কেন দোয়া করা উচিত?/একটি চ্যালেঞ্জিং পৃথিবীতে একমাত্র খোদার সাথে যোগাযোগ
পার্সটুডে: "দোয়া" হল এক প্রকার উপাসনা, বিনয় এবং দাসত্ব। মানুষ দোয়ার মাধ্যমে খোদার সঙ্গে নতুন মনোযোগ খুঁজে পায় এবং সকল ইবাদাতের যেমন শিক্ষণীয় বিষয় রয়েছে, তেমনি দোয়ারও এক ধরনের প্রভাব রয়েছে।
আল্লাহ পবিত্র কুরআনের সূরা আল-বাকারার ১৮৬ নম্বর আয়াতে বলেছেন: আর হে নবী! আমার বান্দা যদি তোমার কাছে আমার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে, তাহলে তাদেরকে বলে দাও, আমি তাদের কাছেই আছি। যে আমাকে ডাকে আমি তার ডাক শুনি এবং জবাব দেই! কাজেই তাদেরও উচিত আমার আহবানে সাড়া দেয়া এবং আমার ওপর ঈমান আনা! একথা তুমি তাদের শুনিয়ে দাও, হয়তো সত্য-সরল পথের সন্ধান পাবে!
এই আয়াতে মনোযোগ দেওয়ার মতো বেশ কিছু বিষয় রয়েছে:
যেহেতু বান্দা এবং আল্লাহর মধ্যে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হল দোয়া এবং প্রার্থনা করা, তাই এই আয়াতে আল্লাহ নবীর দিকে ফিরে বলেন: যখন আমার বান্দারা আপনাকে আমার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে, বলুন-আমি তাদের খুব কাছেই আছি"।
তারপর তিনি বলেন: প্রার্থনাকারীরা যখন আমাকে ডাকে আমি তখন তাদের প্রার্থনার জবাব দিই।
অতএব, আমার বান্দাদের উচিত আমার দাওয়াত গ্রহণ করা "
"এবং আমার ওপর ঈমান আনা" হতে পারে তারা পথ খুঁজে পাবে এবং গন্তব্যে পৌঁছাবে"
মজার ব্যাপার হলো এই আয়াতে, আল্লাহ তাঁর বান্দাদের কাছে সাতবার নিজ অস্তিত্বের সারাৎসার উল্লেখ করেছেন! এই পরম সংযোগ, ঘনিষ্ঠতা এবং যোগাযোগের মাধ্যমে তিনি তার বান্দাদের প্রতি তার ভালবাসা মূর্ত প্রকাশ ঘটিয়েছেন!
দোয়া হ'ল এক ধরণের আত্ম-সচেতনতা এবং অন্তরাত্মার জাগরণ। সমস্ত কল্যাণ ও নেকির উৎসের সাথে একটি অভ্যন্তরীণ সংযোগ।
দোয়া হলো এক ধরনের ইবাদত, বিনয় এবং দাসত্ব। মানুষ এর মাধ্যমে আল্লাহর সত্ত্বার প্রতি মনোযোগ আকর্ষণের রজ্জু খুঁজে পায়। সকল ইবাদাতের যেমন শিক্ষণীয় বিষয় রয়েছে, তেমনি দোয়ারও এক ধরনের প্রভাব রয়েছে।
শিয়া মাজহাবের বারো জন নির্দোষ ইমামের একজন ইমাম সাদিক (আঃ) যিনি ছিলেন ইসলামের নবী বংশের একজন, তিনি বলেছেন: আল্লাহর কাছে এমন কিছু অবস্থান বা উচ্চ মর্যাদা রয়েছে যেখানে দোয়া ছাড়া কেউ পৌঁছাতে পারে না"!
একজন বিজ্ঞানী বলেছেন: যখন আমরা প্রার্থনা করি, তখন আমরা নিজেদেরকে সেই অক্ষয় অসীম শক্তির সাথে সংযুক্ত করি যা সমগ্র মহাবিশ্বকে একত্রিত করে।"
অবশেষে জেনে রাখা উচিত:
দোয়া যে কোনো জায়গায় এবং যে কোন সময় উপকারী। কেননা আল্লাহ বলেছেন: আমি নিকটে আছি।
আল্লাহ আমাদের কাছাকাছি, কিন্তু আমরা? যদি কখনও আমাদের ওপর তার রাগ হয়, তখন আমরা পাপে লিপ্ত হয়ে পড়ার কারণে আল্লাহর সঙ্গে আমাদের দূরত্ব সৃষ্টি হয়।
এই আয়াত অনুসারে আল্লাহর জবাব, তাঁর সাড়া স্থায়ী।
যদিও আল্লাহ সবকিছুই জানেন, তবুও আমাদের দোয়া করা কর্তব্য।
দোয়া তখনই কবুল হবে যখন এক আল্লাহর ওপর ঈমানসহ দোয়া করা হবে।
দোয়া হলো আপন বিকাশ, নির্দেশনা, প্রশিক্ষিত হওয়া এবং প্রশান্তির মাধ্যম।#
পার্সটুডে/এনএম/১২
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।