আগস্ট ০৮, ২০২২ ১৭:৫০ Asia/Dhaka

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন চীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেছেন, গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক ইস্যুতে আলোচনায় অচলাবস্থা তৈরি করা উচিত নয়।

ম্যানিলায় তার ফিলিপাইনি সমকক্ষের সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি ওই অভিযোগ তোলেন। বেইজিংয়ের সাম্প্রতিক পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় ব্লিঙ্কেন আরও বলেন: আমাদের মধ্যে মতপার্থক্যের কারণে বিশ্বব্যাপী উদ্বেগ সৃষ্টিকারী বিষয়ে আমাদের সহযোগিতার দ্বার রুদ্ধ করে রাখা উচিত নয়। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেন: আমরা উত্তেজনা নিরসন করতে চাই। উত্তেজনা নিরসনে সংলাপ একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় হতে পারে।

চীনের সঙ্গে সাম্প্রতিক নজিরবিহীন টানাপোড়েন বৃদ্ধির প্রতি ইঙ্গিত করে ব্লিঙ্কেন ওই মন্তব্য করেন। আমেরিকার প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি সম্প্রতি চীনের প্রবল বিরোধিতা উপেক্ষা করে তাইওয়ান দ্বীপ সফরে গেছেন। চীন তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করে। চীনের এই দাবির পক্ষে জাতিসংঘেরও অনুমোদন রয়েছে। সুতরাং চীন কিছুতেই পেলাসির তাইওয়ান সফরকে মেনে নিতে পারে নি। তারই প্রতিক্রিয়ায় চীন পেলোসি এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। তার পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু ক্ষেত্রে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। আমেরিকার সঙ্গে চীনের সম্পর্ক এখন সর্বনিম্ন স্তরে এসে দাঁড়িয়েছে। গত বৃহস্পতিবার চীন তাইওয়ানের আশেপাশে ব্যাপক সামরিক মহড়া শুরু করেছে। সামরিক ইস্যু, আন্তর্জাতিক অপরাধ ও মাদকের বিরুদ্ধে লড়াই এবং জলবায়ু সংকট মোকাবেলাসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে সহযোগিতা ছিন্ন করেছে। চীন আগেই পেলোসির তাইওয়ান সফরকে আগুন নিয়ে খেলা বলে মন্তব্য করেছে এবং এর অপ্রত্যাশিত পরিণতি সম্পর্কেও সতর্ক করেছে।

বিশ্বের বহু দেশও পেলোসির তাইওয়ান সফরকে অপ্রয়োজনীয় উত্তেজনা সৃষ্টিকারী পদক্ষেপ বলে মন্তব্য করেছে। কিন্তু আমেরিকা এক চীন নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় পরিস্থিতি জটিল রূপ নিয়েছে।

আমেরিকা ইউরোপকে সঙ্গে নিয়ে যেভাবে চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে তাতে মনে হচ্ছে চীনও নিজ স্বার্থ বিরোধী মার্কিন নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে যাবে।#

পার্সটুডে/এনএম/৮

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন। 

 

ট্যাগ