আয়রন ডোমের অকার্যকরতার ব্যাপারে আমেরিকার উদ্বেগ
পার্সটুডে- মার্কিন সূত্রগুলো বলছে, লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার মোকাবিলায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘আয়রন ডোম’ অকার্যকর হয়ে যেতে পারে বলে ওয়াশিংটন উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে।
তিনজন মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সিএনএন জানিয়েছে, ওয়াশিংটনের কোনো কোনো কর্মকর্তা সত্যিকার অর্থেই এই ভেবে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন যে, লেবানন ও ইসরাইলের মধ্যে ব্যাপকভিত্তিক যুদ্ধ বেধে গেলে হিজবুল্লাহ উত্তর ইসরাইলে মোতায়েন করা আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাগুলি বিশেষ করে আয়রন ডোমকে অকার্যকর করে দিতে পারে। পার্সটুডেনের রিপোর্ট অনুসারে, ইহুদিবাদী ইসরাইলি কর্মকর্তারাও এ ব্যাপারে উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন; কারণ, আয়রন ডোমের ব্যাটারিগুলো হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের বিশাল ভাণ্ডারের আওতার মধ্যে রয়েছে।
লেবাননের হিজবুল্লাহ মহাসচিব সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ বুধবার এক ভাষণে বলেছেন, ইহুদিবাদী ইসরাইলের অজেয় থাকার কাল্পনিক দূর্গ তাসের ঘরের মতো ধসে পড়েছে। তিনি বলেন, হিজবুল্লাহ এখন পর্যন্ত তার বিশাল সক্ষমতার ক্ষুদ্র একটি অংশ ব্যবহার করেছে মাত্র এবং তার হাতে এমন কিছু চমক রয়েছে যা যুদ্ধের ময়দানে প্রদর্শন করা হবে।
হিজবুল্লাহ সাম্প্রতিক সময়ে ইসরাইলের আয়রন ডোমের ব্যাটারিগুলো লক্ষ্য করে বেশ কয়েকবার সফল হামলা চালিয়েছে।
এদিকে হিজবুল্লাহ গত মঙ্গলবার সাড়ে ৯ মিনিটের একটি ভিডিও প্রদর্শন করেছে। ‘হুদহুদ যা বহন করে এনেছে’ শিরোনামের ভিডিওটিতে ইসরাইলের অভ্যন্তরে গোয়েন্দা ড্রোন চালিয়ে তার মাধ্যমে তোলা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার ছবি দেখানো হয়েছে। এসব স্থাপনার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন স্থানে মোতায়েন করা আয়রন ডোমের ব্যাটারি এবং হাইফা সমুদ্রবন্দরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর সামরিক স্থাপনা।
ইসরাইলের এসব স্পর্শকাতর স্থাপনার উপর দিয়ে বিনা বাধায় হিজবুল্লাহর ড্রোন উড়ে যাওয়ার ঘটনায় ইহুদিবাদী গণমাধ্যমগুলো চরম বিস্ময় প্রকাশ করেছে। আয়রন ডোন আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কীভাবে হিজবুল্লাহর ড্রোনের উপস্থিতি টের পেল না তা নিয়ে তেল আবিবের মাথা খারাপ হয়ে যাওয়ার অবস্থা তৈরি হয়েছে।
ইহুদিবাদী ইসরাইল ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকা ও জর্দান নদীর পশ্চিম তীরের নিরস্ত্র ও নিরপরাধ ফিলিস্তিনিদের ওপর ভয়াবহ গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে।
এর মোকাবিলায় গাজার ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনগুলোর পাশাপাশি লেবানন, ইরাক, ইয়েমেন ও সিরিয়ার প্রতিরোধ সংগঠনগুলো ঘোষণা করেছে, তারা ইসরাইলের এই অপরাধযজ্ঞের প্রতিশোধ নেবে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ইসরাইলি গণহত্যার শিকার হয়ে গাজায় অন্তত ৩৭ হাজার ফিলিস্তিনি শহীদ ও অপর ৮৫ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। #
পার্সটুডে/এমএমআই/জিএআর/ ২২