রাষ্ট্রদূতেরা জাতিসংঘে প্রতিনিধিত্ব করতে পারবে না: আফগানিস্তান ও মিয়ানমারের প্রতিক্রিয়া
আফগানিস্তান ও মিয়ানমারের নতুন রাষ্ট্রদূতেরা আপাতত জাতিসংঘে প্রতিনিধিত্ব করতে পারছেন না। এই দুই দেশের হয়ে কে প্রতিনিধিত্ব করবেন এমন সিদ্ধান্ত নিতে বুধবার বৈঠকে বসেছিল জাতিসংঘের এ সংক্রান্ত কমিটি। সেই বৈঠক থেকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ সিদ্ধান্তের পর মিয়ানমারের সামরিক সরকার এবং আফগানিস্তানের তালেবান কর্তৃপক্ষ জাতিসংঘে তাদের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের আসন অস্বীকার করার জন্য এ সংস্থার নিন্দা করেছে। মিয়ানমার সামরিক সরকারের মুখপাত্র জাও মিন তুন বলেছেন, ‘আমরা কূটনৈতিক পদ্ধতি এবং আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় আইন অনুসারে প্রতিনিধিত্বের অধিকারের দাবি জানিয়ে যাব।’
এদিকে এ ব্যাপারে এক প্রতিক্রিয়ায় আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তী তালেবান সরকার ঘোষণা করেছে, জাতিসংঘের সদস্যপদ আফগান জনগণের বৈধ অধিকার এবং তা কাবুলকে দিতে হবে। জাতিসংঘের এ সংক্রান্ত কমিটি বুধবার আফগানিস্তানের বিশেষ প্রতিনিধি সুহাইল শাহিনকে মেনে নেয়ার সিদ্ধান্ত স্থগিত করার পর প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তালেবান সরকারের উপ মুখপাত্র আনামুল্লাহ সামানগানি এ আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আফগানিস্তানকে জাতিসংঘের সদস্যপদ না দেয়ার সিদ্ধান্ত বেআইনি ও অন্যায় কারণ, এর মাধ্যমে একটি দেশকে তার অধিকার থেকে বঞ্চিত রাখা হচ্ছে। অচিরেই আফগান জনগণের অধিকার তাদেরকে ফিরিয়ে দেয়া হবে বলে আশা প্রকাশ করেন সামানগানি।
চলতি বছর নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে আফগানিস্তানে ক্ষমতায় বসে তালেবান ও মিয়ানমারে ক্ষমতায় বসে সামরিক কর্তৃপক্ষ। এরপর এই দুই সরকারের পক্ষ থেকে নতুন প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হয় এবং আগের সরকারের প্রতিনিধির নিয়োগ বাতিল করা হয়। জাতিসংঘ নতুন প্রতিনিধিদের স্বীকৃতি দিলে তালেবান ও মিয়ানমারের সামরিক সরকার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে এক ধাপ এগিয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জাতিসংঘ সে অনুমতি দেয়নি। যদিও ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তালেবান ও মিয়ানমারের সামরিক সরকার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
জাতিসংঘে এ সংক্রান্ত যাচাই বাছাই কমিটির সদস্যদেশের সংখ্যা ৯। এর মধ্যে রাশিয়া, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রও রয়েছে। বর্তমানে এই কমিটির নেতৃত্ব দিচ্ছে সুইডেন।
পার্সটুডে/রেজওয়ান হোসেন/৩
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।