আফ্রিকার তিন দেশের সামরিক শাসকদের মধ্যে নিরাপত্তা চুক্তি স্বাক্ষর
https://parstoday.ir/bn/news/world-i128188
আফ্রিকার তিন দেশের সামরিক শাসকরা পরস্পরকে পৃষ্ঠপোষকতা দিতে একটি নিরাপত্তা চুক্তিতে সই করেছেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এসব দেশের পশ্চিমা-মদদপুষ্ট সরকারগুলোকে উৎখাত করে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করেছে।
(last modified 2025-07-09T12:00:31+00:00 )
সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৩ ১১:২২ Asia/Dhaka
  • আফ্রিকার তিন দেশের সামরিক শাসকদের মধ্যে নিরাপত্তা চুক্তি স্বাক্ষর

আফ্রিকার তিন দেশের সামরিক শাসকরা পরস্পরকে পৃষ্ঠপোষকতা দিতে একটি নিরাপত্তা চুক্তিতে সই করেছেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এসব দেশের পশ্চিমা-মদদপুষ্ট সরকারগুলোকে উৎখাত করে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করেছে।

নাইজার, মালি ও বুর্কিনা ফাসোর সামরিক শাসকদের মধ্যে শনিবার স্বাক্ষরিত চুক্তিতে বলা হয়েছে, এই তিন দেশের যেকোনো একটি যদি বহিঃশক্তির আক্রমণের শিকার হয় কিংবা অভ্যন্তরীণভাবে সার্বভৌমত্বের হুমকির মুখে পড়ে তাহলে বাকি দুই দেশ একক বা সম্মিলিতভাবে ওই দেশের সাহায্যে এগিয়ে আসবে।

মালির অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেসিডেন্ট আসিমি গোইতা এ সম্পর্কে বলেন, চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী এক বা একাধিক দেশের সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতার বিরুদ্ধে হামলাকে বাকি দেশগুলোর ওপরও আগ্রাসন হিসেবে ধরে নেয়া হবে।

এর আগে আফ্রিকার ফ্রান্স-সমর্থিত পাঁচ দেশকে নিয়ে গঠিত ‘জি৫ সাহেল চুক্তি’র অন্তর্গত ছিল বর্তমানে সামরিক শাসনে থাকা তিন দেশ। ওই চুক্তির বাকি দুই সদস্যদেশ ছিল চাদ ও মৌরিতানিয়া।  তিন দেশের স্বাক্ষরিত চুক্তির নাম দেয়া হয়েছে ‘সাহেল নিরাপত্তা চুক্তি।’

শনিবারের চুক্তি স্বাক্ষরে আগে মালি ও বুর্কিনাফাসো ঘোষণা করেছিল, নাইজারের বিরুদ্ধে যেকোনো হামলাকে এই তিন দেশের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধ ঘোষণা’ বলে গণ্য করা হবে। গত ২৬ জুলাই নাইজারের ফ্রান্স-পন্থি প্রেসিডেন্ট মোহাম্মাদ বাজুমকে ক্ষমতাচ্যুত করে সেনাবাহিনী ক্ষমতা গ্রহণ করার পর প্রতিবেশী দেশগুলোর জোট ইকোওয়াস দেশটিতে হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছিল। ওই হুমকির জবাবে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছিল মালি ও বুর্কিনা ফাসো।#

পার্সটুডে/এমএমআই/১৭

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।