জর্দানকে সঙ্গে নিয়ে অচিরেই ত্রাণ কার্যক্রম চালাবে ফ্রান্স
গাজা উপত্যকায় স্থায়ীভাবে হামলা বন্ধ করুন: নেতানিয়াহুকে ম্যাকরন
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের চলমান গণহত্যার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে মতবিরোধ ক্রমেই তীব্রতর হচ্ছে। ইসরাইলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক আমেরিকা যখন গাজায় যুদ্ধবিরতি মানতে নারাজ তখন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরন এ যাবতকালের মধ্যে সবচেয়ে কঠোর অবস্থান ঘোষণা করে বলেছেন, গাজায় ‘স্থায়ী যুদ্ধবিরতি’ প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
তিনি গতকাল (বুধবার) ইসরাইলের যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে টেলিফোন করে তার প্রতি এ আহ্বান জানান। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের দপ্তর ওই টেলিফোনালাপের খবর প্রচার করেছে। ফোনালাপে ম্যাকরন নেতানিয়াহুকে অবিলম্বে গাজায় হামলা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, “ফ্রান্স আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই জর্দানের সহযোগিতায় গাজা উপত্যকায় মানবিক ত্রাণ তৎরপতা শুরু করতে যাচ্ছে।” দৃশ্যত তিনি তার আগেই গাজায় হামলা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন যাতে ত্রাণ তৎপরতায় কোনো বিঘ্ন সৃষ্টি না হয়।
নেতানিয়াহুর মিত্র হিসেবে পরিচিত ম্যাকরন গত ৭ অক্টোবর গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত একাধিকবার গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের হতাহতের ব্যাপারে ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছেন। তবে ম্যাকরনের সেসব কথাবার্তার প্রতি নেতানিয়াহু একদমই ভ্রুক্ষেপ না করার পর ফরাসি প্রেসিডেন্ট এবার কড়া ভাষায় তেল আবিবকে সতর্ক করে দিলেন।
গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি আগ্রাসনে এ পর্যন্ত ২১ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন যাদের বেশিরভাগ নারী ও শিশু। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলছেন, তিনি হামাসকে ‘নির্মূল’ করে তাদের হাতে আটক ইসরাইলি বন্দিদের জীবিত উদ্ধার না করা পর্যন্ত থামবেন না। তার এ অবস্থানের প্রতি ওয়াশিংটন পূর্ণ সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে।
তবে পশ্চিমা দেশগুলোই এই অবস্থানের বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করেছে। এর আগে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো গাজার বেসামরিক নাগরিকদের ক্ষয়ক্ষতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে সেখানে যুদ্ধ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন। জাতিসংঘ এবং এর সবগুলো অঙ্গ সংগঠন গাজায় অবিলম্বে গণহত্যা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে আসছে।#
পার্সটুডে/এমএমআই/জিএআর/ ২৮