্র বলেছে, সৌদি আরবের যে তেলের তহবিল রয়েছে সেখান থেকে তেল রপ্তানি চলতি সপ্তাহ থেকেই স্বাভাবিক করা সম্ভব।

ড্রোন হামলার পর ব্যাপাকভাবে আগুন ধরে যায় আরমকো তেল স্থাপনায়

মার্কিন স্যাটেলাইট থেকে তোলা ছবিতে দেখা গেছে, হুথিদের ড্রোন আরামকোর তেল স্থাপনার মোট ১৯ জায়গায় নিখুঁতভাবে হামলা চালিয়েছে। হুথিরা সুস্পষ্ট বিবৃতি দিয়ে শনিবারের এ হামলার দায় স্বীকার করেছে কিন্তু আমেরিকা ও সৌদি আরবের অনেক কর্মকর্তা ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানকে হামলার জন্য দায়ী করছেন। অবশ্য, ইরান এ অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে।#

পার্সটুডে/এসআইবি/১৬

ট্যাগ