সৌদি আরবই ওপেক প্লাসকে তেলের উৎপাদন কমাতে বাধ্য করেছে: হোয়াইট হাউস
https://parstoday.ir/bn/news/world-i114514
হোয়াইট হাউস বলেছে, সৌদি আরবই ওপেক প্লাসভুক্ত দেশগুলোকে তেলের উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছে। হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি সাংবাদিকদের একথা বলেন।
(last modified 2025-07-09T12:00:31+00:00 )
অক্টোবর ১৫, ২০২২ ১২:৩৯ Asia/Dhaka
  • জন কিরবি
    জন কিরবি

হোয়াইট হাউস বলেছে, সৌদি আরবই ওপেক প্লাসভুক্ত দেশগুলোকে তেলের উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছে। হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি সাংবাদিকদের একথা বলেন।

তিনি বলেন, একটির বেশি সদস্য রাষ্ট্র তেলের উৎপাদন কমানোর ব্যাপারে সৌদি আরবের সঙ্গে দ্বিমত করেছিল কিন্তু তারা শেষ পর্যন্ত সৌদি চাপের কাছে নতিস্বীকার করে।

হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র আরো বলেন, কোনে কোন দেশ এই তেল উৎপাদন কমানোর পক্ষে ছিল আমেরিকা তা খুঁজে বের করতে যাচ্ছে না। এর আগে কিরবি বলেছেন, একটি বিশ্লেষণ থেকে দেখা যায় আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমে যাওয়ার কথা বলে তেল উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও সেরকম কিছু ঘটেনি। অর্থাৎ বাজারে তেলের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে না কমলেও সৌদি আরব তেলের উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

তেলের উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্তকে রাজনৈতিক বলে আমেরিকা মন্তব্য করলেও সৌদি আরব দাবি করছে তারা তেলকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে না এবং এ সিদ্ধান্ত মোটেই রাজনৈতিক ছিল না বরং সম্পূর্ণভাবে অর্থনৈতিক বিবেচনায় তেলের উৎপাদন কমানো হয়েছে। কিন্তু জন কিরবি পরিষ্কারভাবে বলেছেন, সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যতই এ ধরনের দাবি করুক না কেন বাস্তবতা হচ্ছে তেলের উৎপাদন কমিয়ে রাশিয়ার তেল বিক্রির আয় বাড়ানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে যাতে মস্কো-বিরোধী নিষেধাজ্ঞা ব্যর্থ হয়। 

গত সপ্তাহে ওপেক প্লাস প্রতিদিন ২০ লাখ ব্যারেল তেল কম উৎপাদনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে আমেরিকা প্রচণ্ডভাবে ক্ষুব্ধ হয়েছে এবং সৌদি আরবকে কঠোর পরিণতি ভোগের হুঁশিয়ারি দিয়েছে।#

পার্সটুডে/এসআইবি/১৫