আল-কায়দা আফগানিস্তানে আগের চেয়েও বেশি সক্রিয়
(last modified Tue, 03 Sep 2024 09:11:43 GMT )
সেপ্টেম্বর ০৩, ২০২৪ ১৫:১১ Asia/Dhaka
  • আল-কায়দা আফগানিস্তানে আগের চেয়েও বেশি সক্রিয়

মার্কিন নৌবাহিনীর ডেপুটি আন্ডার সেক্রেটারির স্পেশাল অপারেশন ডিরেক্টর ডগ লিভারমোরের মতে, সমস্ত লাল বাতি আফগানিস্তানে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর কার্যকলাপ সম্পর্কে সতর্ক করছে।

ফরেন পলিসি ম্যাগাজিন এক প্রতিবেদনে দাবি করেছে যে, আফগানিস্তানে তালেবানের নতুন আধিপত্যের পর আল-কায়েদা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ধীরে ধীরে দেশটিতে ছড়িয়ে পড়ছে। কারণ তালেবানরা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলিকে দমনের ব্যাপারে খুব কমই সচেষ্ট এবং এর ফলে আল-কায়েদার মতো গোষ্ঠীগুলি অনুভব করছে যে সারা দেশে তাদের ছড়িয়ে পড়াটা খুব সহজ।

ফরেন পলিসি দাবি করেছে, আল-কায়েদা ২০২৪ সালে আফগানিস্তানে ৯টিরও বেশি সন্ত্রাসী শিবির স্থাপন করেছে। যদি এই দাবিটি সত্য হয় তবে তালেবান গোষ্ঠীর জন্য বিষয়টি এক বড় দায়িত্ব বা দায় সৃষ্টি করেছে।

রাজনৈতিক বিষয়ের বিশেষজ্ঞ আমিন ফারজাদ এই বিষয়ে বলেছেন, " মার্কিন সরকার বলছে যে, দোহা চুক্তির ভিত্তিতে, তালেবান আফগানিস্তানে যে কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর কার্যকলাপ রোধ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ; তবে যেসব সন্ত্রাসী গোষ্ঠী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তাকে বিপন্ন করে না তালেবান শাসনাধীন আফগানিস্তানে তাদের তৎপরতা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য উদ্বেগের বিষয় নয়।

তালেবান সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, ২০২১ সালের আগে আফগানিস্তানে ২১টিরও বেশি স্বীকৃত সন্ত্রাসী গোষ্ঠী সক্রিয় ছিল। এইসব গোষ্ঠী গত তিন বছর ধরে তাদের তৎপরতা বাড়িয়েছে।

মার্কিন নৌবাহিনীর ডেপুটি আন্ডার সেক্রেটারির স্পেশাল অপারেশন ডিরেক্টর ডগ লিভারমোরের মতে, সমস্ত লাল বাতি আফগানিস্তানে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর কার্যকলাপ সম্পর্কে সতর্ক করছে।

জাতিসংঘ আরও জানিয়েছে যে আল-কায়েদা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আফগানিস্তানের ৩৪টি (দেশের মধ্যে অন্তত ১০টিতে শিবির এবং প্রশিক্ষণ ঘাঁটি স্থাপন করেছে। এর অর্থ হল আল-কায়েদা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আফগানিস্তানের বাইরে থেকে বাহিনী নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। আলকায়দা বিদেশী যোদ্ধাদেরকে আফগানিস্তানে প্রবেশের ও শত্রুদের ওপর হামলার প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

যদিও আফগানিস্তান থেকে সরেজমিন-প্রতিবেদন বা কোনো নির্ভুল রিপোর্ট পাওয়া যায়নি তা সত্ত্বেও সন্ত্রাসীদের তৎপরতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত প্রকাশিত পশ্চিমা প্রতিবেদনগুলো বেশ উদ্বেগজনক। এ ব্যাপারে মার্কিন সরকারের উদাসীনতা বেশ লক্ষ্যনীয়। আসলে মার্কিন সরকারই আফগানিস্তানকে সন্ত্রাসীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করার ব্যবস্থা নিয়েছে যে সন্ত্রাসীরা মার্কিন সরকারেরই সন্তান। আসলে মার্কিন সরকার এ অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করে মধ্য-এশিয়া ও চীনের সীমান্ত পর্যন্ত নিরাপত্তাহীনতা ছড়িয়ে দিতে চায়।  নিঃসন্দেহে মার্কিন সরকারের কাছে আফগানিস্তানের সন্ত্রাসীদের সম্পর্কে সঠিক তথ্য রয়েছে। কিন্তু এইসব সন্ত্রাসী মার্কিন স্বার্থ ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি না হওয়া পর্যন্ত তাদের জন্য মার্কিন বাতিগুলো সবুজই থেকে যাবে।#

পার্সটুডে/এমএএইচ/০৩

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ