গাজায় ইসরাইলের অপরাধযজ্ঞ বন্ধের আহ্বান অ্যাক্টরস গিল্ড অফ আমেরিকার
(last modified Sun, 15 Sep 2024 10:52:24 GMT )
সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৪ ১৬:৫২ Asia/Dhaka
  • গাজায় ইসরাইলের অপরাধযজ্ঞ বন্ধের আহ্বান অ্যাক্টরস গিল্ড অফ আমেরিকার

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের অপরাধযজ্ঞের নিন্দা জানিয়ে একটি চিঠিতে অ্যাক্টরস গিল্ড অফ আমেরিকার সদস্যরা গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন।

একটি খোলা চিঠিতে, অ্যাক্টর গিল্ড অফ আমেরিকার ৭০০ জনেরও বেশি সদস্য ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে অ্যাসোসিয়েশনের অবস্থান, গাজায় একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতার নিন্দা এবং ফিলিস্তিনিপন্থী অভিনেতাদের সমর্থন দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। পার্সটুডে অনুসারে, মার্ক রাফালো, রামি ইউসেফ, সুসান সারান্ডন, মেলিসা ব্যারেরা এবং সিনথিয়া নিক্সন আমেরিকান অ্যাক্টর গিল্ডের কয়েকশ সদস্যের মধ্যে রয়েছেন যারা এই সমিতির নেতৃত্বকে ফিলিস্তিনি জনগণকে সরাসরি সমর্থন দেয়ার কথা বলছেন।

সাগ আফট্রার সভাপতি ফ্রান ড্রেসচার এবং অন্যান্য ইউনিয়ন নেতারাও চিঠিতে ফিলিস্তিনপন্থি দৃষ্টিভঙ্গির কারণে এর সদস্যদের কালো তালিকাভুক্ত হওয়া থেকে সুরক্ষা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ইসরাইলি সেনাবাহিনী নিরাপদ এলাকা,স্কুল ও হাসপাতালে একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এসব হামলাকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো যুদ্ধাপরাধ হিসেবে বর্ণনা করেছে। এই চিঠির আরেকটি অংশে ইসরাইলি শাসক গোষ্ঠীর দ্বারা কয়েক দশক ধরে ফিলিস্তিনি ভূমি  জবর দখল করে রাখাসহ ফিলিস্তিনিদের প্রতি মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে অভিনেতা সমিতির নীরবতার সমালোচনা করা হয়েছে।

গত ৭ অক্টোবর থেকে, পশ্চিমা দেশগুলোর পূর্ণ সমর্থন নিয়ে ইসরাইলি শাসকগোষ্ঠী ফিলিস্তিনের নিরস্ত্র এবং নিপীড়িত জনগণের বিরুদ্ধে গাজা উপত্যকায় গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে। সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে ৪১ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছে এবং ৯৫ হাজারেরও বেশি আহত হয়েছে।

ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শক্তির পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৯১৭ সালে ইসরাইল রাষ্ট্রের প্রস্তাব পেশ করা হয়েছিল এবং  এ লক্ষ্যে বিভিন্ন দেশ থেকে ইহুদিদেরকে এনে ফিলিস্তিন ভূমিতে জড়ো করা হয়েছিল। এরপর ১৯৪৮ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরাইল রাষ্ট্রে অস্তিত্ব ঘোষণা করা হয়।তারপর থেকে ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর গণহত্যা এবং তাদের সমগ্র ভূমি দখলের প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। এ কারণে ইরানের নেতৃত্বে বেশ কয়েকটি দেশ ইসরাইলের বিলুপ্তি এবং ইহুদিদেরকে যে যার দেশে ফিরে  যাওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে।#

পার্সটুডে/বাবুল আখতার/১৫  

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে  লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ