সাবরা ও শাতিলায় ৫,০০০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে ইহুদিবাদী ইসরাইল
(last modified Sat, 19 Sep 2020 00:17:46 GMT )
সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২০ ০৬:১৭ Asia/Dhaka
  • সাবরা ও শাতিলায় এভাবে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের হত্যা করেছে মানবতার শত্রু ইসরাইল
    সাবরা ও শাতিলায় এভাবে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের হত্যা করেছে মানবতার শত্রু ইসরাইল

ইরান বলেছে, কথিত ‘ডিল অব দ্যা সেঞ্চুরি’সহ যেসব পরিকল্পনায় ফিলিস্তিনি জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে উপেক্ষা করা হবে তার কোনোটিই সফল হবে না। লেবাননের ‘সাবরা’ ও ‘শাতিলা’ শরণার্থী শিবিরে ইহুদিবাদী ইসরাইলের চালানো ভয়াবহ গণহত্যার বার্ষিকীতে শুক্রবার ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ মন্তব্য করেছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক টুইটার বার্তায় বলা হয়েছে, “সাবরা ও শাতিলা গণত্যা ছিল নাকাবা দিবসের পরিণতি এবং এখন যে ডিল অব দ্যা সেঞ্চুরির কথা বলা হচ্ছে সেটি হচ্ছে দ্বিতীয় নাকাবা দিবস। এ পরিকল্পনায় গোটা অধিকৃত ভূখণ্ডকে বৈধভাবে ইসরাইলের কাছে হস্তান্তরের ষড়যন্ত্র আঁটা হয়েছে।”

১৯৮২ সালের ১৬ থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত লেবাননের দুই শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি সেনাদের পাশবিক গণহত্যা অভিযানে কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছিলেন।

সাবরা ও শাতিলা গণহত্যার মূল হোতা শ্যারন ২০১৪ সালে নরকে নিক্ষিপ্ত হয়েছে

সাবেক ইহুদিবাদী প্রধানমন্ত্রী অ্যারিয়েল শ্যারন ওই সময় ইসরাইলের ভারপ্রাপ্ত যুদ্ধমন্ত্রী ও লেবাননে মোতায়েন ইহুদিবাদী বাহিনীর কমান্ডার ছিল এবং সে সাবরা ও শাতিলা গণহত্যার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের দায়িত্ব পালন করে। সে সময় ওই দুই শরণার্থী শিবিরে প্রায় ২০ হাজার অধিবাসী ছিল যাদের মধ্যে সাড়ে তিন থেকে পাঁচ হাজার মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় যাদের মধ্যে অসংখ্য নারী, শিশু ও বৃদ্ধ ছিল।

১৯৪৮ সালের ১৪ মে ফিলিস্তিনের লাখ লাখ মানুষকে তাদের ঘরবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করে অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের গোড়াপত্তন করা হয়। দিনটিকে ফিলিস্তিনিরা নাকাবা বা বিপর্যয় দিবস হিসেবে পালন করেন।#

পার্সটুডে/এমএমআই/১৯

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

 

ট্যাগ