জানুয়ারি ২০, ২০২৪ ১৪:৫০ Asia/Dhaka
  • পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী (বামে) ও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
    পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী (বামে) ও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান এবং পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জলিল আব্বাস জিলানি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যৌথভাবে লড়াইসহ নানা ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেছেন। গতকাল (শুক্রবার) দুই মন্ত্রী ফোনালাপে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করেন।

ফোনালাপে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রতিবেশী পাকিস্তানের সঙ্গে ভ্রাতৃপ্রতিম সম্পর্ক রাখার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেয় ইরান। তিনি বলেন, এর আগে দুই দেশের সরকার নিরাপত্তা ও সামরিক সহযোগিতার বিষয়ে যে সমঝোতায় পৌঁছেছে সেগুলো আন্তরিকভাবে অনুসরণ করাই হবে যৌক্তিক।

আমির আব্দুল্লাহিয়ান আরো বলেন, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের বর্বর গণহত্যার মধ্যে মুসলিম দেশগুলোর ভেতরে ঐক্য প্রতিষ্ঠা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি জরুরি বলে মনে করছে ইরান। পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতার প্রতি ইরানের সম্মান রয়েছে- একথা জানিয়ে আমির আব্দুল্লাহিয়ান বলেন, পাকিস্তানের ভেতরে সন্ত্রাসীদের ঘাঁটি ধ্বংস করা খুবই জরুরি। সম্প্রতি পাকিস্তানের ভেতরে ইরান যে হামলা চালিয়েছে সে কথা উল্লেখ করে আমির আব্দু্ল্লাহিয়ান বলেন, আসন্ন সন্ত্রাসী হামলার ঝুঁকি নস্যাৎ করার জন্য দ্রুতগতিতে এই অভিযান চালানো হয়েছে। ইরানের গোয়েন্দা তথ্য অনুসারে ৫০ জনের বেশি সন্ত্রাসী একযোগে পাকিস্তানের ভেতরে বসে ইরান-বিরোধী সন্ত্রাসী হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। ইরানি নিরাপত্তা বাহিনী তাদের ঘাঁটি থেকে যেকোন সন্ত্রাসী হামলা মোকাবেলা করবে এবং সন্ত্রাসীদেরকে কোনভাবেই হামলা চালাতে দেবে না।

ফোনালাপে পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জলিল আব্বাস জিলানিও দুদেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বলেন, পাকিস্তানের সরকার ও জনগণ ইরানের প্রতি বিশেষ শ্রদ্ধা পোষণ করে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে সম্পর্ক বাড়াতে আগ্রহী।

তিনি বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে আমরা দুই মুসলিম প্রতিবেশী দেশ সম্পর্ক রক্ষা করে চলেছি এবং ইরান-পাকিস্তান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক অব্যাহত রাখার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী লড়াই নিয়ে একই রকমের দৃষ্টিভঙ্গি।”

তিনি আরো বলেন, “ইসলামাবাদ সব সময় ইরানের সাথে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ এবং গঠনমূলক সম্পর্ক রক্ষার ওপর জোর দেয়। তেহরান-ইসলামাবাদ দুপক্ষের জন্যই সন্ত্রাসবাদ হচ্ছে অভিন্ন শত্রু এবং দুই দেশের সম্পর্ক রক্ষার ক্ষেত্রে কোনমতেই শত্রুদেরকে উত্তেজনা সৃষ্টির সুযোগ দেয়া হবে না। সহযোগিতা এবং ভ্রাতৃত্ব হচ্ছে আমাদের কাজের ভিত্তি।”

ফোনালাপে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ইসলামাবাদ সফরের আমন্ত্রণ জানান পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী।#

পার্সটুডে/এসআইবি/২০

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

 

ট্যাগ