আন্তর্জাতিক আদালতে পৃথক মামলার শুনানি শুরু
১৯৬৭ সালে অধিকৃত ভূখণ্ডে ইসরাইলি কর্তৃত্বের অবসান দাবি
আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালত বা আইসিজে’তে ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে ইসরাইলের হাতে দখলীকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের ভবিষ্যত নির্ধারণ সংক্রান্ত শুনানি শুরু হয়েছে।
গতকাল (সোমবার) শুরু হওয়া এ শুনানি এক সপ্তাহ ধরে চলবে এবং এতে বিশ্বের ৫২টি দেশ সাক্ষ্য দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
যেসব দেশের প্রতিনিধিরা হেগের এই আন্তর্জাতিক আদালতে সাক্ষ্য দেবেন সেসব দেশের মধ্যে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চীন। জর্দান নদীর পশ্চিম তীর, গাজা উপত্যকা ও পূর্ব জেরুজালেম আল-কুদসের ওপর ইসরাইলি দখলদারিত্বের আইনি বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা মামলার প্রথম দিনে সোমবার বেশ কয়েকটি দেশের বক্তব্য গ্রহণ করা হয়।
শুনানিতে ফিলিস্তিনের প্রতিনিধিত্ব করছেন স্বশাসন কর্তৃপক্ষের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ আল-মালিকি ও জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত রিয়াদ মনসুরসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষাবিদ ও আইন বিশেষজ্ঞ।
প্রথম দিনের শুনানিতে ফিলিস্তিনের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন ফিলিস্তিনি প্রতিনিধি দলের আইনজীবী পল রিচলার। তিনি ১৯৬৭ সালে দখল-করা ভূখণ্ডের ওপর ইসরাইলি আধিপত্যের অবসান দাবি করেন এবং গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের দখলদারিত্বের আইনি পরিণতি সম্পর্কে যুক্তি উপস্থাপন করেন। ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরাইলের বৈষম্যমূলক আচরণ বর্ণবাদের সমতুল্য বলে ঘোষণা দিতে আইসিজের প্রতি আহ্বান জানান পল রিচলার।
আইসিজে’র যেকোনো মতামত বাস্তবায়ন বাধ্যতামূলক না হলেও ৭ অক্টোবর গাজার ওপর ভয়াবহ গণহত্যা শুরুর পরিপ্রেক্ষিতে ইসরাইলের উপর আন্তর্জাতিক আইনি চাপ বৃদ্ধির লক্ষ্যে নতুন করে এ শুনানির আহ্বান জানানো হয়। এই শুনানি গাজায় গণহত্যার অভিযোগে ইসরাইলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার আনা মামলাটি থেকে আলাদা।
১৯৬৭ সালের যুদ্ধে ইসরাইল এসব ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের পাশাপাশি সিরিয়ার গোলান মালভূমিও দখল করে নিয়েছিল। জাতিসংঘ গোলান মালভূমির ওপর ইসরাইলি দখলদারিত্বকে অবৈধ ঘোষণা করলেও নেতানিয়াহু সরকার ওই মালভূমিকে স্থায়ীভাবে ইসরাইলের অংশ বলে ঘোষণা করেছে। #
পার্সটুডে/এমএমআই/২০
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।