আলে-খলিফা শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বাহরাইনিদের সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে: শেখ ঈসা কাসেম
(last modified Sun, 14 Feb 2021 13:54:51 GMT )
ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২১ ১৯:৫৪ Asia/Dhaka
  • শেখ ঈসা কাসেমের ছবি নিয়ে বাহরাইনিদের সরকার-বিরোধী গণ-বিক্ষোভ
    শেখ ঈসা কাসেমের ছবি নিয়ে বাহরাইনিদের সরকার-বিরোধী গণ-বিক্ষোভ

বাহরাইনের ১৪ ফেব্রুয়ারির গণ-অভ্যুত্থানের দশম-বার্ষিকী উপলক্ষে দেশটির পরিস্থিতি  সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রেখেছেন সেখানকার বর্ষীয়ান আধ্যাত্মিক জন-নেতা আয়াতুল্লাহ শেখ ঈসা কাসেম। 

বাহরাইনের স্বৈরতান্ত্রিক রাজ-সরকারের বিরুদ্ধে দেশটির জনগণের গণ-অভ্যুত্থান শুরু হয়েছিল ২০১১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি। একই ধরনের গণ-অভ্যুত্থানে সে সময় তিউনিসিয়ায় বেন আলি সরকার ও মিশরে হোসনি মোবারক সরকারের পতন ঘটেছিল। কিন্তু দুঃখজনকভাবে বাহরাইনের সঙ্গে সৌদি-সীমান্ত থাকায় সৌদি সরকার সেনা পাঠিয়ে বাহরাইনের গণ-অভ্যুত্থান দমন করে এবং সৌদি সরকার আরব বিপ্লবগুলোর পথে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়ায়।

আয়াতুল্লাহ শেখ ঈসা কাসেম গতরাতে দেয়া এক ভাষণে বলেছেন, রাজতান্ত্রিক আলে-খলিফা সরকার ও তার শাসন-প্রণালী বাহরাইনের সভ্রান্ত জাতির জন্য উপযুক্ত নয়।

আলে খলিফা বা খলিফা নামক গোষ্ঠী দুই শতক আগে আরব উপদ্বীপ থেকে বাহরাইনে এসে এই দেশটির ক্ষমতা দখল করেছিল। বাহরাইনের বেশিরভাগ জনগণ এই বংশের শাসনের বিরোধী। ব্রিটিশ উপনিবেশবাদীদের সহায়তায় তারা বাহরাইনের ক্ষমতা দখল করে। এই শাসকগোষ্ঠী বাহরাইনের জনসংখ্যার কাঠামোতেও জোর করে পরিবর্তন আনছে। 

আয়াতুল্লাহ শেখ ঈসা কাসেম তার দেশের প্রতিবাদী জনগণের ওপর সরকারের চরম সহিংসতা, নির্যাতন ও এসব কাজে বিদেশী সেনা ব্যবহারের নিন্দা জানিয়েছেন। বাহরাইনের জনগণ একনায়কতান্ত্রিক ও স্বৈরশাসন এবং বৈষম্যের অবসান দাবি করে আসছে। তারা দেশটির ক্ষমতায় জনগণের প্রকৃত অংশগ্রহণসহ ঘরোয়া ও বিদেশ-নীতিতে স্বাধীন সিদ্ধান্ত নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছে।

শেখ ঈসা কাসেম বলেছেন, চরম সহিংসতা, নির্যাতন ও বিদেশী উৎপীড়ক বাহিনীর সহায়তা নিয়ে বাহরাইনের জনগণের প্রতিবাদী কণ্ঠ স্তব্ধ করা যাবে না। অন্য কথায় বাহরাইনের জনগণের বৈধ দাবি-দাওয়া পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আলে খলিফা সরকারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে। 

শেখ ঈসা কাসেম ইহুদিবাদী ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চুক্তি করায় আলে খলিফা শাসকগোষ্ঠীর নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, এটি দেশের জন্য অপমানজনক এবং বাহরাইনকে নতজানু করার জন্যই তা করা হয়েছে। বাহরাইনের জনগণ ইসলামের পবিত্র ভূমির দখলদার ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠাকে তাদের ইসলামী পরিচিতি ও মানবীয় সম্মানের পরিপন্থী বলে মনে করেন। এটা স্পষ্ট বাহরাইনের জনগণের দৃষ্টিতে আলে-খলিফা অবৈধ শাসক-গোষ্ঠী ও জনগণের কাছে এ সরকারের গ্রহণযোগ্যতা নেই।

উল্লেখ্য বাহরাইনের জনসংখ্যায় প্রায় ৭৫ শতাংশ শিয়া মুসলমান এবং তাদেরকে নানা অধিকার থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে মুসলিম নামধারী আলে খলিফার সরকার। #

পার্সটুডে/এমএএইচ/১৪ 

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ