বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ সাবমেরিন রুশ বাহিনীর হাতে
‘কে-৩২৯ এ যুক্ত করা যাবে পজিডন পরমাণু টর্পেডো’
বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ সাবমেরিন ‘কে-৩২৯ বেলগোরোদ’কে আনুষ্ঠানিকভাবে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গতকাল (শুক্রবার) সেভারোদভিনস্কের সেভমাশ শিপইয়ার্ডে এই হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
রাশিয়ার নৌবাহিনীর কমান্ডার অ্যাডমিরাল নিকোলাই ইয়েভমেনভ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানকে এই গবেষণা সাবমেরিন হস্তান্তরের জন্য ধন্যবাদ জানান। যদিও এটি গবেষণা সাবমেরিন তবে এতে ছয়টি পরমাণু শক্তিচালিত পজিডন টর্পেডো বহন করা যাবে। এখনো ক্ষেপণাস্ত্রটির প্রয়োজনীয় উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলছে।
অ্যাডমিরাল ইয়েভমেনভ বলেন, “বেলগোরোদ সাবমেরিন রাশিয়ার জন্য নানা রকমের গবেষণার সুযোগ তৈরি করবে। সমুদ্রের সবচেয়ে দুর্গম এলাকায়ও নানারকম বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও উদ্ধার তৎপরতা চালানোর সুযোগ পাবে রুশ সেনারা।”
পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে রাশিয়ার এই সাবমেরিন উল্লেখযোগ্য সংস্কারসহ অস্কার টু-ক্লাস বলে পরিচিত। এই সাবমেরিনের লম্বা মাস্তুল থাকার কারণে সুমদ্রে ব্যবহারযোগ্য ড্রোন বহন করা যাবে। এছাড়া, গভীর সমুদ্রে উদ্ধারকাজের জন্য প্রয়োজনীয় যান ও ছোট আকারের সাবমেরিন বহন করা সম্ভব হবে।
রাশিয়া যদিও এই সাবমেরিনের বৈজ্ঞানিক গবেষণার বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে উল্লেখ করছে কিন্তু পশ্চিমা দেশগুলো পরমাণু শক্তিচালিত পজিডন টর্পেডো বহনের সক্ষমতার ওপর সতর্কভাবে নজর রাখছে। মার্কিন সামরিক বাহিনী এই সাবমেরিনকে ‘ডুমস ডে সাবমেরিন’ বলে আখ্যা দিয়েছে। প্রতিরক্ষা বিষয়ক ওয়ার জোন ব্লগ এই সাবমেরিনকে রাশিয়ার সবচেয়ে ভয়ঙ্কর অস্ত্র হিসেবে বিবেচনা করছে।#
পার্সটুডে/এসআইবি/৯