ব্লেয়ারকে দল থেকে বের করে দিতে স্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযান শুরু
-
ব্রিটিশ সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার
ব্রিটিশ সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারকে লেবার পার্টি থেকে বের করে দেয়ার জন্য স্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে। ২০০৩ সালে ইরাকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন আগ্রাসনে ব্লেয়ারের বিতর্কিত ও আপত্তিকর ভূমিকার রিপোর্ট প্রকাশ হওয়ার পর এ পদক্ষেপ নেয়া হলো।
দুই কোটি ৬০ লাখ শব্দের চিলকোট তদন্ত প্রতিবেদন নামে এ রিপোর্টে তৎকালীন ব্লেয়ার সরকারের নিন্দা ও তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে। ইরাক যুদ্ধের আট মাস আগেই টনি ব্লেয়ার সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশকে ইরাক আগ্রাসনে অংশ নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ইরাকের হাতে বিপুল পরিমাণ গণবিধ্বংসী অস্ত্র রয়েছে বলে মিথ্যা অভিযোগ এনে ব্লেয়ার ও বুশ দেশটিতে সামরিক আগ্রাসন চালান। তবে ব্লেয়ার দাবি করে আসছেন তার ভূমিকা সঠিক ছিল এবং তিনি মিথ্যা বলে জনগণকে যুদ্ধের দিকে নিয়ে যান নি।
টনি ব্লেয়ারের এ নিন্দিত ভূমিকার জন্য দল থেকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়ে স্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযান চলছে এবং এ পদক্ষেপ এরইমধ্যে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। উদ্যোক্তারা বলছেন, ব্লেয়ার লেবার দলের স্বার্থের বাইরে কাজ করেছেন। ব্লেয়ারের বিরুদ্ধে এক লাখ স্বাক্ষর সংগৃহীত হলে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে তা নিয়ে বিতর্ক হতে পারে। লেবার দলের বর্তমান নেতা জেরেমি করবিন তার পূর্বসুরী টনি ব্লেয়ারকে অভিযুক্ত করে বলেছেন, ইরাক যুদ্ধের বিষয়ে ব্লেয়ার ব্রিটিশ জনগণকে ধোকা দিয়েছেন। গত বুধবার হাউজ অব কমন্সে দেয়া বক্তৃতায় করবিন কারো নাম উল্লেখ না করে বলেছেন, “যারা ইরাক যুদ্ধ শুরু করেছিলেন তাদেরকে পরিণতি ভোগ করতে হবে।” ইরাক যুদ্ধ শুরুর আগে করবিন এর বিরোধিতা করেছিলেন। তিনি ইরাক যুদ্ধকে “মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে সামরিক আগ্রাসন” বলে মন্তব্য করে বলেছেন, ওই যুদ্ধের কারণে সন্ত্রাসবাদ ছড়িয়ে পড়েছে।#
পার্সটুডে/সিরাজুল ইসলাম/৮