ইরান পূর্ব ও পশ্চিমের অগ্রগতির জন্য একটি অনুকরণীয় মডেল: রাশিয়ার ইরান বিশেষজ্ঞ
মিসেস লুডমিলা আভেদিওভা, একজন রাশিয়ান ইরান বিশেষজ্ঞ, কবি এবং লেখক। তিনি বিশ্বাস করেন যে সমসাময়িক ইরান অগ্রগতির জন্য এমন এক পথ অতিক্রম করেছে যার জন্য প্রয়োজন কয়েক শতাব্দীর।
কিন্তু ইসলামি বিপ্লবের পর ইরান মাত্র কয়েক দশকে এই পর্যায়ে উন্নতি করতে সক্ষম হয়েছে। সে কারণে ইরান প্রাচ্যসহ পশ্চিমা বিশ্বের জন্য একটি মডেল বা অনুকরণীয় দেশে পরিণত হয়েছে।
মিসেস লুডমিলা আভেদিওভা, যিনি একজন কবি এবং ইসলামি বিপ্লব, ইমাম খোমেনী (রহ.) এবং বর্তমান সর্বোচ্চ নেতা খামেনেয়ী সম্পর্কে আটটি বইয়ের লেখক। তিনি মস্কোতে ইরানের সংবাদ সংস্থা ইরনাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন।
এই রুশ নরী লেখক, যিনি ইরানের ইসলামি বিপ্লবের বিজয়ের বছরগুলোতে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের একজন কূটনীতিকের স্ত্রী হিসাবে তেহরানে থাকতেন, তিনি বিশ্বাস করেন যে ইরান আধ্যাত্মিক সংস্কৃতির দিক থেকে শ্রেষ্ঠতম একটি দেশ।
তিনি এক সময় তেহরানে রাশিয়ান ভাষা শেখানোর কাজ করতেন। তিনি বলেছেন: আমি একদিকে ইরান-ইরাক যুদ্ধের ঘটনাবলী প্রত্যক্ষ করেছি অন্যদিকে বিপ্লবের আগে এবং পরে উভয় সময়টাতে ইরানে দীর্ঘকাল কাজ করেছি। তাই, আমি বলতে পারি যে ইরান সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে, যা মহান নেতাদের নেতৃত্ব এবং ইরানের পরিশ্রমী জনগণের অর্জন।
রাশিয়ান এই কবি ও লেখক আরো বলেছেন,
ইরানের প্রাচীন সংস্কৃতিতে বিখ্যাত সব কবিতা, স্থাপত্য এবং শিল্পের বিশাল ভাণ্ডার রয়েছে। এই মূল্যবান সম্পদের খুবই কমই বিশ্বের দেশগুলোর কাছে পৌঁছেছে।
বর্তমান বিশ্ব-ব্যবস্থায় বৈষম্যমূলক কাঠামোর বিরুদ্ধে ইরান ও রাশিয়ার অভিন্ন অবস্থার কথা উল্লেখ করে এই রুশ নরী লেখক বলেন: বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের অবশ্যই ইরান ও রাশিয়ার মধ্যকার সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ঠ করা উচিত। কেননা আরো বহু দিক দিয়ে এই দুই দেশ অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে।
রাশিয়ার এই ইরান বিশেষজ্ঞ আরো বলেছেন: ইরান এবং রাশিয়ার মধ্যে সাংস্কৃতিক এবং আধ্যাত্মিক মেলবন্ধন রয়েছে। দুই দেশের জনগণই অত্যন্ত পরিশ্রমী এবং তাদের দেশকে সর্বোচ্চ স্তরে উন্নীত করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।#
পার্সটুডে/রেজওয়ান হোসেন/৫
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।