ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যেই পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র হামলার অনুশীলন করলো রাশিয়া
রাশিয়ার সামরিক বাহিনী দেশের পশ্চিমাঞ্চলে বাল্টিক সাগরের কাছে পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র হামলার অনুশীলন করেছে। এই অনুশীলনের মধ্যদিয়ে মস্কো পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি বিশেষ বার্তা পাঠিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইউক্রেন যুদ্ধে পশ্চিমা দেশগুলো জোরালোভাবে কিয়েভ সরকারকে সমর্থন দিচ্ছে। পরমাণু সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্রের মহড়ার মধ্যদিয়ে রাশিয়া পশ্চিমা দেশগুলোকে যুদ্ধের সম্ভাব্য বিস্তৃতি সম্পর্কে সতর্কতা সঙ্কেত দিতে চেয়েছে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।
গতকাল (বুধবার) রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পোল্যান্ড ও লিথুয়ানিয়ার মধ্যবর্তী কালিনিনগ্রাদ অঞ্চলে রাশিয়া ইলেকট্রনিক লঞ্চারের সাহায্যে পরমাণু ক্ষমতাসম্পন্ন ইস্কান্দার ক্ষেপণাস্ত্রের মহড়া চালিয়েছে। রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, কল্পিত শত্রুর বিরুদ্ধে রাশিয়ার সেনারা একক এবং বহুমুখী হামলা চালায়। এসব হামলা চালানো হয় শত্রুর ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চার, বিমানঘাঁটি, সুরক্ষিত অবকাঠামো, সামরিক সরঞ্জাম এবং কমান্ড পোস্ট লক্ষ্য করে।
শত্রুর বিরুদ্ধে হামলা চালানোর অনুশীলন শেষে দ্রুতই রাশিয়ার সেনারা তাদের অবস্থান পরিবর্তনের মহড়া চালায় যাত শত্রুর সম্ভাব্য পাল্টা হামলা এড়ানো সম্ভব হয়। এসময় পরমাণু হামলার ক্ষেত্রে সম্ভাব্য তেজস্ক্রিয়তা এবং রাসায়নিক দূষণ থেকে নিজেদের সুরক্ষার বিষয়টিও অনুশীলন করা হয়। গতকালের এই মহড়ায় একশ’র বেশি সেনা সদস্য যুক্ত ছিল।
পর্যবেক্ষকদের মতে, গত বেশ কিছুদিন ধরে রাশিয়া রাষ্ট্র পরিচালিত টেলিভিশন চ্যানেল পরমাণু হামলার বিষয়টিকে জনগণের কাছে অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য করে তোলার জন্য নানামুখী চেষ্টা চালাচ্ছে। রাশিয়ার পত্রিকার সম্পাদক এবং শান্তিতে নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত দিমিত্রি মুরাতভ বলেন, “গত দুই সপ্তাহ ধরে আমরা আমাদের টেলিভিশনের পর্দা থেকে শুনছি যে, পরমাণু অস্ত্রভাণ্ডারের মুখ খুলে দেয়া হতে পারে।”
পার্সটুডে/এসআইবি/৫